- হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৯৫৬ সালের ১২ই সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। - তিনি চৌধুরী মোহাম্মদ আলীর পদত্যাগের পর আওয়ামী লীগ ও রিপাবলিকান পার্টির একটি কোয়ালিশন সরকার গঠন করেন। - প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং তার সময়েই উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকেও পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
- পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধিকার প্রশ্নে ১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী দলগুলোর এক সম্মেলনে শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক 'ছয় দফা' দাবি পেশ করেন। - পরবর্তীতে ২৩ মার্চ ১৯৬৬ সালে লাহোরের এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে 'ছয় দফা' ঘোষণা করা হয়। - 'ছয় দফা' বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ (ম্যাগনাকার্টা) হিসেবে পরিচিত।
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান 'ছয় দফা' দাবিকে 'পূর্ব পাকিস্তানের বাঁচার দাবি' বলে অভিহিত করেন। - 'ছয় দফা'র দাবিসমূহ হলো: ১. শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি নির্ধারণ। ২. কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা। ৩. স্বতন্ত্র মুদ্রা ব্যবস্থার প্রচলন। ৪. বৈদেশিক বাণিজ্য। ৫. রাজস্ব, কর ও শুল্ক বিষয়ক ক্ষমতা। ৬. আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য আধা-সামরিক বাহিনী গঠনের ক্ষমতা।
- ১৯৬৯ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান আইনগত কাঠামো আদেশ জারি করেন। - এই আদেশটি ১৯৭০ সালের নির্বাচনের জন্য একটি আইনি কাঠামো প্রদান করে, যাতে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের জন্য ৩০০টি আসনের নির্বাচনের নিয়ম-কানুন নির্ধারিত হয়। - এতে পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) এবং পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য আসনের বণ্টন করা হয় (পূর্বে ১৬৯টি, পশ্চিমে ১৩৫টি) - নির্বাচনের ফলাফল: এই নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়ী হয়, যা পরবর্তীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের পথ প্রশস্ত করে।
- পাকিস্তানের সিভিল সার্ভিসকে "সিভিল সার্ভিস অব পাকিস্তান" (Civil Service of Pakistan) নামে অভিহিত করা হয়েছিল। - ১৯৪৭ সালের ভারতের বিভাজনের পর ব্রিটিশ ভারতের শাসনকালীন "ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস" থেকে পাকিস্তানের জন্য যত অংশ সাংগঠনিকভাবে আলাদা হয়, তাকে এ নামে নামকরণ করা হয়।
- বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের সূচনা হয়েছিল মূলত ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে। - জাতীয় চেতনার উন্মেষ: ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ছিল পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দুকে চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে বাঙালি জাতির প্রথম সম্মিলিত এবং স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ। - এই আন্দোলন বাঙালির সাংস্কৃতিক পরিচয় এবং ভাষাগত অধিকারের ওপর আঘাতের বিরুদ্ধে একটি দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তোলে। - ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই বাঙালি জাতি প্রথম নিজেদের একটি স্বতন্ত্র জাতিসত্তা হিসেবে উপলব্ধি করতে শুরু করে। - এটি কেবল ভাষার অধিকার আদায়ের আন্দোলন ছিল না, বরং নিজেদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার এবং স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার প্রথম ধাপ ছিল। - ভাষা আন্দোলন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বিভেদকে প্রকট করে তোলে। - এটি পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর ঔপনিবেশিক মানসিকতা এবং বাঙালিদের প্রতি বৈষম্যমূলক নীতির বিরুদ্ধে প্রথম বড় ধরনের প্রতিবাদ ছিল, যা পরবর্তীকালে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পথ প্রশস্ত করে। - ভাষা আন্দোলনের সাফল্য বাঙালি জাতিকে তাদের অধিকার আদায়ে আরও সাহসী করে তোলে এবং পরবর্তীকালে ছয় দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং সবশেষে মহান মুক্তিযুদ্ধের মতো বড় বড় আন্দোলনের জন্য অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল।
- ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজনের পর পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কী হবে, তা নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয়। - সেই সময়ে ড. জিয়াউদ্দিন আহমদ উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে জোরালো সমর্থন জানান। - তিনি মনে করতেন, পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগের জন্য একটি একক ভাষার প্রয়োজন এবং উর্দু সেই ভূমিকা পালনে সক্ষম। - তার এই প্রস্তাব তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) বাংলাভাষী জনগণের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি করে, যা পরবর্তীতে ভাষা আন্দোলনের জন্ম দেয়।
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সূচনা ও নেতৃত্বদানকারী প্রধান আহ্বায়ক ছিলেন আব্দুল মতিন। - তিনি ভাষা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত, যিনি ১৯৪৭ সালের পর থেকেই বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ শুরু করেন। - তাঁর নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
- ১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত একটি সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক দাবিগুলো নিয়ে একটি কর্মসূচি উপস্থাপন করে। ইতিহাসে এটিই ৬ দফা কর্মসূচি নামে পরিচিত। - পরবর্তীতে ২৩ মার্চ, ১৯৬৬ সালে লাহোরের এক সংবাদ সম্মেলনে শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে ৬ দফা দাবি ঘোষণা করেন। - ৬ দফা কর্মসূচিকে বাঙালি জাতির "মুক্তির সনদ" বা "ম্যাগনেকার্টা" বলে আখ্যায়িত করা হয় এবং এটি ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে তৈরি। - ১৯৬৬ সালের ৭ জুন ছয় দফা বাস্তবায়নের দাবিতে গণআন্দোলন শুরু হলে পুলিশের গুলিতে বিভিন্ন স্থানে ১১ জন বাঙালি নিহত হন। - এ জন্য প্রতি বছর ৭ জুন ছয় দফা দিবস পালিত হয়।
ছয় দফার দাবিসমূহ হল - ১. প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন। ২. কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা । ৩. মুদ্রা বা অর্থনৈতিক ক্ষমতা। ৪. রাজস্ব, কর ও শুল্ক সংক্রান্ত ক্ষমতা। ৫. বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা। ৬. আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা।
র্যাডক্লিফ লাইন ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশ ও বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিকে বিভাজন করে নবগঠিত ভারত ও পাকিস্তানের সীমানা নির্ধারণকারী রেখা। ১৮ জুলাই, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভারত স্বাধীনতা আইন পাশ হওয়ার পর ভারতবর্ষকে ভাগ করে দুটি আলাদা রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তান এর সীমানা নির্ধারণ করার জন্য ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেন সিরিল র্যাডক্লিফকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করেন। ১৭ আগস্ট, ১৯৪৭ সালে সিরিল র্যাডক্লিফ চূড়ান্তভাবে ভারত-পাকিস্তানকে বিভক্ত করেন। স্যার সিরিল র্যাডক্লিফ এর পরিকল্পনায় ভারত-পাকিস্তান সীমানা নির্ধারণ করা হয় বলে তার নামানুসারে এ রেখার নামকরণ করা হয় র্যাডক্লিফ লাইন। বর্তমানে এই রেখাটির পশ্চিমভাগ ভারত- পাকিস্তান, পূর্বভাগ বাংলাদেশ-ভারত ও বাংলাদেশ- মায়ানমার সীমানা চিহ্নিত রেখা হিসেবে পরিচিত।
