মধ্যযুগ ও মুসলিম শাসন (379 টি প্রশ্ন )
- মুঘল আমলে প্রদেশকে "সুবাহ" বলা হতো।
- রাজ্যের প্রতিটি প্রদেশ বা বিভাগকে সুবাহ বলা হতো এবং তার প্রধান শাসককে সুবাদার বলা হতো।
- সম্রাট আকবর ১৫৭৯-৮০ সালে মুঘল সাম্রাজ্যকে বিভিন্ন সুবাহতে ভাগ করেন, যার মধ্যে বাংলা ছিল একটি সুবাহ।
- বারো ভূঁইয়াদের মধ্যে নিঃসন্দেহে সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী ছিলেন ঈশা খান।
- তিনি ছিলেন বাংলার ভাটি অঞ্চলের জমিদার এবং বারো ভূঁইয়াদের নেতা।
- তার বীরত্ব, রণকৌশল এবং নেতৃত্বের গুণে তিনি মুঘলদের বিরুদ্ধে এক প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন, যা বাংলার ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হিসেবে পরিচিত।

ঈশা খানের শক্তির কারণ:
- ঈশা খান বাংলার বিক্ষিপ্ত জমিদারদের একত্রিত করে একটি সম্মিলিত প্রতিরোধ বাহিনী গঠন করতে সক্ষম হন।
- ভাওয়ালের ফজল গাজী, বিক্রমপুরের চাঁদ রায় ও কেদার রায় এবং ভুলুয়ার লক্ষ্মণ মানিকের মতো প্রভাবশালী জমিদাররা তার সাথে মৈত্রী স্থাপন করেন।
- এই ঐক্যই ছিল তার প্রধান শক্তি।

- তিনি একজন সুদক্ষ যোদ্ধা এবং রণকৌশলী ছিলেন।
- তার শক্তিশালী নৌবাহিনী ছিল, যা ভাটি অঞ্চলের ভৌগোলিক পরিবেশে মুঘলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য অত্যন্ত উপযোগী ছিল।
- তিনি মুঘল সেনাপতি শাহবাজ খান এবং মানসিংহের মতো দুর্ধর্ষ যোদ্ধাদের বিরুদ্ধেও সাফল্য লাভ করেন।


- নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা ১৭৫৬ সালের ১০ এপ্রিল বাংলার সিংহাসনে বসেন। 
- নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা ১৭৫৬ সালে কলকাতায় ইংরেজদের ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ অধিকার করেন।
- তিনি কলকাতা অধিকার করে এর নাম রাখেন আলীনগর
- ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন ঐতিহাসিক পলাীর যুদ্ধ হয়।
- এতে নবাব সিরাজুদ্দোলা ইংরেজদের কাছে হেরে যায়।
- ফলে বাংলা তথা সমগ্র ভারতে ইংরেজ শাসন শুরু হয়।
- শেরশাহ, যিনি ফরিদ খান নামেও পরিচিত, ভারতবর্ষের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ শাসক হিসেবে পরিচিত।
- তিনি ১৫৪০ থেকে ১৫৪৫ সাল পর্যন্ত শাসন করেন এবং সুর বংশের প্রতিষ্ঠাতা।
- শেরশাহের প্রধান কৃতিত্ব ছিল তার ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কার।
- তিনি কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য একটি কার্যকরী ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।
- তার রাজস্ব নীতির মূল উদ্দেশ্য ছিল কৃষকদের উপর অত্যাচার কমানো এবং তাদের উৎপাদনের উপর ভিত্তি করে রাজস্ব নির্ধারণ করা।
