|
|
- যে সব প্রতিষ্ঠান সংবিধানের সুস্পষ্ট বিধি মোতাবেক প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত, তাকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বলে। - আর এ প্রতিষ্ঠানের পদগুলো সাংবিধানিক পদ নামে অভিহিত। সাংবিধানিক পদগুলো হলো: - কমিশনার (বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন), - চেয়ারম্যান (বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন), - অ্যাটর্নি জেনারেল (অ্যাটর্নি জেনারেল এর কার্যালয়), - জাতীয় সংসদ সচিবালয়, কম্পট্রোলার ও অডিটর জেনারেল (মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়)।
এ ছাড়া আরোও কিছু সাংবিধানিক পদ হলো- - রাষ্ট্রপতি, - প্রধানমন্ত্রী, - মন্ত্রীগণ, - স্পীকার, - সংসদ সদস্য ও - বিচারপতি।
- জাতীয় মানবাধিকার কমিশন একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা। - ৯ ডিসেম্বর, ২০০৭ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
|
|
| |
|
|
|
- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। বাংলাদেশের সংবিধান লিখিত, যা ১১টি ভাগে বিভক্ত এবং এর অনুচ্ছেদ ১৫৩। - এর প্রধান বৈশিষ্ট্য ১২টি। - এ সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ১৯৭২ সালের ১১ এপ্রিল ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি করে ৩৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। - ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর গণপরিষদের দ্বিতীয় অধিবেশনে খসড়া সংবিধান উত্থাপন করা হয়। - ৪ নভেম্বর গণপরিষদ কর্তৃক এ সংবিধান গৃহীত হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২ সাল থেকে কার্যকর হয়।
|
|
| |
|
|
|
১৯৭২ সালের বাংলাদেশের সংবিধানের রাষ্ট্রীয় মূলনীতি ৪ টি ,যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের ৮(১) ধারায় বর্ণিত । এগুলো হলঃ - জাতীয়বাদ , - সমাজতন্ত্র , - গণতন্ত্র ও - ধর্মনিরপেক্ষতা ।
|
|
| |
|
|
|
- বাংলাদেশ সরকার ২০১৩ সালের ২৫ অক্টোবর ‘পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইন’ পাস করে। - এ আইনে বলা হয়েছে, প্রত্যেক সন্তানকে তাঁর মা-বাবার ভরণপোষণ দিতে হবে। - কোনো মা-বাবার একাধিক সন্তান থাকলে সে ক্ষেত্রে সন্তানেরা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে তাঁদের ভরণপোষণ নিশ্চিত করবেন। আর তা না করলে তাঁদের শাস্তি পেতে হবে। - পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইন ২০১৩-এর ৫ ধারার (১) অনুযায়ী, কোনো প্রবীণ ব্যক্তি তাঁর সন্তানদের বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো অভিযোগ আনলে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁদের এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হবে। - আইনে বলা হয়, কোনো সন্তানের স্ত্রী, ছেলেমেয়ে বা নিকটাত্মীয় যদি বৃদ্ধ মা-বাবার প্রতি সন্তানকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেন, তাহলে তাঁরাও একই অপরাধে অপরাধী হবেন। ফলে তাঁদেরও একই শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
|
|
| |
|
|
|
- বাংলাদেশের সংবিধানে প্রথম সংশোধনী আনা হয় সংবিধান প্রণয়নের আট মাসের মাথায় ১৯৭৩ সালের ১৫ জুলাই যুদ্ধাপরাধ ও অন্যান্য অপরাধের বিচারের জন্য। - অভ্যন্তরীণ বা বহিরাক্রমণ গোলযোগে দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক জীবন বিপন্ন হলে সে অবস্থায় জরুরি অবস্থা ঘোষণার বিধান করতে সংবিধানে দ্বিতীয় সংশোধনী আনা হয় ১৯৭৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর। - তৃতীয় সংশোধনী আনা হয় এর এক বছর পরে ১৯৭৪ সালের ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ ও ভারতের সীমানা নির্ধারণী একটি চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য। - প্রথম এই তিনটি সংশোধনী কখনো আদালতে চ্যালেঞ্জড হয়নি বা অবৈধ ঘোষিত হয়নি। - বাংলাদেশের সংবিধানে