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
- ১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী দলগুলোর এক সম্মেলনে শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবি পেশ করেন । - পরবর্তীতে ২৩ মার্চ ,১৯৬৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে 'ছয় দফা ' ঘোষণা করেন । - জাতির জনক একে ' পূর্ব পাকিস্তানের বাঁচার দাবি 'বলে অভিহিত করেন । - ছয় দফার ২য় দফাতে বলা হয় কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা দুটি ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ থাকবে। ক্ষমতা দুটি হচ্ছে দেশ রক্ষা ও বৈদেশিক নীতি।
ছয় দফার দাবিসমুহ হল - ১. শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি নির্ধারণ ২. কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা ৩. স্বতন্ত্র মুদ্রা ব্যবস্থার প্রচলন ৪. বৈদেশিক বাণিজ্য ৫. রাজস্ব ,কর ও শুল্ক বিষয়ক ক্ষমতা ৬. আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য আধা সামরিক বাহিনী গঠনে ক্ষমতা ।
• পাকিস্তানের উর্দুর প্রতি অনড় অবস্থার প্রেক্ষিতে ১৯৪৮ সালের ২ মার্চ কামরুদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ' গঠিত হয়। • এ পরিষদের আহ্বানে ১১ মার্চ ভাষার দাবীতে সাধারণ ধর্মঘট পালনের সময় বহু ছাত্র আহত এবং বঙ্গবন্ধুসহ অনেক ছাত্র গ্রেফতার হন। • পরে ছাত্রদের লাগাতার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বন্দীদের ১৫ মার্চ মুক্তি দিতে বাধ্য হয় সরকার। • ১৯৪৮-৫২ সাল পর্যন্ত এ ১১ মার্চে ‘ভাষা আন্দোলন দিবস' পালিত হতো। • ১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ ও ২৩ মার্চ যথাক্রমে রেসকোর্স ময়দান ও কার্জন হলে পাকিস্তানের তৎকালীন গভর্নর জেনালের মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বলে ঘোষণা দিলে উপস্থিত ছাত্ররা না না বলে প্রতিবাদ জানায়। • উল্লেখ্য "সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্টভাষা সংগ্রাম পরিষদ" গঠিত হয়েছিল ৩১ জানুয়ারী , ১৯৫২ সালে ।
• প্রথম শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হয় ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ চত্ত্বরে । কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের স্থপতি হামিদুর রহমান। • শহীদ মিনার (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়) - শিল্পী মুর্তজা বশীর। • শহীদ মিনার (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) - রবিউল হোসাইন, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শহীদ মিনার।
• 'তমদ্দুন মজলিস' ১৯৪৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক আবুল কাসেম কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। • পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে দাবি তোলার মাধ্যমে তমদ্দুন মজলিশ প্রথম বাংলা ভাষা আন্দোলন শুরু করে। • এ সংগঠনের উদ্যোগে ১৯৪৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ভাষা আন্দোলনের প্রথম পুস্তিকা ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু' প্রকাশিত হয়।
- ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন ছিল পাকিস্তানের প্রথম সাধারণ নির্বাচন, যা ৭ ডিসেম্বর ১৯৭০ সালে অনুষ্ঠিত হয়। - এই নির্বাচনে জাতীয় পরিষদের ৩০০টি সাধারণ আসনের জন্য প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। - বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী, এই নির্বাচনে মোট ৭৮১ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছিলেন। - এটি ছিল একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন, যেখানে পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। - নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
