বাংলাদেশের সংবিধান (394 টি প্রশ্ন )
- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৪ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, "বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট" নামে বাংলাদেশের একটি সর্বোচ্চ আদালত থাকবে এবং আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ নিয়ে তা গঠিত হবে।
- এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত এবং সংবিধানের রক্ষক ও ব্যাখ্যাকারী হিসেবে কাজ করে।
- বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৬-তে "গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুতায়ণের ব্যবস্থা" বিষয়টিকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
- এই অনুচ্ছেদে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে যেগুলোর মধ্যে গ্রাম অঞ্চলে বিদ্যুতায়ণের ব্যাপারও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
- এটি একটি মৌলিক রাষ্ট্রনৈতিক নির্দেশনা হিসেবে নজরে রাখা হয় যাতে দেশের গ্রামের মানুষের জীবনমান উন্নত হয়।

তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের সংবিধান।
- সংসদ সদস্য পদ শূন্য হলে উক্ত আসনের জন্য ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার বাধ্যবাধকতার কথা বলা হয়েছে বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৩(৪)-এ।
- এই ধারা নির্দেশ করে যে যদি কোনো সংসদ সদস্যের পদ শূন্য হয়, তাহলে সরকারকে ৯০ দিনের মধ্যে ঐ আসনের জন্য নির্বাচন সম্পন্ন করতে বাধ্য করা হয়েছে।
- বাংলাদেশের সংবিধানের ১৪৮ নং অনুচ্ছেদ এবং ৩য় তফসিল অনুযায়ী সাংবিধানিক পদের শপথ পাঠ করানো হয়।
- মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার।
- পক্ষান্তরে স্পিকারকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি।
-বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ব্যবস্থা সংসদীয় পদ্ধতির।
-এ পদ্ধতিতে প্রধানমন্ত্রীর হাতে সরকারের প্রধান ক্ষমতা ন্যস্ত থাকে।
-বহুদলীয় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জনগণের সরাসরি ভোটে জাতীয় সংসদে সদস্যরা নির্বাচিত হন।
-নির্বাহী ক্ষমতা সরকারের হাতে ন্যস্ত থাকে এবং সরকার নির্বাহী বিভাগ পরিচালনা করে।
-আর সংসদীয় ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হন প্রেসিডেন্ট।

- বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (Bangladesh Public Service Commission - BPSC) একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান।
- বাংলাদেশের সংবিধানের ১৪১(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সরকারি কর্ম কমিশনের দায়িত্ব হলো প্রতি বছর মার্চ মাসের প্রথম দিনে বা তার পূর্বে পূর্ববর্তী বছরের সম্পাদিত কার্যাবলী সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করা

সুতরাং, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুসারেই বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে তার বার্ষিক রিপোর্ট রাষ্ট্রপতির নিকট জমা দিতে হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি সেই রিপোর্টটি জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের ব্যবস্থা করেন।



- ৫ আগস্ট ২০২৪ এ সাধারণ ছাত্রদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের তোপের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
- তারপর ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়।
- অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে রয়েছে ১০টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
- ১৬ আগস্ট নতুন করে উপদেষ্টাদের দপ্তর পুনর্বন্টন করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।
বাংলাদেশের সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদ সংবিধান সংশোধনের সাথে সম্পর্কিত। এই অনুচ্ছেদটি সংবিধানের কোনো বিধান পরিবর্তন, সংযোজন, বিয়োজন বা রদ করার পদ্ধতি বর্ণনা করে।
অনুচ্ছেদ ১৪২ এর মূল বিষয়বস্তু:
-সংসদের ক্ষমতা
-সংশোধনী বিল
-গণভোটের প্রয়োজন (কিছু ক্ষেত্রে)