প্রথম সবচেয়ে বড় ও বিতর্কিত সংশোধনী আনা হয় ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি। - এদিন সংবিধানে চতুর্থ সংশোধনী এনে সংসদীয় গণতন্ত্র বাতিল করে রাষ্ট্রপতিশাসিত এবং একদলীয় শাসনব্যবস্থা চালু করা হয়। - বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল বা একটি নতুন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালুর মধ্য দিয়ে দেশের সব রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হয়। - এই সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে একচ্ছত্র ক্ষমতাবান করা হয়।
|
|
| |
|
|
|
- বাংলাদেশের সংবিধান জনগণের মৌলিক অধিকারের উৎস ও রক্ষক হিসেবে বিবেচিত, যেখানে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার এবং এর নিশ্চয়তার বিধান সন্নিবেশিত রয়েছে। - সংবিধানে মোট ১৫৩টি অনুচ্ছেদ, - ১১টি ভাগ, - ৭টি তফসিল, - ৪টি মূলনীতি এবং - ১টি প্রস্তাবনা রয়েছে।
- তৃতীয় ভাগের বিষয়বস্তু হলো মৌলিক অধিকার, যেখানে ২৬নং থেকে ৪৭নং পর্যন্ত মোট ২২টি অনুচ্ছেদ অন্তর্ভুক্ত। - তবে ৩০নং অনুচ্ছেদটি মৌলিক অধিকারের অন্তর্গত নয়। - সংবিধান দেশের নাগরিকদের অধিকার সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
|
|
| |
|
|
|
- বর্তমানে সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার চার মূলনীতি হলো—জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। - বর্তমানের চার মূলনীতির মধ্যে শুধু গণতন্ত্র রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত নতুন পাঁচ মূলনীতির মধ্যে। - সুপারিশ করা নতুন পাঁচটি মূলনীতি হলো—সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, বহুত্ববাদ ও গণতন্ত্র।
|
|
| |
|
|
|
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ: - কোন নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরূপে মনোনীত হইয়া কোন ব্যক্তি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি যদি- (ক) উক্ত দল হইতে পদত্যাগ করেন, অথবা (খ) সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন,
- তাহা হইলে সংসদে তাঁহার আসন শূন্য হইবে। তবে তিনি সেই কারণে পরবর্তী কোন নির্বাচনে সংসদ-সদস্য হইবার অযোগ্য হইবেন না।
|
|
| |
|
|
|
- ৪ নভেম্বর, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধানের খসড়া গণপরিষদে গৃহিত হয়। - গণপরিষদের সদস্যরা ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭২ সংবিধানের বাংলা ও ইংরেজিতে স্বাক্ষর করেন। - ৩৯৯ জন সদস্য হাতে লিখিত মূল সংবিধানে স্বাক্ষর করেন। প্রথম হাতে লিখিত সংবিধানটি ছিল ৯৩ পাতার, স্বাক্ষরসহ যা ছিল ১০৮ পাতা। - সংবিধান লেখার সময় খসড়া পর্যালোচনার জন্য শিক্ষাবিদ ড. আনিসুজ্জামানকে আহ্বায়ক, সৈয়দ আলী আহসান এবং মযহারুল ইসলামকে ভাষা বিশেষজ্ঞ হিসেবে একটি কমিটি গঠন করে পর্যালোচনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। - সেই সময়ে সংবিধান ছাপাতে ব্যয় হয়েছিলো মাত্র ১৪ হাজার টাকা। - সংবিধান কার্যকর বা প্রবর্তিত হয় ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২।
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
সংবিধানের ৫৭ (১) অনুচ্ছেদে বলা আছে প্রধানমন্ত্রীর পদ শূন্য হবে, যদি-
(ক) তিনি কোনো সময়ে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন; অথবা
(খ) তিনি সংসদ-সদস্য না থাকেন।
৫৭ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ বা সংসদ ভেঙে দিতে লিখিত ভাবে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিলে রাষ্ট্রপতি যদি মনে করেন অন্য কোনো সংসদ সদস্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন নন, তাহলে তিনি সংসদ ভেঙে দেবেন।
৫৭ (৩) অনুচ্ছেদ বলা আছে, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলেও তার উত্তরসূরি নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি পদে থাকবেন। কারণ, সরকার ব্যবস্থায় ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী বলতে কিছু নেই।