- জেনারেল আইয়ুব খান ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের সামরিক শাসক হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। - তিনি ১৯৫৯ সালের ২৬ অক্টোবর 'মৌলিক গণতন্ত্র অধ্যাদেশ' (Basic Democracy Order) জারি করেন। - এই ব্যবস্থার মাধ্যমে তিনি একটি চার-স্তর বিশিষ্ট স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা চালু করেন। - এর মূল উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ইচ্ছাকে সরকারের কাছাকাছি আনা এবং প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ করা। - মৌলিক গণতন্ত্র ব্যবস্থায় পাকিস্তানের উভয় অংশ থেকে ৪০,০০০ করে মোট ৮০,০০০ মৌলিক গণতন্ত্রী (BD Members) নির্বাচিত হন, যারা প্রেসিডেন্ট, জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচন করতেন। - এটি ছিল একটি পরোক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা, যা গণতন্ত্রের নামে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটাধিকার সীমিত করেছিল।
- ১৯৫৪ সালের মার্চের ৮ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তান পরিষদের নির্বাচনে ২৩৭টি মুসলিম আসনের (সর্বমোট আসন ছিল ৩০৯ টি) মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২১৫ টি (পরে স্বতন্ত্র থেকে ৮ জন যোগ দিলে আসন সংখ্যা হয় ২২৩ টি) ।
- তন্মধ্যে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী মুসলিম লীগ ১৪০ টি, শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হকের কৃষক শ্রমিক পার্টি ৩৪ টি, নেজামী ইসলাম পার্টি ১২ টি, যুবলীগ ১৫ টি, গণতন্ত্রী দল ১০ টি, কমিউনিস্ট পার্টি ৪ টি ও পরে যোগ দেওয়া স্বতন্ত্র ৮ টি।
- ১৯৬৮-৬৯ সালে পূর্ব পাকিস্তানে আইয়ুব বিরোধী গণ-আন্দোলনের গতি ত্বরান্বিত করতে ১৯৬৯ সালের ৫ জানুয়ারি ডাকসুর তৎকালীন সহ-সভাপতি তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে ‘সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। - আর ১৪ জানুয়ারি, ১৯৬৯ সালে এ পরিষদ ‘১১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে।
- ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তানের নিরস্ত্র, নিরীহ ও স্বাধীনতাকামী সাধারণ জনগণের উপর যে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায় তার সাংকেতিক নাম 'অপারেশন সার্চলাইট'। - বাঙ্গালির ইতিহাসে ২৫ মার্চের নৃশংস গণহত্যা 'কালরাত্রি' নামে পরিচিত। - পাকিস্তান বাহিনীর ১৪ ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা এবং ৫৭ ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী খান ১৯৭১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি অপারেশন সার্চলাইট নামে একটি সামরিক অভিযানের বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছেন। - ১৭ মার্চ চীফ অব স্টাফ জেনারেল আবদুল হামিদ খানের নির্দেশে জেনারেল রাজা পরদিন ঢাকা সেনানিবাসে জিওসি অফিসে অপারেশন সার্চলাইট পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন। - পাঁচ পৃষ্ঠার এই পরিকল্পনাটি রাও ফরমান আলী নিজ হাতে লিখেন।
- অসহযোগ আন্দোলন ১৯৭১ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে ১৯৭১ সালের ২ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পরিচালিত আন্দোলন। - এ আন্দোলনে কেন্দ্রীয় শাসনের বিপরীতে স্বশাসন প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়। - ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দানে দিগনির্দেশনামূলক ভাষণের মাধ্যমে অসহযোগ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। - পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) অসহযোগ আন্দোলনের পরিবর্তে গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করার আহবান জানায়।
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