- তিনি জমির উৎপাদনশীলতা অনুযায়ী রাজস্বের হার নির্ধারণ করতেন, যা সাধারণত উৎপন্ন ফসলের এক-তৃতীয়াংশ বা এক-চতুর্থাংশ ছিল।
- শেরশাহ ভূমি জরিপের মাধ্যমে জমির সীমানা নির্ধারণ করে এবং কৃষকদের জন্য "কবুলিয়ত" ও "পাট্টা" নামে দলিল প্রবর্তন করেন, যা তাদের জমির মালিকানা নিশ্চিত করত।
- এই ব্যবস্থা কৃষকদের মধ্যে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা এনে দেয় এবং কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করে।
- ১২২৭ থেকে ১২৮১ সাল পর্যন্ত তেমন ১৫ জন তুর্কি শাসক বাংলা শাসন করেছিলেন।
- বাংলায় প্রথম তুর্কি শাসক ছিলেন নাসিরুদ্দিন মাহমুদ।
- এ সময় থেকে বাংলার শাসনকর্তারা দিল্লির সুলতানদের কাছ থেকে নিয়োগ লাভ করে এখানকার শাসক হতেন।
- বাংলায় দিল্লির অনুগত কোনো শাসনই প্রতিষ্ঠিত হয়নি, বরং দিল্লির মনোনীত তুর্কি শাসকরাই একের পর এক বিরোধিতা অব্যাহত রাখেন।
- দিল্লির শাসকরা যেমন, ইলতুতমিশ, বলবন, গিয়াসউদ্দিন তুঘলক ও মুহাম্মদ বিন তুঘলক বাংলার শাসকদেরকে প্রতিহত করতে একের এর এক অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।
- দিল্লির শাসনকালে বাংলায় বিশৃঙ্খলা ও গোলযোগ লেগেই ছিল।
- দিল্লির সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবন বাংলার তৎকালীন স্বাধীন শাসক তুগ্রিল খানকে দমনের জন্য নিজেই আক্রমণ করেন।যুদ্ধে তুগ্রিল খান নিহত হন। ফলে বাংলা দিল্লির শাসনাধীন হয়।
- ১২৮৭ সালে সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবন মারা গেলে বঘরা খান নাসিরউদ্দিন মাহমুদ শাহ নাম ধারণ করে ১২৯০ সাল পর্যন্ত বাংলার স্বাধীন সুলতান হিসেবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন।
- ১৩২৫ সালে দিল্লির শাসক গিয়াসউদ্দিন তুঘলক বাংলা অধিকার করেন।
- সম্রাট আকবরের শাসনামলে (১৫৫৬-১৬০৫ খ্রিস্টাব্দ) বাংলায় বেশ কয়েকজন সুবাদার নিযুক্ত হয়েছিলেন।
- রাজা মানসিংহ ছিলেন আকবরের অন্যতম বিশ্বস্ত সেনাপতি এবং তিনি ১৫৯৪ থেকে ১৬০৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলার সুবাদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
- যেহেতু আকবরের শাসনকাল ১৬০৫ খ্রিস্টাব্দে শেষ হয়েছিল, তাই মানসিংহকে আকবরের শাসনামলের শেষ দিকের গুরুত্বপূর্ণ সুবাদার হিসেবে গণ্য করা হয়।
- তার পরে অবশ্য জাহাঙ্গীর কুলি বেগ এবং ইসলাম খান চিশতি বাংলার সুবাদার নিযুক্ত হন, কিন্তু তারা আকবরের মৃত্যুর পর সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে দায়িত্ব নেন।
