Loading [MathJax]/jax/input/TeX/config.js
 
প্রকৃতি ও প্রত্যয় (409 টি প্রশ্ন )
- ক্রিয়ামূল বা নাম প্রকৃতির পরে যে বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে তাকে প্রত্যয় বলে।
- প্রত্যয় সাধারণত ধাতু বা শব্দের শেষে যুক্ত হয়।

যেমন:
• √ডুব + অন্ত = ডুবন্ত,
• মনু + ষ্ণ = মানব,
• এক+ইক = ঐকিক ইত্যাদি।
- তদ্ধিত প্রত্যয়: নাম বা শব্দের সাথে বা শেষে যেসব প্রত্যয় যোগ হয়ে নতুন শব্দ গঠিত হয় তাদের তদ্ধিত প্রত্যয় বলে।

যেমন: মধুর+ষ্ণ = মাধুর্য , - এখানে 'ষ্ণ' প্রত্যয় যোগে নতুন শব্দ তৈরি হয়েছে।
- সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়ে কর্ম ও ভাববাচ্যের ধাতুর পরে 'তব্য' ও 'অনীয়' প্রত্যয় হয়।
যেমন:
- √কৃ+তব্য = কর্তব্য; 
- √কৃ+অনীয় = করণীয়;
- দৃশ+অনীয় = দর্শনীয়
বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয়ঃ আন, আনি, আনা, পনা, সা, গর, কর, দার, বাজ, বন্দি, খানা, সই, খোর, গিরি, চা, চি, চী, তর, দান, দানি, নবিশ ।

- সুতরাং, 'গলাবাজি' শব্দটি বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয়যুক্ত।
ক্রিয়া প্রকৃতি বা ধাতুর শেষে যে সংস্কৃত প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তাকে সংস্কৃত কৃৎপ্রত্যয় বলে। সংস্কৃত কৃত প্রত্যয়গুলো অনেক সময় বাংলায় পরিবর্তিত রূপে ব্যবহৃত হয়। 
যেমন: 
- সংস্কৃত 'অনট' প্রত্যয়ের বাংলা রূপ 'অন' 
- সংস্কৃত 'ণক' প্রত্যয়ের বাংলা রূপ 'অক' ।
যেমন- √গৈ+অক (ণক)= গায়ক, √গম্‌+অন (অনট) = গমন, √জাগৃ+ইত = জাগরিত ইত্যাদি।

ষ্ণ, ষ্ণি, ষ্ণ্য, ষ্ণিক, ইত, ইমন, ইল, ইষ্ট, ঈন, তর, তম, তা, ত্ব, নীন, নীয়, বতুপ্, বিন, র, ল প্রভৃতি সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়যোগে যেসব শ্বব্দ গঠিত হয় তাদের সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়।
- ‘মানব’ শব্দটি এখানে মূল শব্দ বা প্রকৃতি। এটি একটি নাম প্রকৃতি।
- ‘ইক’ প্রত্যয়টি ‘মানব’ শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ ‘মানবিক’ তৈরি করেছে।
- ‘মানবিক’ শব্দটি মানব সম্পর্কিত বা মানবের গুণাবলী বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এখানে ‘ইক’ প্রত্যয় যোগ করার মাধ্যমে শব্দটি বিশেষণ রূপে ব্যবহৃত হয়েছে।
উদাহরণ: মানব + ইক = মানবিক (যেমন: মানবিক গুণাবলী, মানবিক আচরণ)।

- এটি একটি তদ্ধিত প্রত্যয়, যা নাম প্রকৃতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন অর্থ প্রকাশ করে।
- অনট্‌ প্রত্যয় যোগে গঠিত শব্দসমূহ হলো এমন শব্দ, যেগুলোতে "অনট্‌" প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি হয়।
- এই প্রত্যয় সাধারণত ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশেষ্য বা বিশেষণ পদ গঠন করে।