|
|
| |
|
|
|
১৯৭২ সালের সংবিধানে যে চারটি মৌলিক নীতি গ্রহণ করা হয়েছিল, সেই চারটি মূলনীতিই প্রকাশ করে জাতীয় প্রতীকের চারটি তারকা ।
উল্লেখ্য, চারটি মূলনীতি হলোঃ
০১. জাতীয়তাবাদ; ০২. ধর্ম নিরপেক্ষতা; ০৩. সমাজতন্ত্র; ০৪. গণতন্ত্র ।
আমাদের রাষ্ট্রীয় মনোগ্রাম হল লাল রঙের বৃত্তের মাঝে হলুদ রঙের বাংলাদেশের মানচিত্র । বৃত্তের উপর দিকে লেখা 'গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ ' নিচে লেখা 'সরকার' এবং বৃত্তের দু ' পাশে দুটি করে মোট ৪ টি তারকা। এ মনোগ্রামটির ডিজাইনার হলেন এ.এন সাহা ।
|
|
| |
|
|
|
রাষ্ট্র পরিচালনার মুলনীতিঃ
৮ নং অনুচ্ছেদ - মূলনীতিসমূহ
৯ নং অনুচ্ছেদ - জাতীয়তাবাদ
১০ নং অনুচ্ছেদ - সমাজতন্ত্র ও শোষণমুক্তি
১১ নং অনুচ্ছেদ - গণতন্ত্র ও মানবাধিকার
১২ নং অনুচ্ছেদ - ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা
১৩ নং অনুচ্ছেদ - মালিকানার নীতি
১৪ নং অনুচ্ছেদ - কৃষক ও শ্রমিকের মুক্তি
১৫ নং অনুচ্ছেদ - মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা
১৬ নং অনুচ্ছেদ - গ্রামীণ উন্নয়ন ও কৃষি বিপ্লব
১৭ নং অনুচ্ছেদ - অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা
১৮ নং অনুচ্ছেদ - জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা
১৮ক নং অনুচ্ছেদ - পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়ন
১৯ নং অনুচ্ছেদ - সুযোগের সমতা
২০ নং অনুচ্ছেদ - অধিকার ও কর্তব্যরূপে কর্ম
২১ নং অনুচ্ছেদ - নাগরিক ও সরকারি কর্মচারীদের কর্তব্য
২২ নং অনুচ্ছেদ - নির্বাহী বিভাগ হইতে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ
২৩ নং অনুচ্ছেদ - জাতীয় সংস্কৃতি
২৩ক নং অনুচ্ছেদ - উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি
২৪ নং অনুচ্ছেদ - জাতীয় স্মৃতিনিদর্শন প্রভৃতি
২৫ নং অনুচ্ছেদ - আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতির উন্নয়ন
|
|
| |
|
|
|
- ৪ নভেম্বর, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধানের খসড়া গণপরিষদে গৃহিত হয়। এজন্য ৪ নভেম্বরকে ‘সংবিধান দিবস’ বলা হয়। - সংবিধান কার্যকর বা প্রবর্তিত হয় ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২। - এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সংবিধান মোট ১৭ বার সংশোধন হয়েছে। - সর্বশেষ ৮ জুলাই ২০১৮ সালে সপ্তদশ সংশোধনী কার্যকর হয়। - সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীটি হল সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা পুনঃ প্রবর্তন ,উপরাষ্ট্রপতির পদ বিলুপ্ত করা । - এটি ১৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৯১ রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মধ্যদিয়ে অনুমোদন লাভ করে।
|
|
| |
|
|
|
৮৭নং অনুচ্ছেদে- (১) প্রত্যেক অর্থ-বৎসর সম্পর্কে উক্ত বৎসরের জন্য সরকারের অনুমিত আয় ও ব্যয়-সংবলিত একটি বিবৃতি (এই ভাগে "বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি" নামে অভিহিত) সংসদে উপস্থাপিত হইবে। (২) বার্ষিক আর্থিক বিবৃতিতে পৃথক পৃথকভাবে (ক) এই সংবিধানের দ্বারা বা অধীন সংযুক্ত তহবিলের উপর দায়রূপে বর্ণিত ব্যয়নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ, এবং (খ) সংযুক্ত তহবিল হইতে ব্যয় করা হইবে, এইরূপ প্রস্তাবিত অন্যান্য ব্যয়নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ প্রদর্শিত হইবে এবং অন্যান্য ব্যয় হইতে রাজস্বখাতের ব্যয় পৃথক করিয়া প্রদর্শিত হইবে।
|
|
| |
|
|
|
• ৪ নভেম্বর, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধানের খসড়া গণপরিষদে গৃহিত হয়। এজন্য ৪ নভেম্বরকে ‘সংবিধান দিবস’ বলা হয়। • সংবিধান কার্যকর বা প্রবর্তিত হয় ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২।