- গিয়াসউদ্দীন তুঘলকের মৃত্যুর পর তাঁর জেষ্ঠ্যপুত্র জুনা খান দিল− দিল্লীর সিংহাসনে আরোহন করেন। উপাধি গ্রহণ করেন মুহম্মদ বিন তুঘলক। তিনি ছিলেন অত্যন্ত প্রতিভাবান সুলতান। কোন কোন ঐতিহাসিক তাঁকে ‘যুগের বিস্ময়’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি ১৩২৫ থেকে ১৩৫১ পর্যন্ত দীর্ঘ ২৬ বছর শাসন করেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি কতগুলো পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ঐতিহাসিক জিয়াউদ্দীন বারণী সুলতানের পাঁচটি পরিকল্পনার কথা বলেছেন। এই পরিকল্পনাগুলো ছিল:
- দেবগিরিতে রাজধানী স্থাপন,
- খোরাসান অভিযান,
- কারাচিল অভিযান,
- প্রতীক মুদ্রার প্রচলন এবং
- দোয়াবে কর বৃদ্ধি।
- অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুসলিম স্বাধীন সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ।
- তিনি প্রথম দিকে দিল্লির সালতানাতের অধীনে কাজ করতেন। পরে বাংলায় চলে আসেন।
- বাংলায় দিল্লির প্রাদেশিক গভর্নর ইয়াহিয়ার মৃত্যুর পর তিনি ক্ষমতা দখল করে বাংলাকে দিল্লির অধীন থেকে মুক্ত ঘোষণা করেন।
- হাবসি শাসন উচ্ছেদ করে বাংলার সিংহাসনে বসেন সৈয়দ হোসেন ।
- সুলতান হয়ে তিনি 'আলাউদ্দিন হুসেন শাহ্‌' উপাধি গ্রহণ করেন ।
- বাংলার স্বাধীন সুলতানদের মহদজে হুসেন শাহি আমল ছিল সবচেয়ে গৌরবময় ।
- সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহ্‌ ছিলেন হুসেন শাহী যুগের শ্রেষ্ঠ সুলতান ।
- তাঁর ২৬ বছরের শাসনকালে বাংলায় জ্ঞান -বিজ্ঞান ও শিল্পকলার অভাবিত উন্নতি সাধিত হয়েছিল।
- এজন্য তাঁর শাসনকালকে বাংলায় মুসলমান শাসনের ইতিহাসের স্বর্ণযুগ বলা হয় ।
- শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ্‌ ১৩৪২ থেকে ১৪১২ পর্যন্ত সমগ্র বাংলায় প্রথম স্বাধীন সুলতান ছিলেন ।
- গিয়াস উদ্দিন আজম শাহ্‌ ১৩৯৩ থেকে ১৪১১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বাংলা শাসন করেন ।
- নাসিরউদ্দিন মাহমুদ শাহ্‌ ১৪৩৫ থেকে ১৪৫৯ পর্যন্ত বাংলায় ইলিয়াস শাহী বংশের সুলতান ছিলেন ।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর মোঘল শাসনব্যবস্থার দুর্বলতা প্রকট হতে থাকলে দূরবর্তী অঞ্চলের সুবেদারগণ অনেকটা স্বাধীনভাবে নিজেদের অঞ্চল শাসন করতে শুরু করেন।
- এমতাবস্থায়, ১৭০০ সালে শায়েস্তা খানের অধীনে বাংলার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন মুর্শিদকুলী খান।
- পরবর্তীতে, দক্ষতাবলে ১৭১৭ সালে বাংলার স্থায়ী সুবেদারে পরিণত হয়ে তিনি বাংলার রাজধানী ঢাকা থেকে মাকসুদাবাদে স্থানান্তর করেন।
- পরবর্তীতে মকসুদাবাদের নাম নবাবের নামানুসারে হয় মুর্শিদাবাদ।
- দিল্লি সাম্রাজ্যের অধীনে নিযুক্ত সুবেদার হলেও মোঘলদের দুর্বলতার ফাঁকে নিজে স্বাধীনভাবে বাংলা শাসন করেন ১৭২৭ সাল পর্যন্ত এবং লাভ করেন বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব হবার গৌরব।