- অসহযোগ আন্দোলন ১৯৭১ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে ১৯৭১ সালের ২ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পরিচালিত আন্দোলন। - এ আন্দোলনে কেন্দ্রীয় শাসনের বিপরীতে স্বশাসন প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়। - ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দানে দিগনির্দেশনামূলক ভাষণের মাধ্যমে অসহযোগ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। - অসহযোগ আন্দোলনের শুরুতেই ২ মার্চ ছাত্র সংগঠনগুলি ‘স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করে।
♦ গণ-অভ্যুত্থান দিবসঃ * ২৪ জানুয়ারি ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস হিসেবে পালিত হয়। * ১৯৬৯ সালের এই দিনে সংগ্রামী জনতা পাকিস্তানি সামরিক শাসন উৎখাতের লক্ষ্যে শাসকগোষ্ঠীর দমন-পীড়ন ও সান্ধ্য আইন উপেক্ষা করে মিছিল বের করে। * মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণে নবকুমার ইনস্টিটিউশনের নবম শ্রেণির ছাত্র মতিউর রহমান নিহত হন। * জনতার প্রবল প্রতিবাদে আইয়ুব সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান অভিযুক্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সবাইকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। * এই গণ-অভ্যুত্থানের ফলে আইয়ুব খানের স্বৈরশাসনের পতন ঘটে। * গণ-অভ্যুত্থান দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়। * এই আন্দোলন ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক, বুদ্ধিজীবীসহ সকল শ্রেণির মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের এক অনন্য উদাহরণ। * গণ-অভ্যুত্থান দিবসের ঘটনাবলী পরবর্তীতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি তৈরি করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। * আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত প্রথম উপন্যাস - চিলেকোঠার সেপাই। এই উপন্যাসের পটভূমি ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান।
সূত্র: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রকাশনা।
- আগরতলা হচ্ছে ত্রিপুরার রাজধানী। - এখানে বঙ্গবন্ধু ও সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য পূর্ব পাকিস্তানকে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন-এ মর্মে অভিযোগ এনে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করা হয় ১৯৬৮ সালের ৩ জানুয়ারিতে। - এ মামলার মোট আসামী ছিলেন বঙ্গবন্ধুসহ ৩৫ জন। - বঙ্গবন্ধু ছিলেন ১ নম্বর আসামী এবং লেফটেন্যান্ট আব্দুর রউফ ছিলেন ৩৫ নং আসামী। উল্লেখ্য, এ মামলা প্রত্যাহার করা হয় ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ সালে।
- পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধিকার প্রশ্নে ১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী দলগুলোর এক সম্মেলনে শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবি পেশ করেন । - পরবর্তীতে ২৩ মার্চ ,১৯৬৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে 'ছয় দফা ' ঘোষণা করেন । - জাতির জনক একে ' পূর্ব পাকিস্তানের বাঁচার দাবি 'বলে অভিহিত করেন ।
ছয় দফার দাবিসমুহ হল - ১. শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি নির্ধারণ ২. কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা ৩. স্বতন্ত্র মুদ্রা ব্যবস্থার প্রচলন ৪. বৈদেশিক বাণিজ্য ৫. রাজস্ব ,কর ও শুল্ক বিষয়ক ক্ষমতা ৬. আঞ্চলিক সংহতি ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার জন্য প্রদেশগুলো নিজস্ব মিলিশিয়া বা প্যারামিলিটারি বাহিনী বা আধা সামরিক বাহিনী গঠন ও পরিচালনা করতে পারবে।
- ১৯৬০ সালে করাচি থেকে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে স্থানান্তরিত করা হয়। - এটি পাকিস্তানের সামরিক প্রধান আইয়ুব খানের একটি সিদ্ধান্ত ছিল। - ইসলামাবাদের নির্মাণ ১৯৬১ সালে শুরু হয়েছিল এবং ১৯৬৭ সালে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানের রাজধানী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