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
স্থলবন্দরগুলো মূলত দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম এবং যাত্রী পারাপারের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই বন্দরগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, উন্নয়ন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপর ন্যস্ত। যদিও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমদানি-রপ্তানি নীতি নির্ধারণ এবং বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়াদি দেখে, বন্দরের অবকাঠামোগত ও অপারেশনাল দিকগুলো নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় দ্বারা পরিচালিত হয়।
- বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৫-এ বলা হয়েছে, রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতি প্রচারের ক্ষেত্রে নিজস্ব নীতিমালার ভিত্তিতে কাজ করবে এবং প্রত্যেক জাতি যেন তাদের স্বাধীন অভিপ্রায় অনুযায়ী স্ব-নিয়ন্ত্রণ অধিকার, সমাজ, অর্থনীতি ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা নির্ধারণ ও গঠনের অধিকার অবাধে প্রয়োগ করতে পারে—এটি সমর্থন করবে।
- এই অনুচ্ছেদে মূলত জাতিসংঘের নীতিমালার সাথে সামঞ্জস্য রেখে সকল জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার ও স্বাধীন সিদ্ধান্তগ্রহণের অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
- অনুচ্ছেদ ৩৯: চিন্তা ও বিবেকের এবং বাক-স্বাধীনতা বিষয়ক অধিকার।
- অনুচ্ছেদ ৪১: ধর্মীয় স্বাধীনতা।
- অনুচ্ছেদ ৪২: সম্পত্তির অধিকার।
- বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চম ভাগ (অধ্যায়) “আইনসভা” নিয়ে আলোচনা করে।
- এই ভাগে সংবিধানের ৬৫ থেকে ৯৩ অনুচ্ছেদ অন্তর্ভুক্ত, যেখানে সংসদ (জাতীয় সংসদ), সংসদ সদস্যদের যোগ্যতা-অযোগ্যতা, অধিবেশন, কার্যপ্রণালী, সংসদের অধিকার ও দায়মুক্তি, সংসদ-সচিবালয় ইত্যাদি বিষয় বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে।

- বাংলাদেশের সংবিধানের ষষ্ঠ ভাগ "বিচারবিভাগ" এ সুপ্রীম কোর্টের প্রতিষ্ঠার বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে।
- এই ভাগে ৯৪ থেকে ১১৭ নং অনুচ্ছেদ পর্যন্ত বিচার বিভাগের বিভিন্ন দিক বর্ণিত হয়েছে।
- বিশেষ করে, ৯৪নং অনুচ্ছেদেই সুপ্রীম কোর্টের প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ আছে।
- এই অনুচ্ছেদে সুপ্রীম কোর্টের গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলী সংক্রান্ত মৌলিক বিধানাবলী নির্ধারণ করা হয়েছে।

অন্য অনুচ্ছেদগুলো যেমন:
১০২নং অনুচ্ছেদে হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষমতা উল্লেখ আছে,
৮৭নং ও ৯৯নং অনুচ্ছেদে সুপ্রীম কোর্টের অন্যান্য কার্যাবলী বর্ণিত,

- তবে প্রতিষ্ঠার মূল অনুচ্ছেদ হলো ৯৪।
- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১০ জানুযায়ি পাকিস্তানী কারাগার থেকে ঢাকা প্রত্যাবর্তন করেন।
- পরের দিনই সংবিধান রচনার নির্দেশ দেন।
- এ আদেশ বাংলাদেশে সংবিধান রচনার প্রথম পদক্ষেপ।
- ২৩ মার্চ সংবিধান রচনার উদ্দেশ্যে একটি ৪৩০ সদস্যবিশিষ্ট গণপরিষদ গঠন করা হয়।
- ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকায় গণপরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
- ড. কামাল হোসেন ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর গণপরিষদে খসড়া বিধান পেশ করেন।
- ১৯৭২ সালের ১৪ ডিসেম্বর হস্তলিখিত সংবিধানে স্বাক্ষরদানের লক্ষ্যে গণপরিষদের সদস্যগণ পুনরায় একত্রিত হন।
- হস্তলিখিত সংবিধানে প্রথম স্বাক্ষর করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। 
- একমাত্র বিরোধী দলীয় সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সংবিধানে স্বাক্ষর করেন নি। 
- গণপরিষদের ৩৯৯ জন সদস্য হস্তলিখিত মূল সংবিধানে স্বাক্ষর করেন।
- অবশেষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকরী হয়।

