|
|
• পাকিস্তানের উর্দুর প্রতি অনড় অবস্থার প্রেক্ষিতে ১৯৪৮ সালের ২ মার্চ কামরুদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ' গঠিত হয়। • এ পরিষদের আহ্বানে ১১ মার্চ ভাষার দাবীতে সাধারণ ধর্মঘট পালনের সময় বহু ছাত্র আহত এবং বঙ্গবন্ধুসহ অনেক ছাত্র গ্রেফতার হন। • পরে ছাত্রদের লাগাতার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বন্দীদের ১৫ মার্চ মুক্তি দিতে বাধ্য হয় সরকার। • ১৯৪৮-৫২ সাল পর্যন্ত এ ১১ মার্চে ‘ভাষা আন্দোলন দিবস' পালিত হতো। • ১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ ও ২৩ মার্চ যথাক্রমে রেসকোর্স ময়দান ও কার্জন হলে পাকিস্তানের তৎকালীন গভর্নর জেনালের মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বলে ঘোষণা দিলে উপস্থিত ছাত্ররা না না বলে প্রতিবাদ জানায়। • উল্লেখ্য "সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্টভাষা সংগ্রাম পরিষদ" গঠিত হয়েছিল ৩১ জানুয়ারী , ১৯৫২ সালে ।
|
|
| |
|
|
|
• প্রথম শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হয় ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ চত্ত্বরে । কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের স্থপতি হামিদুর রহমান। • শহীদ মিনার (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়) - শিল্পী মুর্তজা বশীর। • শহীদ মিনার (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) - রবিউল হোসাইন, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শহীদ মিনার।
|
|
| |
|
|
|
• 'তমদ্দুন মজলিস' ১৯৪৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক আবুল কাসেম কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। • পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে দাবি তোলার মাধ্যমে তমদ্দুন মজলিশ প্রথম বাংলা ভাষা আন্দোলন শুরু করে। • এ সংগঠনের উদ্যোগে ১৯৪৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ভাষা আন্দোলনের প্রথম পুস্তিকা ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু' প্রকাশিত হয়।
|
|
| |
|
|
|
- ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন ছিল পাকিস্তানের প্রথম সাধারণ নির্বাচন, যা ৭ ডিসেম্বর ১৯৭০ সালে অনুষ্ঠিত হয়। - এই নির্বাচনে জাতীয় পরিষদের ৩০০টি সাধারণ আসনের জন্য প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। - বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী, এই নির্বাচনে মোট ৭৮১ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছিলেন। - এটি ছিল একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন, যেখানে পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। - নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
|
|
| |
|
|
|
- জেনারেল আইয়ুব খান ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের সামরিক শাসক হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। - তিনি ১৯৫৯ সালের ২৬ অক্টোবর 'মৌলিক গণতন্ত্র অধ্যাদেশ' (Basic Democracy Order) জারি করেন। - এই ব্যবস্থার মাধ্যমে তিনি একটি চার-স্তর বিশিষ্ট স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা চালু করেন। - এর মূল উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ইচ্ছাকে সরকারের কাছাকাছি আনা এবং প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ করা। - মৌলিক গণতন্ত্র ব্যবস্থায় পাকিস্তানের উভয় অংশ থেকে ৪০,০০০ করে মোট ৮০,০০০ মৌলিক গণতন্ত্রী (BD Members) নির্বাচিত হন, যারা প্রেসিডেন্ট, জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচন করতেন। - এটি ছিল একটি পরোক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা, যা গণতন্ত্রের নামে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটাধিকার সীমিত করেছিল।
|
|
| |
|
|
|
- পূর্ব বাংলা প্রাদেশিক পরিষদে আসন ছিল ৩০৯টি।
- ১৯৫৪ সালের মার্চের ৮ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তান পরিষদের নির্বাচনে ২৩৭টি মুসলিম আসনের (সর্বমোট আসন ছিল ৩০৯ টি) মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২১৫ টি (পরে স্বতন্ত্র থেকে ৮ জন যোগ দিলে আসন সংখ্যা হয় ২২৩ টি) ।
- তন্মধ্যে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী মুসলিম লীগ ১৪০ টি, শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হকের কৃষক শ্রমিক পার্টি ৩৪ টি, নেজামী ইসলাম পার্টি ১২ টি, যুবলীগ ১৫ টি, গণতন্ত্রী দল ১০ টি, কমিউনিস্ট পার্টি ৪ টি ও পরে যোগ দেওয়া স্বতন্ত্র ৮ টি।
|
|
| |
|
|
|
- ১৯৬৮-৬৯ সালে পূর্ব পাকিস্তানে আইয়ুব বিরোধী গণ-আন্দোলনের গতি ত্বরান্বিত করতে ১৯৬৯ সালের ৫ জানুয়ারি ডাকসুর তৎকালীন সহ-সভাপতি তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে ‘সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। - আর ১৪ জানুয়ারি, ১৯৬৯ সালে এ পরিষদ ‘১১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে।