- নবাব মুর্শিদকুলি খাঁর রাজ্য শাসনকালে প্রবর্তিত রাজস্ব ব্যবস্থা 'মাল জমিনী' নামে পরিচিতি পায়।
শাহজাহান (১৬২৮-১৬৫৮)
- শাহজাহানের বাল্য নাম খুররম
- সম্রাট শাজাহান ক্ষমতায় আসেন ১৬২৭ খ্রি.।
- শাহজাহান ইতিহাসে বিখ্যাত হয়ে আছেন তার সময়ে নির্মিত বিভিন্ন স্থাপনার জন্য।
- তাকে ইতিহাসবিদরা অভিহিত করে ‘Prince of Builders’ হিসেবে।
- তিনি তার মৃত স্ত্রী মমতাজ মহলের স্মরণে নির্মাণ করেন তাজমহল।
- শাহজাহানের মণি-মুক্তা খচিত ময়ূর সিংহাসন জগত বিখ্যাত।

- সম্রাট জাহাঙ্গীর সুরাটে ইংরেজদের কুঠি নির্মানের অনুমতি দেন।
- এটি বাংলায় স্থাপিত ইংরেজদের প্রথম বাণিজ্য কুঠি।
- ১৭৬৫ সালে এলাহবাদ চুক্তির মাধ্যমে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করে।
- ১২০৬ খ্রিস্টাব্দে সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবেকের নেতৃত্বে ভারতে স্বাধীন সুলতানদের শাসনের সূচনা হয়।
- কুতুবউদ্দিন আইবেক কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত রাজবংশ ইসলামের ইতিহাসে তথাকথিত 'দাস বংশ' নামে পরিচিত।
- কুতুবউদ্দিন আইবেক দিল্লি সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা এবং ভারতে দাস বংশের প্রতিষ্ঠাতা
- ভারতীয় উপমহাদেশে স্থায়ী মুসলিম শাসনের সূচনা ঘটে খ্রিস্টাব্দ ত্রয়োদশ শতকে।
- কুতুবউদ্দিন আইবেক দিল্লির প্রথম স্বাধীন সুলতান এবং দিল্লির কুতুব মিনার নির্মাণ করেন।
- দিল্লি সালতানাতের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শামসউদ্দিন ইলতুৎমিশ।
- সুলতানি আমলে বাংলার রাজধানী ছিল প্রথমে সোনারগাঁও (১৩৩৮-১৩৫২) খ্রিষ্টাব্দ । তারপর রাজধানী স্থানান্তর হয় গৌড়ে (১৪৫০-১৫৬৫) খ্রিস্টাব্দ
- মুঘল আমলের মধ্যেভাগে ঢাকা শহরের গোড়াপত্তন শুরু হয়। 
- ১৫৭৬ সালে সম্রাট আকবর বাংলা জয় করে এর নাম দেন সুবা বাংলা। এই সময় বাংলায় বারো ভূঁইয়াদের আগমন ঘটে। 
- সম্রাট জাহাঙ্গীরের সেনাপতি সুবেদার ইসলাম খান চিশতি চূড়ান্ত ভাবে বারো ভূঁইয়াদের দমন করে ১৬১০ সালে ঢাকাকে বাংলার রাজধানী ঘোষণা করেন এবং এর নাম দেন জাহাঙ্গীরনগর। 
- এর পরে ১৬৬০ সালে মীর জুমলা পুনরায় বাংলার রাজধানী করে ঢাকা।
- কলকাতা শহরের গোড়াপত্তন হয় ১৬৯০ সালে।

- তরাইনের ২য় যুদ্ধ ১১৯২ সালে বর্তমান হরিয়ানার থানেশ্বরের কাছাকাছি তরাইন শহরের নিকটে সংঘটিত হয়।
- এই স্থান দিল্লি থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
- মুহম্মদ ঘুরির নেতৃত্বাধীন বাহিনী এবং পৃথ্বীরাজ চৌহানের নেতৃত্বাধীন চৌহান রাজপুত বাহিনীর মধ্যে এই যুদ্ধে সংঘর্ষ হয়।
- এই যুদ্ধে মুহম্মদ ঘুরি পৃথ্বীরাজ চৌহানকে পরাজিত করেন, এবং তার বিজয় দিল্লি সুলতানি প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করে।