- ৪ নভেম্বর, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধানের খসড়া গণপরিষদে গৃহিত হয়।
- গণপরিষদের সদস্যরা ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭২ সংবিধানের বাংলা ও ইংরেজিতে স্বাক্ষর করেন।
- ৩৯৯ জন সদস্য হাতে লিখিত মূল সংবিধানে স্বাক্ষর করেন। প্রথম হাতে লিখিত সংবিধানটি ছিল ৯৩ পাতার, স্বাক্ষরসহ যা ছিল ১০৮ পাতা।
- সংবিধান লেখার সময় খসড়া পর্যালোচনার জন্য শিক্ষাবিদ ড. আনিসুজ্জামানকে আহ্বায়ক, সৈয়দ আলী আহসান এবং মযহারুল ইসলামকে ভাষা বিশেষজ্ঞ হিসেবে একটি কমিটি গঠন করে পর্যালোচনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
- সেই সময়ে সংবিধান ছাপাতে ব্যয় হয়েছিলো মাত্র ১৪ হাজার টাকা।
- সংবিধান কার্যকর বা প্রবর্তিত হয় ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২।
- ১৯৭২ সালে প্রণীত হওয়ার পর বাংলাদেশের সংবিধান এখন পর্যন্ত ১৭ বার সংশোধন হয়েছে।
- প্রথম থেকে চতুর্থ সংশোধনী আনা হয় শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন প্রথম আওয়ামী লীগ আমলে।
- পঞ্চম ও ষষ্ঠ সংশোধনী আনা হয় যথাক্রমে জিয়াউর রহমান ও বিচারপতি আবদুস সাত্তার ক্ষমতায় থাকাকালে।
- সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম সংশোধনী আনা হয় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সরকারের সময়ে।
- একাদশ, দ্বাদশ, ত্রয়োদশ ও চতুর্দশ সংশোধনী আনা হয় খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকারের দুই আমলে।
- পঞ্চদশ, ষোড়শ ও সপ্তদশ সংশোধনী আনা হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ আমলে।

- এর মধ্যে ১৯৭৩ সালের ১৫ জুলাই সংবিধানের প্রথম সংশোধনী গৃহিত হয়।
- সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৮ জুলাই জাতীয় সংসদে সংবিধানের ১৭ তম সংশোধনী পাস হয়।
- অনুচ্ছেদ ৭০ - রাজনৈতিক দল হইতে পদত্যাগ বা দলের বিপক্ষে ভোটদানের কারণে আসন শূন্য হওয়া।
- অনুচ্ছেদ ৭১ - দ্বৈত-সদস্যতায় বাধা।
- অনুচ্ছেদ ৭২ - সংসদের অধিবেশন।
- অনুচ্ছেদ ৭৩ - সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ ও বাণী।
- অনুচ্ছেদ ৭৩ক - সংসদ সম্পর্কে মন্ত্রীগণের অধিকার।
- অনুচ্ছেদ ৭৪ - স্পীকার ও ডেপুটি স্পীকার।
- অনুচ্ছেদ ৭৫ - কার্যপ্রণালী-বিধি, কোরাম প্রভৃতি।
- অনুচ্ছেদ ৭৬ - সংসদের স্থায়ী কমিটিসমূহ।
- অনুচ্ছেদ ৭৭ - ন্যায়পাল।
- অনুচ্ছেদ ৭৮ - সংসদ ও সদস্যদের বিশেষ অধিকার ও দায়মুক্তি।
- অনুচ্ছেদ ৭৯ - সংসদ-সচিবালয়।
-  গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান
২৮।
ধর্ম, প্রভৃতি কারণে বৈষম্য

(১) কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারীপুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোন নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবেন না।

(২) রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারীপুরুষের সমান অধিকার লাভ করিবেন।

(৩) কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে জনসাধারণের কোন বিনোদন বা বিশ্রামের স্থানে প্রবেশের কিংবা কোন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ভর্তির বিষয়ে কোন নাগরিককে কোনরূপ অক্ষমতা, বাধ্যবাধকতা, বাধা বা শর্তের অধীন করা যাইবে না।