• বাংলাদেশের সংবিধান জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন ডক্টর কামাল হোসেন। • হস্তলিখিত সংবিধানের মূল লেখক শিল্পী আব্দুর রউফ। হস্তলিখিত সংবিধানের অঙ্গসজ্জা করেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন।
• সংবিধানে প্রথম স্বাক্ষর করেন - সংসদ নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
• সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত হস্তলিখিত সংবিধান প্রণয়ন কমিটির থাকা সত্তেও স্বাক্ষর করেননি।
|
|
| |
|
|
|
- এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সংবিধান মোট ১৭ বার সংশোধন হয়েছে। - সর্বশেষ ৮ জুলাই ২০১৮ সালে সপ্তদশ সংশোধনী কার্যকর হয়। - সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীটি হল সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা পুনঃ প্রবর্তন ,উপরাষ্ট্রপতির পদ বিলুপ্ত করা । - এটি ১৮ সেপ্টেম্বর ,১৯৯১ রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মধ্যদিয়ে অনুমোদন লাভ করে।
|
|
| |
|
|
|
- ১৯৭২ সালে প্রণীত হওয়ার পর বাংলাদেশের সংবিধান এখন পর্যন্ত ১৭ বার সংশোধন হয়েছে। - প্রথম থেকে চতুর্থ সংশোধনী আনা হয় শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন প্রথম আওয়ামী লীগ আমলে। - পঞ্চম ও ষষ্ঠ সংশোধনী আনা হয় যথাক্রমে জিয়াউর রহমান ও বিচারপতি আবদুস সাত্তার ক্ষমতায় থাকাকালে। - সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম সংশোধনী আনা হয় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সরকারের সময়ে। - একাদশ, দ্বাদশ, ত্রয়োদশ ও চতুর্দশ সংশোধনী আনা হয় খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকারের দুই আমলে। - পঞ্চদশ, ষোড়শ ও সপ্তদশ সংশোধনী আনা হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ আমলে।
- এর মধ্যে ১৯৭৩ সালের ১৫ জুলাই সংবিধানের প্রথম সংশোধনী গৃহিত হয়। - সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৮ জুলাই জাতীয় সংসদে সংবিধানের ১৭ তম সংশোধনী পাস হয়।
|
|
| |
|
|
|
১৫০(২); ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ তারিখ হইতে ১৯৭২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর তারিখে এই সংবিধান প্রবর্তন হইবার অব্যবহিত পূর্ব পর্যন্ত সময়কালের মধ্যে সংবিধানের পঞ্চম তফসিলে বর্ণিত ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ তারিখে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে দেওয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ, ষষ্ঠ তফসিলে বর্ণিত ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ তারিখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার টেলিগ্রাম এবং সপ্তম তফসিলে বর্ণিত ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল তারিখে মুজিবনগর সরকারের জারিকৃত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র হইল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের ঐতিহাসিক ভাষণ ও দলিল, যাহা উক্ত সময়কালের জন্য ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানাবলী বলিয়া গণ্য হইবে।]
|
|
| |
|
|
|
- ১৯৭২ সকলের ১১ এপ্রিল গণপরিষদের অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে সংবিধানের খসড়া প্রণয়নের জন্য ৩৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। - এদের মধ্যে ৩৩ জন ছিলেন আওয়ামীলীগ দলীয় গণপরিষদের সদস্য আর একজন ন্যাপ সদস্য। - সংবিধান রচনার কমিটিতে একমাত্র মহিলা সদস্য ছিলেন বেগম রাজিয়া বানু। - কমিটির প্রধান হচ্ছেন আইন ও সংসদ বিষ্যক মন্ত্রী ডা. কামাল হোসেন। - ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন কমিটি মোট ৭৪টি বৈঠক মিলিত হয়। - কমিটি ১৯৭২ সালের ১০ জুন অনুষ্ঠিত সভায় সংবিধানের প্রাথমিক খসড়া অনুমোদন করে। - খসড়া সংবিধান নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা শেষে ১১ অক্টোবর কমিটির শেষ সভায় সংবিধানের পূর্ণাঙ্গ খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। - গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের খসড়া সর্বপ্রথম গণপরিষদে ১৯৭২ সালে ১২ অক্টোবর উত্থাপিত হয়। - এরপর ৪ নভেম্বর, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধানের খসড়া গণপরিষদে গৃহিত হয়। এজন্য ৪ নভেম্বরকে ‘সংবিধান দিবস’ বলা হয়। - সংবিধান কার্যকর বা প্রবর্তিত হয় ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২।