- তিনি ভারতে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার ভিত্তি রচনা করেন এবং "মুসলিম শাসনের প্রতিষ্ঠাতা" হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
- সুবেদার ইসলাম খাঁন এর প্রকৃত নাম হলো শেখ আলাউদ্দিন চিশতি। 
- তিনি ছিলেন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার প্রথম গভর্নর, সুবাদার এবং মোঘল সম্রাজের সেনাপতি।
- মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর তাকে ইসলাম খান উপাধী দেন।
- তাকে ১৬০৮ সালে সম্রাট জাহাঙ্গীর ‘সুবেদার’ হিসেবে নিয়োগ দেয়।
- তিনি বারোভূঁইয়াদের দমন করে সমগ্র বাংলায় সুবাদারি শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। 
- ১৬১০ সালে তিনি বিহারের রাজমহল থেকে রাজধানী ঢাকায় নিয়ে আসেন এবং নামকরণ করেন জাহাঙ্গীরনগর।
- তিনি ঢাকার ‘ধোলাই খাল’ খনন করেন।
- ময়ূর সিংহাসন মুঘল সম্রাট শাহজাহান কর্তৃক নির্মিত একটি অনিন্দ্য সুন্দর সিংহাসন।
- ১৬২৮-১৬৩৫ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে বেবাদল খাঁর তত্ত্বাবধানে তৎকালীন ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি নির্মিত হয়।
- ময়ূর সিংহাসন ছিল মূল্যবান স্বর্ণ, হীরা ও দুর্লভ মরকত মনি খচিত।
- ১৭৩৯ সালে দিল্লির সম্রাট মোহাম্মদ শাহের শাসনামলে পারস্য সম্রাট নাদির শাহ ভারতবর্ষে অভিযান কালে এটিকে লুণ্ঠন করে নিয়ে যায়।
- ছোট কাটরা হলো পুরাতন ঢাকার একটি মুঘল স্থাপত্য নিদর্শন।
- এটি বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে পুরান ঢাকার চকবাজারের হাকিম হাবিবুর রহমান লেনে অবস্থিত।
- মুঘল সুবাদার শায়েস্তা খান ১৬৬৪ সালের দিকে এটি নির্মাণ করেন।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- সম্রাট জালালউদ্দিন আকবরের সময়কাল ছিল ১৫৫৬-১৬০৫ খ্রিস্টাব্দ। 
- তাকে মুঘল সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ শাসক বলা।
- তিনি ছিলেন মুঘল সাম্রাজ্যের তৃতীয় সম্রাট। 
- পিতা সম্রাট হুমায়ুনের মৃত্যুর পর ১৫৫৬ মাত্র ১৩ বছর বয়সে সিংহাসনে আরোহণ করেন।
- বাংলায় বার ভূঁইয়াদের অভ্যুত্থান ঘটে আকবরের আমলে।
- সম্রাট আকবরের রাজস্বমন্ত্রী ছিলেন— টোডরমল
- সরকারি কাজে ফারসি ভাষা চালু করেন
- আকবরের সমাধি হল সেকেন্দ্রায়।