|
|
| |
|
|
|
- ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তানের নিরস্ত্র, নিরীহ ও স্বাধীনতাকামী সাধারণ জনগণের উপর যে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায় তার সাংকেতিক নাম 'অপারেশন সার্চলাইট'। - বাঙ্গালির ইতিহাসে ২৫ মার্চের নৃশংস গণহত্যা 'কালরাত্রি' নামে পরিচিত। - পাকিস্তান বাহিনীর ১৪ ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা এবং ৫৭ ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী খান ১৯৭১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি অপারেশন সার্চলাইট নামে একটি সামরিক অভিযানের বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছেন। - ১৭ মার্চ চীফ অব স্টাফ জেনারেল আবদুল হামিদ খানের নির্দেশে জেনারেল রাজা পরদিন ঢাকা সেনানিবাসে জিওসি অফিসে অপারেশন সার্চলাইট পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন। - পাঁচ পৃষ্ঠার এই পরিকল্পনাটি রাও ফরমান আলী নিজ হাতে লিখেন।
|
|
| |
|
|
|
- অসহযোগ আন্দোলন ১৯৭১ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে ১৯৭১ সালের ২ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পরিচালিত আন্দোলন। - এ আন্দোলনে কেন্দ্রীয় শাসনের বিপরীতে স্বশাসন প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়। - ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দানে দিগনির্দেশনামূলক ভাষণের মাধ্যমে অসহযোগ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। - পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) অসহযোগ আন্দোলনের পরিবর্তে গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করার আহবান জানায়।
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
- অসহযোগ আন্দোলন ১৯৭১ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে ১৯৭১ সালের ২ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পরিচালিত আন্দোলন। - এ আন্দোলনে কেন্দ্রীয় শাসনের বিপরীতে স্বশাসন প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়। - ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দানে দিগনির্দেশনামূলক ভাষণের মাধ্যমে অসহযোগ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। - অসহযোগ আন্দোলনের শুরুতেই ২ মার্চ ছাত্র সংগঠনগুলি ‘স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করে।
|
|
| |
|
|
|
♦ গণ-অভ্যুত্থান দিবসঃ * ২৪ জানুয়ারি ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস হিসেবে পালিত হয়। * ১৯৬৯ সালের এই দিনে সংগ্রামী জনতা পাকিস্তানি সামরিক শাসন উৎখাতের লক্ষ্যে শাসকগোষ্ঠীর দমন-পীড়ন ও সান্ধ্য আইন উপেক্ষা করে মিছিল বের করে। * মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণে নবকুমার ইনস্টিটিউশনের নবম শ্রেণির ছাত্র মতিউর রহমান নিহত হন। * জনতার প্রবল প্রতিবাদে আইয়ুব সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান অভিযুক্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সবাইকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। * এই গণ-অভ্যুত্থানের ফলে আইয়ুব খানের স্বৈরশাসনের পতন ঘটে। * গণ-অভ্যুত্থান দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়। * এই আন্দোলন ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক, বুদ্ধিজীবীসহ সকল শ্রেণির মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের এক অনন্য উদাহরণ। * গণ-অভ্যুত্থান দিবসের ঘটনাবলী পরবর্তীতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি তৈরি করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। * আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত প্রথম উপন্যাস - চিলেকোঠার সেপাই। এই উপন্যাসের পটভূমি ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান।
সূত্র: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রকাশনা।
|
|
| |
|
|
|
- আগরতলা হচ্ছে ত্রিপুরার রাজধানী। - এখানে বঙ্গবন্ধু ও সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য পূর্ব পাকিস্তানকে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন-এ মর্মে অভিযোগ এনে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করা হয় ১৯৬৮ সালের ৩ জানুয়ারিতে। - এ মামলার মোট আসামী ছিলেন বঙ্গবন্ধুসহ ৩৫ জন। - বঙ্গবন্ধু ছিলেন ১ নম্বর আসামী এবং লেফটেন্যান্ট আব্দুর রউফ ছিলেন ৩৫ নং আসামী। উল্লেখ্য, এ মামলা প্রত্যাহার করা হয় ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ সালে।
|
|
| |
|
|
|
- পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধিকার প্রশ্নে ১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী দলগুলোর এক সম্মেলনে শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবি পেশ করেন । - পরবর্তীতে ২৩ মার্চ ,১৯৬৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে 'ছয় দফা ' ঘোষণা করেন । - জাতির জনক একে ' পূর্ব পাকিস্তানের বাঁচার দাবি 'বলে অভিহিত করেন ।
ছয় দফার দাবিসমুহ হল - ১. শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি নির্ধারণ ২. কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা ৩. স্বতন্ত্র মুদ্রা ব্যবস্থার প্রচলন ৪. বৈদেশিক বাণিজ্য ৫. রাজস্ব ,কর ও শুল্ক বিষয়ক ক্ষমতা ৬. আঞ্চলিক সংহতি ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার জন্য প্রদেশগুলো নিজস্ব মিলিশিয়া বা প্যারামিলিটারি বাহিনী বা আধা সামরিক বাহিনী গঠন ও পরিচালনা করতে পারবে।
|
|
| |
|
|
|
- ১৯৬০ সালে করাচি থেকে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে স্থানান্তরিত করা হয়। - এটি পাকিস্তানের সামরিক প্রধান আইয়ুব খানের একটি সিদ্ধান্ত ছিল। - ইসলামাবাদের নির্মাণ ১৯৬১ সালে শুরু হয়েছিল এবং ১৯৬৭ সালে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানের রাজধানী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
|
|
| |
|
|
|
» পাকিস্তানের প্রথম সামরিক শাসন জারি হয় – ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর। » পাকিস্তানের প্রথম সামরিক শাসন জারি করেন— ইস্কান্দার মির্জা । » আইয়ুব খানকে প্রধান সামরিক শাসনকর্তা নিয়োগ করেন- ইস্কান্দার মির্জা। » আইয়ুব খান নিজেকে পাকিস্তানের স্ব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেন - ১৯৫৮ সালে। » আইয়ুব খান সামরিক শাসন প্রত্যাহার করেন- ১৯৬০ সালে। » মৌলিক গণতন্ত্র চালু করেন— আইয়ুব খান । » আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়- ১৯৬১ সালে। » ছাত্র সমাজ ১৫ দফা কর্মসূচী ঘোষণা করে— ১৯৬২ সালে।
|
|
| |
|
|
|
» পাকিস্তানের প্রথম সামরিক শাসন জারি হয় – ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর। » পাকিস্তানের প্রথম সামরিক শাসন জারি করেন— ইস্কান্দার মির্জা । » আইয়ুব খানকে প্রধান সামরিক শাসনকর্তা নিয়োগ করেন- ইস্কান্দার মির্জা। » আইয়ুব খান নিজেকে পাকিস্তানের স্ব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেন - ১৯৫৮ সালে। » আইয়ুব খান সামরিক শাসন প্রত্যাহার করেন- ১৯৬০ সালে। » মৌলিক গণতন্ত্র চালু করেন— আইয়ুব খান । » আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়- ১৯৬১ সালে। » ছাত্র সমাজ ১৫ দফা কর্মসূচী ঘোষণা করে— ১৯৬২ সালে।
|
|
| |
|
|
|
- ভাষা শহিদ আবুল বরকত ১৬ জুন, ১৯২৭ সালে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর থানার বাবলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। - ভারত ভাগের পর ১৯৪৮ সালে আবুল বরকত পরিবারের সাথে ঢাকা চলে আসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। - ১৯৫১ সালে অনার্স পাস করেন। তিনি ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ সালে সংঘটিত ভাষা আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহিদ হন।
|
|
| |
|
|
|
- বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের চর্চা, গবেষণা ও প্রচারের লক্ষ্যে ৩ ডিসেম্বর, ১৯৫৫ (১৭ অগ্রহায়ণ, ১৩৬২) ঢাকার বর্ধমান হাউজে বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়। - ১৯৫৭ সালে 'দি বেঙ্গলি একাডেমি অ্যাক্ট’ গৃহীত হলে বাংলা একাডেমি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা লাভ করে। - বাংলা একাডেমির প্রথম প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (স্পেশাল অফিসার) মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ। - বাংলা একাডেমির প্রথম সভাপতি ছিলেন মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ। - বাংলা একাডেমির প্রথম পরিচালক ড. মুহম্মদ এনামুল হক। - বাংলা একাডেমির প্রথম মহাপরিচালক ড. মাযহারুল ইসলাম।
|
|
| |
|
|
|
সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ বাংলা ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বাংলার একটি প্রথম সারির রাজনৈতিক দল ছিল। ১৯৫২ সালের ৩১ জানুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের বার লাইব্রেরি হলে একটি সভায় এই দল গঠন করা হয়। এখানে সভাপতি ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। - এর আহবায়ক মনোনীত হন কাজী গোলাম মাহবুব। - বাংলা ভাষা আরবি বর্ণমালার মাধ্যমে লেখার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে। এই সভায় এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করা হয়। এই সভাতেই ৪০ সদস্যের সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। - সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ ১৯৪৮ সালের ২ মার্চ. - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় ১১ মার্চ ১৯৫০.