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
- অনুচ্ছেদ ৭০ - রাজনৈতিক দল হইতে পদত্যাগ বা দলের বিপক্ষে ভোটদানের কারণে আসন শূন্য হওয়া। - অনুচ্ছেদ ৭১ - দ্বৈত-সদস্যতায় বাধা। - অনুচ্ছেদ ৭২ - সংসদের অধিবেশন। - অনুচ্ছেদ ৭৩ - সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ ও বাণী। - অনুচ্ছেদ ৭৩ক - সংসদ সম্পর্কে মন্ত্রীগণের অধিকার। - অনুচ্ছেদ ৭৪ - স্পীকার ও ডেপুটি স্পীকার। - অনুচ্ছেদ ৭৫ - কার্যপ্রণালী-বিধি, কোরাম প্রভৃতি। - অনুচ্ছেদ ৭৬ - সংসদের স্থায়ী কমিটিসমূহ। - অনুচ্ছেদ ৭৭ - ন্যায়পাল। - অনুচ্ছেদ ৭৮ - সংসদ ও সদস্যদের বিশেষ অধিকার ও দায়মুক্তি। - অনুচ্ছেদ ৭৯ - সংসদ-সচিবালয়।
|
|
| |
|
|
|
- অনুচ্ছেদ ৭০ - রাজনৈতিক দল হইতে পদত্যাগ বা দলের বিপক্ষে ভোটদানের কারণে আসন শূন্য হওয়া। - অনুচ্ছেদ ৭১ - দ্বৈত-সদস্যতায় বাধা। - অনুচ্ছেদ ৭২ - সংসদের অধিবেশন। - অনুচ্ছেদ ৭৩ - সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ ও বাণী। - অনুচ্ছেদ ৭৩ক - সংসদ সম্পর্কে মন্ত্রীগণের অধিকার। - অনুচ্ছেদ ৭৪ - স্পীকার ও ডেপুটি স্পীকার। - অনুচ্ছেদ ৭৫ - কার্যপ্রণালী-বিধি, কোরাম প্রভৃতি। - অনুচ্ছেদ ৭৬ - সংসদের স্থায়ী কমিটিসমূহ। - অনুচ্ছেদ ৭৭ - ন্যায়পাল। - অনুচ্ছেদ ৭৮ - সংসদ ও সদস্যদের বিশেষ অধিকার ও দায়মুক্তি। - অনুচ্ছেদ ৭৯ - সংসদ-সচিবালয়।
|
|
| |
|
|
|
বাংলাদেশ সংবিধানের ১১টি অধ্যায়ের আলোচ্য বিষয়সমূহ: • প্রথম অধ্যায় - প্রজাতন্ত্র (এই ভাগেই রাষ্ট্রভাষার কথা উল্লেখিত) • দ্বিতীয় অধ্যায় - রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি। • তৃতীয় অধ্যায় - মৌলিক অধিকার। • চতুর্থ অধ্যায় - নির্বাহী বিভাগ। • পঞ্চম অধ্যায় - আইনসভা। • ষষ্ঠ অধ্যায় - বিচার বিভাগ। • সপ্তম অধ্যায় - নির্বাচন। • অষ্টম অধ্যায় - মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক। • নবম অধ্যায় - বাংলাদেশের কর্মবিভাগ। • দশম অধ্যায় - সংবিধানের সংশোধন। • একাদশ অধ্যায় - বিবিধ।
|
|
| |
|
|
|
- অনুচ্ছেদ ১ - প্রজাতন্ত্র। - অনুচ্ছেদ ২ - প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সীমানা। - অনুচ্ছেদ ৩ - রাষ্ট্রভাষা। - অনুচ্ছেদ ৪ - জাতীয় সঙ্গীত, পতাকা ও প্রতীক। - অনুচ্ছেদ ৫(১) প্রজাতন্ত্রের রাজধানী ঢাকা৷ - অনুচ্ছেদ ৫(২) রাজধানীর সীমানা আইনের দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷
|
|
| |
|
|
|
পঞ্চদশ সংশোধনী: ৩০ জুন, ২০১১
- এই সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নায়ক শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক হিসেবে স্বীকৃতিও দেওয়া হয়। - এই সংশোধনীর দ্বারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। - জাতীয় সংসদে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা বিদ্যমান ৪৫-এর স্থলে ৫০ করা হয়।
|
|
| |
|
|
|
✔ ১৯(৩) নং অনুচ্ছেদে ‘জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে মহিলাদের অংশগ্রহণ ও সুযোগের সমতা নিশ্চিতকরণের কথা বলা হয়েছে। ✔ বাংলাদেশের সংবিধানের ২৮ (৪) অনুচ্ছেদ বলে রাষ্ট্র নারী, শিশু বা অনগ্রসর নাগরিকদের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান তৈরির ক্ষমতা পায়।
|
|
| |
|
|
|