উদাহরণসমূহ:
- √গম্ + অনট্ = গমন
অর্থ: যাওয়া বা চলা।

- √নী + অনট্ = নয়ন
অর্থ: চোখ।

- √শ্রু + অনট্ = শ্রবণ
অর্থ: শোনা।

- √দৃশ্ + অনট্ = দর্শন
অর্থ: দেখা।

- √ভুজ্ + অনট্ = ভোজন
অর্থ: খাওয়া।

- √স্মৃ + অনট্ = স্মরণ
অর্থ: মনে রাখা।
'পূজক' (বিশেষণ পদ),
-এটি একটি সংস্কৃত শব্দ।
- এটি সংস্কৃত কৃৎ-প্রত্যয় যোগে গঠিত শব্দ।
- প্রকৃতি প্রত্যয়: √পূজ্‌ + অক।
অর্থ:
- আরাধক,
- উপাসক,
- অর্চক।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
তদ্ধিত ‘উ-প্রত্যয়’ যোগে গঠিত শব্দগুলো হলো:
- ঢাল + উ = ঢালু;
- কল + উ = কলু।

অন্যদিকে,
‘উ’ কৃৎ-প্রত্যয়যোগে গঠিত শব্দ হলো:
- √ডাক্ + উ = ডাকু;
- √ঝাড় + উ =ঝাড়ু;
- √উড় + উ = উড়ু।
- আ-কারান্ত প্রযোজক (ণিজন্ত) ধাতুর পরে 'আন' প্রত্যয় যুক্ত হলে 'আনো' হয়৷
যেমন:
- √জানা + আন = জানানো।
এরূপ- শোনানো, ভাসানো ইত্যাদি৷

অন্যদিকে,
‘অনি’ (বিকল্পে) উনি-প্রত্যয় যোগে গঠিত শব্দ হচ্ছে:
• √বাঁধ + অনি = বাাঁধনি;
• √চির + অনি = চিরনি;

‘অন্ত’ প্রত্যয় যোগে গঠিত শব্দ হচ্ছে:
• √উড় + অন্ত = উড়ন্ত;
• √ডুব + অন্ত = ডুবন্ত।

‘অক’ প্রত্যয় যোগে গঠিত শব্দ হচ্ছে:
• √মুড় + অক = মোড়ক;
• √ঝল্ + অক = ঝলক।
ক্রিয়া প্রকৃতি বা ধাতুর শেষে যে সংস্কৃত প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তাকে সংস্কৃত কৃৎপ্রত্যয় বলে। সংস্কৃত কৃত প্রত্যয়গুলো অনেক সময় বাংলায় পরিবর্তিত রূপে ব্যবহৃত হয়। 
যেমন: 
- সংস্কৃত 'অনট' প্রত্যয়ের বাংলা রূপ 'অন' 
- সংস্কৃত 'ণক' প্রত্যয়ের বাংলা রূপ 'অক' ।
যেমন- √গৈ+অক (ণক)= গায়ক, √গম্‌+অন (অনট) = গমন ইত্যাদি।

- 'ফ্যাকাসে' শব্দের প্রকৃতি-প্রত্যয় হবে 'ফিকা + সে'
- এটি তদ্ধিত প্রত্যয়ের উদাহরণ।

• তদ্ধিত প্রত্যয়: শব্দের পরে যেসব প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি হয় তাকে বলে তদ্ধিত প্রত্যয়।
- যেমন, মধুর+ষ্ণ = মাধুর্য , - এখানে 'ষ্ণ' প্রত্যয় যোগে নতুন শব্দ তৈরি হয়েছে।

- প্রাতিপদিক তদ্ধিত প্রত্যয়ের প্রকৃতি বলে প্রাতিপদিককে নাম-প্রকৃতিও বলা হয়।
- ধাতু যেমন কৃৎ-প্রত্যয়ের প্রকৃতি, তেমনি প্রাতিপদিকও তদ্ধিত প্রত্যয়ের প্রকৃতি প্রত্যয় যুক্ত হলে ধাতুকে বলা হয় ক্রিয়া- প্রকৃতি এবং প্রাতিপদিককে বলা হয় নাম-প্রকৃতি।

• বাংলা ভাষায় তদ্ধিত প্রত্যয় ৩ প্রকার। 
১) বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়। 
২) বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয়।
৩) তৎসম বা সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়।