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
- প্রতিষ্ঠাকালীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি হন টাঙ্গাইলের মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, সহ-সভাপতি হন আতাউর রহমান খান, শাখাওয়াত হোসেন ও আলী আহমদ। - টাঙ্গাইলের শামসুল হক ছিলেন সাধারণ সম্পাদক।
|
|
| |
|
|
|
- পাকিস্তান সরকার ১৯৫৪ সালের মার্চে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে /পূর্ব বাংলায় প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষণা দেয়। - এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে বিজয় নিশ্চিত করতে ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর পূর্ব বাংলার কয়েকটি বিরোধী দলের সমন্বয়ে 'যুক্তফ্রন্ট নামে একটি ঐক্যজোট গঠিত হয়। - যুক্তফ্রন্টের দলগুলো ছিল আওয়ামী মুসলিম লীগ ,কৃষক-শ্রমিক পার্টি, নেজামে ইসলাম ও গণতন্ত্রী দল। - মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরায়ার্দী ,শেরে বাংলা এ কে. ফজলুল হক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান 'যুক্তফ্রন্ট' প্রদত্ত ২১ দফা পূর্ব বাংলার জনসমক্ষে তুলে ধরেন। - তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে নির্বাচন যুক্তফ্রন্ট ২২৩ টি আসন পেয়ে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে। - নবাব স্যার সলিমুল্লাহ ১৯০৬ সালে 'অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ' প্রতিষ্ঠা করেন।
|
|
| |
|
|
|
- পাকিস্তান শাসনামলে ভুমি আইনের উপর যে গুরুত্বপূর্ণ বিধিবধ্য আইন প্রণীত হয়, তন্মধজ ১৯৫০ সালের জমিদারি দখল ও প্রজাস্বত্ব আইন (Estate Acquisition and Tenancy Act 1950) উল্লেখযোগ্য।
- ১৯৫০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি এ আইনটি পূর্ব বাংলার আইনসভা কতৃক গৃহীত হয় এবং ঐ সালের ১৬ মে পাকিস্তানের তৎকালীন গভর্নর জেনারেলের সম্মতিক্রমে আইনের মর্যাদা লাভ করে।
- এ আইনটি ১৫২ টি ধারা রয়েছে,যা পাঁচটি অংশ ও ১৯ টি অধ্যায়ে বিভক্ত।
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
- ভাষা আন্দোলন হোক, কিংবা ভাষা শহীদদের কথা বলতে গেলে, লিখতে গেলে প্রথম যে ভাষা শহীদের কথা মনে আসে তিনি শহীদ আবদুস সালাম। যেমন- সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউর। কিংবা সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার, শফিউর। - যেভাবেই লেখা হোক না কেন সবার আগে কেন যেন ভাষা শহীদ সালামের নামই আগে আসে। - ভাষা শহীদ সালাম ‘৫২ এর ভাষা আন্দোলনে ২১ ফেব্রুয়ারি মিছিলে পুলিশের গুলিতে আহত হওয়ার পর আহত অবস্থায় ভর্তি হয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজে। - তারপর দীর্ঘ দেড় মাস চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় অবশেষে ১৯৫২ সালের ৭ এপ্রিল মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
|
|
| |
|
|
|
- ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু সরকার গঠনে আহ্বান জানানোর পরিবর্তে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ১৯৭১ সালের ১ মার্চ জাতীয় পরিষদ অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। - বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ সিদ্ধান্তকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ আখ্যা দেন এবং এর প্রতিবাদে ২ মার্চ ঢাকায় এবং ৩ মার্চ সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে হরতাল আহ্বান করেন। - আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জনগণ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য পূর্ব পাকিস্তানে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে। - নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে ক্ষমতা হস্তান্তরে সামরিক সরকারের গড়িমসি এবং পশ্চিম পাকিস্তানের প্রধান রাজনৈতিক দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির সরাসরি অসহযোগিতার কারণেই বঙ্গবন্ধু অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন।
|
|
| |
|
|
|
- ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু সরকার গঠনে আহ্বান জানানোর পরিবর্তে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ১৯৭১ সালের ১ মার্চ জাতীয় পরিষদ অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। - বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ সিদ্ধান্তকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ আখ্যা দেন এবং এর প্রতিবাদে ২ মার্চ ঢাকায় এবং ৩ মার্চ সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে হরতাল আহ্বান করেন। - আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জনগণ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য পূর্ব পাকিস্তানে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে। - নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে ক্ষমতা হস্তান্তরে সামরিক সরকারের গড়িমসি এবং পশ্চিম পাকিস্তানের প্রধান রাজনৈতিক দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির সরাসরি অসহযোগিতার কারণেই বঙ্গবন্ধু অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন।
|
|
| |
|
|
|
- ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু সরকার গঠনে আহ্বান জানানোর পরিবর্তে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ১৯৭১ সালের ১ মার্চ জাতীয় পরিষদ অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। - বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ সিদ্ধান্তকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ আখ্যা দেন এবং এর প্রতিবাদে ২ মার্চ ঢাকায় এবং ৩ মার্চ সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে হরতাল আহ্বান করেন। - আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জনগণ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য পূর্ব পাকিস্তানে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে। - নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে ক্ষমতা হস্তান্তরে সামরিক সরকারের গড়িমসি এবং পশ্চিম পাকিস্তানের প্রধান রাজনৈতিক দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির সরাসরি অসহযোগিতার কারণেই বঙ্গবন্ধু অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন।
|
|
| |
|
|
|
- ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকা শহরে সান্ধ্য আইন বলবৎ করা হয়। - ২৪ জানুয়ারি গুলিতে নবম শ্রেণির ছাত্র মতিউর এবং ছুরিকাঘাতে রুস্তম নিহত হওয়ার পর ঢাকার পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। - এর পরিপ্রেক্ষিতে, শহরের নিয়ন্ত্রণভার সেনাবাহিনীর ওপর ছেড়ে দেওয়া হয় এবং অনির্দিষ্ট কালের জন্য সান্ধ্য আইন বলবৎ করা হয়।
|
|
| |
|
|
|
- আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত সার্জেন্ট জহুরুল হক ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ তারিখে নিহত হন।
- ১৫ ফেব্রুয়ারি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত সার্জেন্ট জহুরুল হক বন্দি অবস্থায় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে গুলিতে নিহত হন।
- এই ঘটনাটি গণঅভ্যুত্থানের গতি আরও তীব্র করে তোলে, কারণ তাঁর মৃত্যু সংবাদে পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে।
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
- ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে ৬ ডিসেম্বর দিনটি 'জুলুম প্রতিরোধ দিবস' হিসেবে পালিত হয়।
- ৬ ডিসেম্বর 'জুলুম প্রতিরোধ দিবস' পালনের জন্য মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), তোয়াহার নেতৃত্বাধীন পূর্ব পাকিস্তান শ্রমিক ফেডারেশন এবং আবদুল হকের নেতৃত্বাধীন পূর্ব পাকিস্তান কৃষক সমিতি যৌথ কর্মসূচির অংশ হিসেবে পল্টন ময়দানে এক জনসভার আয়োজন করে।
- এই দিনটি গণঅভ্যুত্থানের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়, যেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও শ্রমিক সংগঠন একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ জানায়।
|
|
| |
|