(৪) নারী বা শিশুদের অনুকূলে কিংবা নাগরিকদের যে কোন অনগ্রসর অংশের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান-প্রণয়ন হইতে এই অনুচ্ছেদের কোন কিছুই রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করিবে না।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- ১৯৭২ সালে প্রণীত হওয়ার পর বাংলাদেশের সংবিধান এখন পর্যন্ত ১৭ বার সংশোধন হয়েছে।
- প্রথম থেকে চতুর্থ সংশোধনী আনা হয় শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন প্রথম আওয়ামী লীগ আমলে।
- পঞ্চমষষ্ঠ সংশোধনী আনা হয় যথাক্রমে জিয়াউর রহমান ও বিচারপতি আবদুস সাত্তার ক্ষমতায় থাকাকালে।
- সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম সংশোধনী আনা হয় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সরকারের সময়ে।
- একাদশ, দ্বাদশ, ত্রয়োদশ ও চতুর্দশ সংশোধনী আনা হয় খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকারের দুই আমলে।
- পঞ্চদশ, ষোড়শ ও সপ্তদশ সংশোধনী আনা হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ আমলে।

- এর মধ্যে ১৯৭৩ সালের ১৫ জুলাই সংবিধানের প্রথম সংশোধনী গৃহিত হয়।
- সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৮ জুলাই জাতীয় সংসদে সংবিধানের ১৭ তম সংশোধনী পাস হয়।
বাংলাদেশ সংবিধানের ৯৪ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী,
- বাংলাদেশ 'সুপ্রিম কোর্ট' নামে বাংলাদেশের একটি সর্বোচ্চ আদালত থাকবে এবং আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ নিয়ে তা গঠিত হবে।
- জাতীয় সংসদ প্রণীত আইনের সঠিক ব্যাখ্যা, আইন ও শাসন বিভাগের উপর নজরদারী ও সংবিধানের পবিত্রতা রক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশ সংবিধানের অভিভাবক হিসেবে সুপ্রিম কোর্ট দায়িত্ব পালন করে।

সংবিধানের ৪১ এ-
(১) আইন, জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতা-সাপেক্ষে
- (ক) প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে;
- (খ) প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায় ও উপ-সম্প্রদায়ের নিজস্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের স্থাপন, রক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার অধিকার রহিয়াছে।
সংবিধানের ৯৪ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বাংলাদেশ ‘সুপ্রিম কোর্ট’ নামে বাংলাদেশের একটি সর্বোচ্চ আদালত থাকবে এবং আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ নিয়ে তা গঠিত হবে।
আর ১০৮ ধারা অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্ট একটি ‘কোর্ট অব্ রেকর্ড’ হবে এবং এর অবমাননার জন্য তদন্তের আদেশদান বা দণ্ডাদেশদানের ক্ষমতাসহ আইন-সাপেক্ষে অনুরূপ আদালতের সকল ক্ষমতার অধিকারী থাকবেন।
জয় বাংলাকে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বশির আহমেদ হাইকোর্টে রিট করেন। এ রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ১০ মার্চ, ২০২০ সালে হাইকোর্ট ‘জয় বাংলা'কে জাতীয় স্লোগান করার জন্য নির্দেশ দেয়। হাইকোর্টের নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সালে মন্ত্রিসভা জাতীয় স্লোগান হিসেবে ‘জয় বাংলা’র অনুমোদন দেয়।

আর ২ মার্চ, ২০২২ সালে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মন্ত্রিসভা বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সাংবিধানিক পদাধিকারীরা দেশে ও দেশের বাইরে কর্মরত সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থার কর্মকর্তা/কর্মচারীরা সকল জাতীয় দিবস উদযাপন এবং অন্যান্য রাষ্ট্রীয় ও সরকারি অনুষ্ঠানে বক্তব্যের শেষে ‘জয় বাংলা স্লোগান উচ্চারণ করবেন। আর সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাত্যহিক সমাবেশ সমাপ্তির পর এবং সভা- সেমিনারে বক্তব্যের শেষে শিক্ষকরা ও ছাত্র-ছাত্রীরা ‘জয় বাংলা' স্লোগান উচ্চারণ করবেন।
জাতীয় সংসদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইনসভা।
- এককক্ষ বিশিষ্ট এ আইনসভার সদস্য সংখ্যা ৩৫০;
- যার মধ্যে ৩০০ জন সংসদ সদস্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন এবং
- অবশিষ্ট ৫০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত।
- সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যগণ নির্বাচিত ৩০০ সংসদ সদস্যের ভোটে (পরোক্ষ নির্বাচন পদ্ধতিতে) নির্বাচিত হন।
- সংসদের মেয়াদকাল পাঁচ বছর।