» পাকিস্তানের প্রথম সামরিক শাসন জারি হয় – ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর। » পাকিস্তানের প্রথম সামরিক শাসন জারি করেন— ইস্কান্দার মির্জা । » আইয়ুব খানকে প্রধান সামরিক শাসনকর্তা নিয়োগ করেন- ইস্কান্দার মির্জা। » আইয়ুব খান নিজেকে পাকিস্তানের স্ব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেন - ১৯৫৮ সালে। » আইয়ুব খান সামরিক শাসন প্রত্যাহার করেন- ১৯৬০ সালে। » মৌলিক গণতন্ত্র চালু করেন— আইয়ুব খান । » আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়- ১৯৬১ সালে। » ছাত্র সমাজ ১৫ দফা কর্মসূচী ঘোষণা করে— ১৯৬২ সালে।
» পাকিস্তানের প্রথম সামরিক শাসন জারি হয় – ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর। » পাকিস্তানের প্রথম সামরিক শাসন জারি করেন— ইস্কান্দার মির্জা । » আইয়ুব খানকে প্রধান সামরিক শাসনকর্তা নিয়োগ করেন- ইস্কান্দার মির্জা। » আইয়ুব খান নিজেকে পাকিস্তানের স্ব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেন - ১৯৫৮ সালে। » আইয়ুব খান সামরিক শাসন প্রত্যাহার করেন- ১৯৬০ সালে। » মৌলিক গণতন্ত্র চালু করেন— আইয়ুব খান । » আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়- ১৯৬১ সালে। » ছাত্র সমাজ ১৫ দফা কর্মসূচী ঘোষণা করে— ১৯৬২ সালে।
- ভাষা শহিদ আবুল বরকত ১৬ জুন, ১৯২৭ সালে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর থানার বাবলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। - ভারত ভাগের পর ১৯৪৮ সালে আবুল বরকত পরিবারের সাথে ঢাকা চলে আসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। - ১৯৫১ সালে অনার্স পাস করেন। তিনি ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ সালে সংঘটিত ভাষা আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহিদ হন।
- বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের চর্চা, গবেষণা ও প্রচারের লক্ষ্যে ৩ ডিসেম্বর, ১৯৫৫ (১৭ অগ্রহায়ণ, ১৩৬২) ঢাকার বর্ধমান হাউজে বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়। - ১৯৫৭ সালে 'দি বেঙ্গলি একাডেমি অ্যাক্ট’ গৃহীত হলে বাংলা একাডেমি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা লাভ করে। - বাংলা একাডেমির প্রথম প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (স্পেশাল অফিসার) মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ। - বাংলা একাডেমির প্রথম সভাপতি ছিলেন মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ। - বাংলা একাডেমির প্রথম পরিচালক ড. মুহম্মদ এনামুল হক। - বাংলা একাডেমির প্রথম মহাপরিচালক ড. মাযহারুল ইসলাম।
সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ বাংলা ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বাংলার একটি প্রথম সারির রাজনৈতিক দল ছিল। ১৯৫২ সালের ৩১ জানুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের বার লাইব্রেরি হলে একটি সভায় এই দল গঠন করা হয়। এখানে সভাপতি ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। - এর আহবায়ক মনোনীত হন কাজী গোলাম মাহবুব। - বাংলা ভাষা আরবি বর্ণমালার মাধ্যমে লেখার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে। এই সভায় এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করা হয়। এই সভাতেই ৪০ সদস্যের সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। - সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ ১৯৪৮ সালের ২ মার্চ. - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় ১১ মার্চ ১৯৫০.