সুলতানী আমল বাংলার ইতিহাসের একটি বৃহৎ যুগ, যা ১২০৪ থেকে ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। এই সময়কালে বাংলায় বিভিন্ন মুসলিম শাসক বংশ রাজত্ব করেছিল, যাদের 'সুলতান' উপাধি ছিল। ইলিয়াস শাহী বংশ ছিল এই সুলতানী আমলের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজবংশ। এই বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ, যিনি ১৩৪২-১৩৫৮ খ্রিস্টাব্দে বাংলার সুলতান ছিলেন। ১৩৫২ খ্রিস্টাব্দে সোনারগাঁওয়ের শাসনকর্তা ফখরুদ্দিন মুবারক শাহের পুত্র ইখতিয়ার উদ্দিন গাজি শাহকে পরাজিত করে দুই বাংলা একত্র করে বৃহত্তর বা অখণ্ড বাংলা প্রতিষ্ঠা করেন। তার সময় থেকেই বাংলায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠী ‘বাঙালি’ নামে পরিচিত পায়। তিনি `ইলিয়াস শাহী’ বংশের প্রতিষ্ঠাতা। তার উপাধি ছিলো ‘শাহ-ই বাঙালা’ ও ‘শাহ-ই বাঙালিয়ান’। ইলিয়াস শাহী সুলতানগণ বাংলাদেশে প্রায় ১২২ বছর শাসন করেন। তার আমলে সোনারগাঁও বিখ্যাত বাণিজ্যিক কেন্দ্র হয়। 


- মীরজুমলার মৃত্যুর পর শায়েস্তা খান বাংলার সুবাদার নিযুক্ত হন।
- তাঁর সুবাদারী শাসনকাল দুপর্বে বিভক্ত ছিল।
- প্রথম দফায় ১৬৬৪ থেকে ১৬৭৮ খ্রি: পর্যন্ত এবং শেষে ১৬৭৯ থেকে ১৬৮৮ খ্রি: পর্যন্ত তিনি বাংলার সুবাদার ছিলেন।
- চট্টগ্রাম জয় করে এর নাম রাখেন ইসলামাবাদ।
- সন্দ্বীপ ও চট্টগ্রাম অধিকার করে আরাকানি জলদস্যুদের সম্পূর্ণরূপে উৎখাত করেন। বাংলা থেকে ইংরেজদের বিতাড়িত করেন।
সম্রাট জালালউদ্দিন আকবরের সময়কাল ছিল ১৫৫৬-১৬০৫ খ্রিস্টাব্দ। তিনি ছিলেন মুঘল সাম্রাজ্যের তৃতীয় সম্রাট। 
 - তাকে মুঘল সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ শাসক বলা। পিতা সম্রাট হুমায়ুনের মৃত্যুর পর ১৫৫৬ মাত্র ১৩ বছর বয়সে সিংহাসনে আরোহণ করেন।
 - তিনি ১৫৭৬ সালে বাংলা বিজয় করেন। তাঁর সময়ে সমগ্র বঙ্গ দেশ ‘সুবহ-ই-বাঙ্গালাহ’ নামে পরিচিত ছিল।
 - তিনি বাংলা সনের প্রবর্তক ছিলেন। বাংলা নববর্ষ ‘পহেলা বৈশাখ’ চালু করেন। 
 - তিনি ‘অমৃতসর স্বর্ণমন্দির’, ‘বুলন্দ দরওয়াজ’ নির্মাণ করেন।
 - ‘জিজিয়া কর’ ও ‘তীর্থ কর’ স্থগিত করেন সম্রাট আকবর।
 - তিনি মনসবদারী প্রথার প্রচলন করেন,  ‘মনসবদারি প্রথা’ হলে সেনাবাহিনী সংস্কার পরিকল্পনা
 - তিনি দীন-ই-ইলাহী নামে একেশ্বরবাদ ধর্মমত প্রচলন করেন যার অনুসারী ছিলেন ১৭ (মতান্তরে ১৯ জন) জন।
 - বাংলায় বার ভূঁইয়াদের অভ্যুত্থান ঘটে আকবরের আমলে।
 - সম্রাট আকবরের রাজস্বমন্ত্রী ছিলেন— টোডরমল।
 - সরকারি কাজে ফারসি ভাষা চালু করেন।
 - আকবরের সমাধি হল সেকেন্দ্রায়।
সম্রাট জালালউদ্দিন আকবরের সময়কাল ছিল ১৫৫৬-১৬০৫ খ্রিস্টাব্দ। তিনি ছিলেন মুঘল সাম্রাজ্যের তৃতীয় সম্রাট। 
 - তাকে মুঘল সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ শাসক বলা। পিতা সম্রাট হুমায়ুনের মৃত্যুর পর ১৫৫৬ মাত্র ১৩ বছর বয়সে সিংহাসনে আরোহণ করেন।
 - তিনি ১৫৭৬ সালে বাংলা বিজয় করেন। তাঁর সময়ে সমগ্র বঙ্গ দেশ ‘সুবহ-ই-বাঙ্গালাহ’ নামে পরিচিত ছিল।
 - তিনি বাংলা সনের প্রবর্তক ছিলেন। বাংলা নববর্ষ ‘পহেলা বৈশাখ’ চালু করেন। 