নারীর রাজনৈতিক ক্ষ্মতায়নে সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন-
- ১৯৭২ এর মূল সংবিধান আসন সংখ্যান ১৫ ও মেয়াদ ১০ বছর ছিল।
- ৫ম সংশোধনীতে আসন সংখ্যা ৩০ -এ উন্নতি করা হয় ও মেয়াদ ১৫ বছর।
- ১০ম সংশোধনীতে আসন সংখ্যা ৩০ ও মেয়াদ ১০ বছর।
- ১৪তম সংশোধনীতে আসন সংখ্যা ৪৫ -এ উন্নতি করা হয় ও মেয়াদ ১০ বছর।
- ১৫তম সংশোধনীতে আসন সংখ্যা ৫০ -এ উন্নতি করা হয় ও মেয়াদ ১০ বছর।
- ১৭তম সংশোধনীতে আসন সংখ্যা ৫০ ও মেয়াদ ২৫ বছর করা হয়।
২৫ : আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতির উন্নয়ন
৪৭ : সংবিধানের কতিপয় বিধানের অপ্রযোজ্যতা
৬৩ : সংসদের সম্মতি ব্যতিত যুদ্ধ ঘোষণা না করা
সাংবিধানিক পদ ৯টি, সাংবিধানিক সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান ৭ টি।
বাংলাদেশের সংবিধানের আওতায় বেশ কয়েকটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহ বাংলাদেশ সরকারের আইনি প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকারের আইনি কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। প্রতিষ্ঠান গুলো হলঃ
১। নির্বাহী বিভাগ বা শাসন বিভাগ
২। আইন বিভাগ
৩। বিচার বিভাগ
৪। নির্বাচন কমিশন
৫। সরকারি কর্ম কমিশন
৬। অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়
৭। মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়

সাংবিধানিক পদ সমুহ :
----------------------------
১. রাষ্ট্রপতি
২. প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী
৩. স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার
৪. সংসদ সদস্যগণ
৫. প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারপতি
৬. নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার
৭. অ্যাটর্নি জেনারেল
৮. সরকারি কর্ম কমিশন চেয়ারম্যান
৯. মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক

- যে সব প্রতিষ্ঠান সংবিধানের সুস্পষ্ট বিধি মোতাবেক প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত, তাকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বলে।
- আর এ প্রতিষ্ঠানের পদগুলো সাংবিধানিক পদ নামে অভিহিত।
সাংবিধানিক পদগুলো হলো:
- কমিশনার (বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন),
- চেয়ারম্যান (বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন),
- অ্যাটর্নি জেনারেল (অ্যাটর্নি জেনারেল এর কার্যালয়),
- জাতীয় সংসদ সচিবালয়, কম্পট্রোলার ও অডিটর জেনারেল (মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়)।

এ ছাড়া আরোও কিছু সাংবিধানিক পদ হলো-
- রাষ্ট্রপতি,
- প্রধানমন্ত্রী,
- মন্ত্রীগণ,
- স্পীকার,
- সংসদ সদস্য ও
- বিচারপতি।

- জাতীয় মানবাধিকার কমিশন একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা।
- ৯ ডিসেম্বর, ২০০৭ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। বাংলাদেশের সংবিধান লিখিত, যা ১১টি ভাগে বিভক্ত এবং এর অনুচ্ছেদ ১৫৩।
- এর প্রধান বৈশিষ্ট্য ১২টি
- এ সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ১৯৭২ সালের ১১ এপ্রিল ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি করে ৩৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
- ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর গণপরিষদের দ্বিতীয় অধিবেশনে খসড়া সংবিধান উত্থাপন করা হয়।
- ৪ নভেম্বর গণপরিষদ কর্তৃক এ সংবিধান গৃহীত হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২ সাল থেকে কার্যকর হয়।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
১৯৭২ সালের বাংলাদেশের সংবিধানের রাষ্ট্রীয় মূলনীতি ৪ টি ,যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের ৮(১) ধারায় বর্ণিত ।
এগুলো হলঃ
- জাতীয়বাদ ,
- সমাজতন্ত্র ,
- গণতন্ত্র ও
- ধর্মনিরপেক্ষতা ।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0