সংবিধানের ৪৮(৪) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হইবার যোগ্য হইবেন না, যদি তিনি- (ক) পঁয়ত্রিশ বৎসরের কম বয়স্ক হন; অথবা (খ) সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইবার যোগ্য না হন; অথবা (গ) কখনও এই সংবিধানের অধীন অভিশংসন দ্বারা রাষ্ট্রপতির পদ হইতে অপসারিত হইয়া থাকেন। রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ
তবে সংবিধানের ৫০ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, এই সংবিধানের বিধানাবলী সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি কার্যভার গ্রহণের তারিখ হইতে পাঁচ বৎসর মেয়াদে তাহার পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, রাষ্ট্রপতির পদের মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও তাহার উত্তরাধিকারী-কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন।
(২) একাধিক্রমে হউক বা না হউক-দুই মেয়াদের অধিক রাষ্ট্রপতির পদে কোনও ব্যক্তি অধিষ্ঠিত থাকিবেন না।
(৩) স্পিকারের উদ্দেশে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে রাষ্ট্রপতি স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন।
(৪) রাষ্ট্রপতি তাহার কার্যভারকালে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইবার যোগ্য হইবেন না এবং কোনো সংসদ-সদস্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হইলে রাষ্ট্রপতিরূপে তাহার কার্যভার গ্রহণের দিনে সংসদে তাহার আসন শূন্য হইবে।
|
|
| |
|
|
|
• বাংলাদেশের সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত সংসদ সদস্য যদি দল থেকে পদত্যাগ করেন বা দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন, তাহলে তার সংসদ সদস্য পদ শূন্য বলে গণ্য হবে এবং উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
• কিন্তু এই অনুচ্ছেদ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কারণ স্বতন্ত্র প্রার্থী কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত থাকেন না।
• স্পিকারের ক্ষেত্রেও ৭০ অনুচ্ছেদ প্রযোজ্য নয়। কারণ স্পিকার নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেন এবং কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত থাকেন না।
|
|
| |
|
|
|
বাংলাদেশের সংবিধানে ৬(২) নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- ‘বাংলাদেশের জনগণ জাতি হিসেবে বাঙালি এবং নাগরিকগণ বাংলাদেশি বলিয়া পরিচিত হইবেন।’
|
|
| |
|
|
|
• ৪ নভেম্বর, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধানের খসড়া গণপরিষদে গৃহিত হয়। এজন্য ৪ নভেম্বরকে ‘সংবিধান দিবস’ বলা হয়। • সংবিধান কার্যকর বা প্রবর্তিত হয় ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২।
• বাংলাদেশের সংবিধান জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন ডক্টর কামাল হোসেন। • হস্তলিখিত সংবিধানের মূল লেখক শিল্পী আব্দুর রউফ। হস্তলিখিত সংবিধানের অঙ্গসজ্জা করেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন।
• সংবিধানে প্রথম স্বাক্ষর করেন - সংসদ নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
• সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত হস্তলিখিত সংবিধান প্রণয়ন কমিটির থাকা সত্তেও স্বাক্ষর করেননি।
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
• বাংলাদেশের সংবিধানের তফসিল সমূহ বাংলাদেশের সংবিধানের ৭টি তফসিল – • প্রথম তফছিল – অন্যান্য বিধান সত্ত্বেও কার্যকর আইন। • দ্বিতীয় তফছিল – রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। • তৃতীয় তফছিল- শপথ ঘোষণা। • চতুর্থ তফছিল – ক্রান্তিকাল ও অস্থায়ী বিধানমালা। • পঞ্চম তফছিল–১৯৭১সালের ৭মার্চ তারিখে ঢাকার রেসকোর্সময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণ। • ষষ্ঠ তফছিল -১৯৭১সালের ২৫মার্চ মধ্যরাত শেষে অর্থাৎ ২৬মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণা। • সপ্তম তফছিল- ১০এপ্রিল ১৯৭১ এর মুজিব নগর সরকারের জারিকৃ্তস্বা ধীনতার ঘোষণাপত্র ।
|
|
| |
|