সোর্স: মাধ্যমিক বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি (২০২২ সংস্করণ)। 
- শব্দের শেষে তি/ক্তি/ন্তি/গ্ধি/দ্ধি/প্তি থাকলে তি/ক্তি হবে এবং প্রত্যয় সাধিত শব্দটি বিশেষ্য/বিশেষণ হবে।
• শর্টকাট : তি/ক্তি/ন্তি/গ্ধি/দ্ধি/প্তি  = তি/ক্তি

প্রদত্ত শব্দ    প্রকৃতি ও প্রত্যয়

গতি  →  √গম্ + তি/ক্তি
মতি    √মন্ + তি/ক্তি
স্মৃতি    √স্মৃতি + তি/ক্তি
বৃষ্টি    √বৃষ্ + তি/ক্তি । 
- 'টেক+সই' ছাড়া অন্য সবগুলি উদাহরণে একটি মূল শব্দের সাথে একটি প্রত্যয় যুক্ত হয়েছে, যা নতুন অর্থবোধক শব্দ তৈরি করেছে। কিন্তু 'টেক+সই' এর ক্ষেত্রে, এটি দুটি পৃথক শব্দের সমন্বয় মাত্র, যেখানে কোনো প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়নি।
- 'টিপ' শব্দের সাথে 'সই' প্রত্যয় যোগ করে 'টিপসই' শব্দটি গঠিত হয়েছে।
- 'খবর' শব্দের সাথে 'দার' প্রত্যয় যোগ করে 'খবরদার' শব্দটি গঠিত হয়েছে।।
- 'কারি' শব্দের সাথে 'গর' প্রত্যয় যোগ করে 'কারিগর' শব্দটি গঠিত হয়েছে।
বাংলা 'অনা' প্রত্যয় যোগে √খেল্‌+অনা = খেলনা শব্দটি গঠিত হয়েছে।
'অল' প্রত্যয় (ল ইৎ, অ থাকে) যোগে গঠিত শব্দঃ
- √ভি্ + অল = ভয়,
- √ক্ষি্ + অল = ক্ষয়,
- √জি্ + অল = জয় ইত্যাদি।
বাংলা প্রত্যয়জনিত নারীবাচক শব্দ অভিসারিনী। এ প্রত্যয়গুলো বাংলা শব্দের সাথে যুক্ত হয়। পুরুষবাচক শব্দের শেষে ঈ থাকলে নারীবাচক শব্দে নী হয় এবং আগের ঈ পরবর্তীতে ই হয়। 
যেমনঃ
ভিখারী- ভিখারিনী, 
অভিসারী- অভিসারিনী ইত্যাদি। 
এখানে ভিখারী ও অভিসারী খাঁটি বাংলা শব্দ।

সাধারণ প্রত্যয়জনিত কিছু শব্দের শুদ্ধ প্রয়োগঃ অধীন, আবশ্যক, অর্থনীতিক, দূষণীয়, পূজ্য, স্বত্ব, জ্ঞানবান, ব্যাকুল ইত্যাদি।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
 'ষ্ণ' একটি সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়। ষ্ণ, ষ্ণি, ষ্ণ্য, ষ্ণিক, ইত, ইমন, ইল, ইষ্ট, ঈন, তর, তম, তা, ত্ব, নীন, নীয়, বতুপ্, বিন, র, ল প্রভৃতি সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়যোগে যেসব শ্বব্দ গঠিত হয় তাদের সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়।
'ষ্ণ' প্রত্যয়যুক্ত শব্দের মূল স্বরের বৃদ্ধি হয়। \'অ\' (অগ্নি) -স্থলে \'আ\' (আগ)।
-[তথ্যসূত্রঃ বাংলা ভাষার ব্যাকরন ৯ম-১০ম শ্রেনী]
- ইল প্রত্যয় উপকরণজাত বিশেষণ গঠনে ব্যবহৃত হয় । যেমনঃ পঙ্ক + ইল = পঙ্কিল; ফেল + ইল = ফেনিল । 