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাসেমের নেতৃত্বে বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের একাংশের সম্মেলনের মাধ্যমে ২৩ জুন, ১৯৪৯ সালে ঢাকার কে.এম দাস লেনে অবস্থিত রোজ গার্ডেনে ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ' গঠিত হয়। দলটির প্রথম সভাপতি হিসেবে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও সহ-সভাপতি আতাউর রহমান খান এবং সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক ও যুগ্ম সম্পাদক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্বাচিত হন। ধর্মনিরপেক্ষতা চর্চা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৫৩ সালে মওলানা ভাসানীর সভাপতিত্বে ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ' এর কাউন্সিলে ‘মুসলিম' শব্দটি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং তারই প্রেক্ষিতে ১৯৫৫ সালে 'মুসলিম' শব্দটি বাদ দেওয়া হয়।
শামসুল হকের বিশেষ ভূমিকাগুলো নিম্নরূপ:
১.নবাবদের দালান কোঠার বাইরে সর্ব সাধারণের মধ্যে রাজনীতি ছড়িয়ে দেওয়া।
২.উপনির্বাচনে (১৯৪৯ সালের ২৬ এপ্রিল) জয়ী হবার পর মওলানা ভাসানী ও শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে হকের নেতৃত্বে পাকিস্তানে প্রথম বিরোধী দল আওয়ামী লীগ গঠন।
৩.বাংলা ভাষা আন্দোলনকে সর্ব সাধারণের কাছে বিস্তৃত করা। (১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি)
৪.পাকিস্তানের প্রাথমিক অবস্থায় জিন্নাহ পরবর্তী মুসলিম লীগের কায়েমী স্বার্থবাদী প্রতিক্রিয়াশীল রাজনৈতিক গোষ্ঠীর শাসনতান্ত্রিক সঙ্কটের সমাধান রূপে ‘মূল দাবি প্রণয়ন’।
✅প্রাইমারী, নিবন্ধন বা ১১তম-২০তম গ্রেডের যেকোনো চাকরি জন্য প্রশ্ন ব্যাংক লেগে থেকে শেষ করুন। অ্যাপ এর প্রশ্ন ব্যাংক থেকে ১০০% কমন আসবে। বাকি চাকরি পরীক্ষা জন্য ৭০%-৮০% কমন আসবে। আপনার চর্চার সময় আপনার ভুল প্রশ্ন, বুকমার্ক প্রশ্ন সব ডাটাবেজে জমা থাকে। মনে করুন বাংলা সাহিত্য ৪০০০ প্রশ্ন আছে, আপনি একবার ভালো করে পড়বেন, এর মধ্যে দেখবেন ৪০% প্রশ্ন আপনার জানা, যেগুলো কখনও ভুল হবে না, বাকি আছে ৬০%, এই প্রশ্নগুলো আলাদা বাটনে জমা হয়, যেগুলো আপনি ভুল করছেন, এখন এইগুলো ভালো করে রিভিশন দিন। এতে সহজে কম সময় প্রস্তুতি শেষ হবে। যারা একেবারে নতুন তারা জব শুলুশন্স বাটন দিয়ে শুরু করতে পারেন।
✅প্রাইমারী ১ম ধাপের পরীক্ষার তারিখ দিলে ফুল মডেল টেস্ট শুরু হবে।
✅ব্যাংক নিয়োগ প্রস্তুতি'র লং কোর্স (রুটিনের জন্য পিডিএফ বাটন দেখুন) - পরীক্ষা শুরুঃ ১০ নভেম্বর। - মোট পরীক্ষাঃ ১২৮টি, - টপিক ভিত্তিকঃ ১১২টি, - রিভিশন পরীক্ষাঃ ২২টি, - Vocabulary রিভিশনঃ ৩বার
✅ সম্পূর্ণ ফ্রিতে প্রস্তুতি নিন ৫০তম বিসিএস। মোট পরীক্ষাঃ ১৬২টি টপিক ভিত্তিক পরীক্ষাঃ ১০০টি রিভিশন পরীক্ষাঃ ৬২টি
অ্যাপ এর হোম screen -এ পিডিএফ বাটন ক্লিক করুন, এখান থেকে রুটিন ডাউনলোড করতে পারবেন। রুটিনের তারিখ অনুযায়ী পরীক্ষা রাত ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেকোন সময় দিতে পারবেন, ফলাফল সাথে সাথে বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ দেওয়া হয়। missed পরীক্ষাগুলো আর্কাইভ থেকে দিতে পারবেন, তবে মেরিট লিস্ট আসবে না, মেরিট লিস্টে থাকতে হলে রুটিন অনুযায়ী নির্দিষ্ট তারিখে দিতে হবে। আর্কাইভ থেকে পরীক্ষা দিতে হলে ভিজিট করুনঃ অ্যাপ এর হোম স্ক্রীনে 'পরীক্ষার সেকশন' বাটনে ক্লিক করুন -> বিসিএস বাটন -> [ফ্রি কোর্স] ৫০তম বিসিএস প্রিলি ২২০ দিনের সেকশনের All Exam বাটন ক্লিক করুন -> এখান Upcoming, Expired ট্যাব পাবেন।
✅ প্রধান শিক্ষক প্রস্তুতি - লেকচারশীট ভিত্তিকঃ রুটিন আপলোড করা হয়েছে। পরীক্ষা শুরুঃ ১৫ আগস্ট। মোট পরীক্ষাঃ ৫৮টি
✅ আপকামিং রুটিনঃ
- ১০০ দিনের বিসিএস বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি। - বেসিকভিউ বই অনুসারে GK রুটিনে টপিক ও বইয়ের পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ থাকবে। - অগ্রদূত বাংলা বই অনুসারে বাংলা সাহিত্য ও ভাষা রুটিনে টপিক ও বইয়ের পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ থাকবে।। - English মাস্টার বই অনুসারে রুটিনে টপিক ও বইয়ের পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ থাকবে।