 - তিনি ‘অমৃতসর স্বর্ণমন্দির’, ‘বুলন্দ দরওয়াজ’ নির্মাণ করেন।
 - ‘জিজিয়া কর’ ও ‘তীর্থ কর’ স্থগিত করেন সম্রাট আকবর।
 - তিনি মনসবদারী প্রথার প্রচলন করেন,  ‘মনসবদারি প্রথা’ হলে সেনাবাহিনী সংস্কার পরিকল্পনা
 - তিনি দীন-ই-ইলাহী নামে একেশ্বরবাদ ধর্মমত প্রচলন করেন যার অনুসারী ছিলেন ১৭ (মতান্তরে ১৯ জন) জন।
 - বাংলায় বার ভূঁইয়াদের অভ্যুত্থান ঘটে আকবরের আমলে।
 - সম্রাট আকবরের রাজস্বমন্ত্রী ছিলেন— টোডরমল
 - সরকারি কাজে ফারসি ভাষা চালু করেন
 - আকবরের সমাধি হল সেকেন্দ্রায়।
- সুবেদার ইসলাম খাঁন এর প্রকৃত নাম হলো শেখ আলাউদ্দিন চিশতি। 
- তিনি ছিলেন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার প্রথম গভর্নর, সুবাদার এবং মোঘল সম্রাজের সেনাপতি।
- মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর তাকে ইসলাম খান উপাধী দেন।
- তাকে ১৬০৮ সালে সম্রাট জাহাঙ্গীর ‘সুবেদার’ হিসেবে নিয়োগ দেয়।
- তিনি বারোভূঁইয়াদের দমন করে সমগ্র বাংলায় সুবাদারি শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। 
- ১৬১০ সালে তিনি বিহারের রাজমহল থেকে রাজধানী ঢাকায় নিয়ে আসেন এবং নামকরণ করেন জাহাঙ্গীরনগর।
- তিনি ঢাকার ‘ধোলাই খাল’ খনন করেন।
- সুবেদার ইসলাম খাঁন এর প্রকৃত নাম হলো শেখ আলাউদ্দিন চিশতি। 
- ছিলেন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার প্রথম গভর্নর, সুবাদার এবং মোঘল সম্রাজের সেনাপতি।
- মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর তাকে ইসলাম খান উপাধী দেন।
- তাকে ১৬০৮ সালে সম্রাট জাহাঙ্গীর ‘সুবেদার’ হিসেবে নিয়োগ দেয়।
- তিনি বারোভূঁইয়াদের দমন করে সমগ্র বাংলায় সুবাদারি শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। 
- ১৬১০ সালে তিনি বিহারের রাজমহল থেকে রাজধানী ঢাকায় নিয়ে আসেন এবং নামকরণ করেন জাহাঙ্গীরনগর।
- তিনি ঢাকার ‘ধোলাই খাল’ খনন করেন।
''গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড'' এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন ও দীর্ঘতম সড়ক পথ যার অস্তিত্ব মৌর্য সাম্রাজ্যের সময় হতে জানা যায়।
- 'শেরশাহ' তার শাসনামলে (১৫৪০-১৫৪৫) এই সড়কটির সংস্কার ও সম্প্রসারণ করে নামকরণ করেন সড়ক-ই-আজম
- শেরশাহ কর্তৃক আধুনিকায়নকৃত মোট ২৫শ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কটি নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থেকে শুরু হয়ে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া হয়ে পাকিস্তানের পেশোয়ার মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের কাবুল পর্যন্ত বিস্তৃত।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0