- ইমন প্রত্যয় বিশেষ্য গঠনে ব্যবহৃত হয় । যেমনঃ নীল+ইমন = নীলিমা; মহৎ + ইমন = মহিমা । 
 
- ইত্য প্রত্যয় উপকরণজাত বিশেষণ গঠনে ব্যবহৃত হয় । যেমনঃ কুসুম + ইত = কুসুমিত; তরঙ্গ + ইত = তরঙ্গিত । 

'রক্তিমা ' শব্দের প্রকৃতি ও প্রত্যয় ‘রক্ত+ইমন’। এটি সংস্কৃত 'ইমন' তদ্ধিত প্রত্যয় দ্বারা গঠিত শব্দ
এরুপ:
- নীলিমা (নীল + ইমন) ,
- মহিমা (মহৎ + ইমন) ,
- দ্রাঘিমা (দীর্ঘ + ইমন) ।
 বর্তমানে 'ইমন' প্রত্যয়কে 'ইমা' প্রত্যয়ে ও লেখা হয় । যেমন: নীল + ইমা = নীলিমা।
কৃদন্ত পদ : কৃৎ প্রত্যয় সাধিত পদটিকে বলা হয় কৃদন্ত পদ। অর্থাৎ যে নাম পদ (বিশেষ্য বা বিশেষণ পদ) ক্রিয়ামূল বা ধাতুর সঙ্গে কৃৎ প্রত্যয় যোগ হয়ে গঠিত, তাকে কৃদন্ত পদ বলে।
- সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ক্রিয়ামূল বা ধাতু থেকে গঠিত বিশেষ্য বা বিশেষণ পদকেই কৃদন্ত পদ বলে।
- যেমন, উপরের পড়ুয়া, নাচুনে, জিতা।
- বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত কৃৎ প্রত্যয় ২ প্রকার- বাংলা কৃৎ প্রত্যয় ও সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়।

√বিদ্+অন+আ = বেদনা সংস্কৃত কৃৎ-প্রত্যয় যোগে গঠিত হয়েছে।

কিন্তু √কৃ+নক = কারক;
√লিখ্‌+ত = লিখিত;
বাংলা 'অনা' প্রত্যয় যোগে √খেল্‌+অনা = খেলনা শব্দটি গঠিত হয়েছে।
- পুরুষবাচক শব্দের শেষে ঈ থাকলে স্ত্রীবাচক শব্দে নী হয় এবং পূর্বের ঈ ‘ই’ হয়। যেমন: মেধাবী-মেধাবিনী; অভিসারী-অভিসারিণী, রোগী-রোগিনী ।

তদ্ধিত প্রত্যয় সাধিত শব্দসমূহ :
- সোনা + আলি = সোনালি
- চোর + আ = চোরা
- ঢাকা + আই = ঢাকাই
- ঢাক + ই = ঢাকি
- বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয় সাধিত শব্দ: 'কেষ্ট + আ = কেষ্টা'।
- ওয়ালা > আলা (হিন্দি) প্রত্যয়যোগে গঠিত শব্দ: বাড়িওয়ালা।
- ওয়ান > আন (হিন্দি) প্রত্যয়যোগে গঠিত শব্দ: গাড়োয়ান।
- আনা > আনি (হিন্দি) প্রত্যয়যোগে গঠিত শব্দ: মুনশিয়ানা।
• তদ্ধিত প্রত্যয়:
শব্দের পরে যেসব প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি হয় তাকে বলে তদ্ধিত প্রত্যয়।
যেমন, মধুর+ষ্ণ = মাধুর্য , - এখানে 'ষ্ণ' প্রত্যয় যোগে নতুন শব্দ তৈরি হয়েছে।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- 'দাপট' শব্দের সঠিক প্রকৃতি প্রত্যয়: দাপ + অট।
- 'নন্দন' শব্দটির সঠিক প্রকৃতি প্রত্যয়: √ নন্দি + অন।
- 'দর্শনীয়' শব্দের সঠিক প্রকৃতি ও প্রত্যয়: √ দৃশ্ + অনীয়।
- 'দৈনিক' শব্দের সঠিক প্রকৃতি প্রত্যয় = দিন + ইক।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0