প্রকৃতি ও প্রত্যয় (397 টি প্রশ্ন )
‘ভাস্বর’ হলো বর প্রত্যয় যোগে গঠিত কৃৎ প্রত্যয়। এরকম আরো- ঈশ্বর, নশ্বর, স্থাবর।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
‘পায়ী’ ইন প্রত্যয় যুগে গঠিত কৃৎ প্রত্যয়। এর প্রকৃতি প্রত্যয়-√পা+ইন।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
কৃদন্ত বিশেষ্য গঠনে ঘঞ্‌-প্রত্যয়ে ঘ্‌ এবং ঞ্‌ ইৎ, ‘অ’ থাকে।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
ষ্ণ (অ) প্রত্যয় যোগে গঠিত শব্দ অপত্য ,উপাসক ভাব অর্থে ও সম্পর্ক বোঝাতে ব্যবহৃত হয় ।যেমন -ভাব অর্থে ব্যবহৃত ও সাধিত শব্দ কিশোর +ষ্ণ =কৈশোর , শিশু +ষ্ণ =শৈশব ও গুরু +ষ্ণ =গৌরব ।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
সাহিত্য+ষ্ণিক= সাহিত্যিক, এখানে 'ষ্ণিক' দক্ষ বা বেত্তা অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। এই অর্থে অন্যান্য উদাহরণ- বেদ+ষ্ণিক= বৈদিক, বিজ্ঞান+ষ্ণিক= বৈদিক।
উক্ত উদাহরণে 'ষ্ণিক'- একটি সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়। সংস্কৃত বা তৎসম শব্দের পরে যে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠিত হয় তাকে সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয় বলে। যেমন- অণু+ইক (ষ্ণিক্‌)= আণবিক, পুষ্প+ইত= পুষ্পিত ইত্যাদি।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
• ছিন্ন = √ছিদ্ + ক্ত
• খ্যাত = √খ্যা+ক্ত 
• শান্তি = শম্ + ক্তি
• সৌর = সূর্য + অ
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
নামসই ও টিপসই শব্দ দুটোর ‘সই’ প্রত্যয় নয়। এটি ‘সহি’(স্বাক্ষর) শব্দ থেকে উৎপন্ন। তাই নামসই শব্দটিতে সই-প্রত্যয় ‘মতো’ অর্থে যুক্ত হয়নি। সূত্রঃ বাংলা ভাষার ব্যাকরণ (নবম-দশম শ্রেণি)।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
কৃদন্ত পদ : কৃৎ প্রত্যয় সাধিত পদটিকে বলা হয় কৃদন্ত পদ। অর্থাৎ যে নাম পদ (বিশেষ্য বা বিশেষণ পদ) ক্রিয়ামূল বা ধাতুর সঙ্গে কৃৎ প্রত্যয় যোগ হয়ে গঠিত, তাকে কৃদন্ত পদ বলে।
- সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ক্রিয়ামূল বা ধাতু থেকে গঠিত বিশেষ্য বা বিশেষণ পদকেই কৃদন্ত পদ বলে।
- যেমন, উপরের পড়ুয়া, নাচুনে, জিতা।
- বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত কৃৎ প্রত্যয় ২ প্রকার- বাংলা কৃৎ প্রত্যয় ও সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়।

√বিদ্+অন+আ = বেদনা সংস্কৃত কৃৎ-প্রত্যয় যোগে গঠিত হয়েছে।

কিন্তু √কৃ+নক = কারক;
√লিখ্‌+ত = লিখিত;
বাংলা 'অনা' প্রত্যয় যোগে √খেল্‌+অনা = খেলনা শব্দটি গঠিত হয়েছে।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
ক্রিয়া প্রকৃতি বা ধাতুর শেষে যে সংস্কৃত প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তাকে সংস্কৃত কৃৎপ্রত্যয় বলে। সংস্কৃত কৃত প্রত্যয়গুলো অনেক সময় বাংলায় পরিবর্তিত রূপে ব্যবহৃত হয়। 
যেমন: 
- সংস্কৃত 'ণক' প্রত্যয়ের বাংলা রূপ 'অক' , 
- সংস্কৃত 'অনট' প্রত্যয়ের বাংলা রূপ 'অন' । 
যেমন- √গৈ+অক (ণক)= গায়ক, √গম্‌+অন (অনট) = গমন ইত্যাদি।

ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
ক্রিয়া প্রকৃতি বা ধাতুর শেষে যে সংস্কৃত প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তাকে সংস্কৃত কৃৎপ্রত্যয় বলে। সংস্কৃত কৃত প্রত্যয়গুলো অনেক সময় বাংলায় পরিবর্তিত রূপে ব্যবহৃত হয়। 
যেমন: 
- সংস্কৃত 'অনট' প্রত্যয়ের বাংলা রূপ 'অন' 
- সংস্কৃত 'ণক' প্রত্যয়ের বাংলা রূপ 'অক' ।
যেমন- √গৈ+অক (ণক)= গায়ক, √গম্‌+অন (অনট) = গমন ইত্যাদি।

ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
প্রকৃতি ২ প্রকার-
নাম প্রকৃতি : প্রাতিপদিকের সঙ্গে প্রত্যয় যুক্ত হলে প্রাতিপদিকটিকে নাম প্রকৃতি বলে। যেমন, উপরের লাজ, বড়, ঘর- এগুলো নাম প্রকৃতি।
ক্রিয়া প্রকৃতি : ধাতুর সঙ্গে প্রত্যয় যুক্ত হলে ধাতুটিকে ক্রিয়া প্রকৃতি বলে। যেমন, উপরের √পড়, √নাচ, √জিত- এগুলো ক্রিয়া প্রকৃতি।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
• তদ্ধিত প্রত্যয়:
শব্দের পরে যেসব প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি হয় তাকে বলে তদ্ধিত প্রত্যয়।
যেমন, মধুর+ষ্ণ = মাধুর্য , - এখানে 'ষ্ণ' প্রত্যয় যোগে নতুন শব্দ তৈরি হয়েছে।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যে বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি ধাতু বা ক্রিয়ামূল এবং প্রাতিপদিক বা নাম শব্দের পরে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে তাকে প্রত্যয় বলে। নতুন শব্দ গঠনের উদ্দেশ্যে ধাতু বা শব্দের শেষে প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:
√কর্+আ = করা,
√কৃ+অনীয় = করণীয়,
ডিঙি+আ = ডিঙা,
নীল+ইমন্ = নীলিমা।
এখানে √কর এবং √ক হলো ধাতু বা ক্রিয়ামূল আর ‘আ’ এবং ‘অনীয়’ হলো প্রত্যয়। অপরপক্ষে ‘ডিঙি’ এবং ‘নীল’ হলো প্রাতিপদিক বা নাম শব্দ আর ‘আ’ এবং ‘ইমন’ হলো প্রত্যয়।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
শব্দ গঠনের উদ্দেশ্যে নাম প্রকৃতির এবং ক্রিয়া প্রকৃতির পরে যে শব্দাংশ যুক্ত হয় তাকে প্রত্যয় বলে ।প্রত্যয় প্রধানত দুই প্রকার। যেমন : ১় কৃৎ প্রত্যয় ও ২় তদ্ধিত প্রত্যয়।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
শব্দ ও ধাতুর মুলকে প্রকৃতি বলে । প্রকৃত মূলত দুই প্রকার । যথা - নাম প্রকৃতি ও ক্রিয়া প্রকৃতি.

নাম প্রকৃতি:
শব্দের মূলকে নাম-প্রকৃতি বলে। নাম-প্রকৃতির আগে বা পরে কিছু যোগ না করলেও এইগলো শব্দ বলে গণ্য হয়। তাবুও বাক্যে ব্যবহার করতে গেলে এ নাম-প্রকৃতির সাথে বিভক্তি চিহ্ন যোগ করতে হয়।
যেমন- ঢাকা, দোকান।
অন্যভাবে- প্রাতিপদিকের সঙ্গে প্রত্যয় যুক্ত হলে প্রাতিপদিকটিকে নাম প্রকৃতি বলে। যেমন, উপরের লাজ, বড়, ঘর- এগুলো নাম প্রকৃতি।

ক্রিয়া প্রকৃতি:
ধাতুর মূলকে ধাতু-প্রকৃতি বা ক্রিয়া-প্রকৃতি বলে। ধাতু-প্রকৃতি বা ক্রিয়া-প্রকৃতি প্রত্যয় বা বিভক্তিযুক্ত না হয়ে শব্দরূপে ব্যবহৃত হয় না। যে সমস্ত ধাতু শব্দরূপে ব্যবহৃত হতে দেখা যায়, সে গুলোতে একটি শূন্য প্রত্যয় যুক্ত আছে বলে ধরে নেওয়া হয়।
যেমন- লিখ্‌, কর্‌।

অন্যভাবে- ধাতুর সঙ্গে প্রত্যয় যুক্ত হলে ধাতুটিকে ক্রিয়া প্রকৃতি বলে। যেমন, উপরের √পড়, √নাচ, √জিত- এগুলো ক্রিয়া প্রকৃতি।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।

-যে শব্দকে বা কোনো শব্দের যে অংশকে আর কোনো ক্ষুদ্রতম অংশে ভাগ করা যায় না, তাকে প্রকৃতি বলে।
-প্রকৃতি : শব্দমূল বা শব্দের যে অংশকে আর ভাঙা যায় না, তাকে প্রকৃতি বলে।
-প্রত্যয় যুক্ত প্রতিটি মৌলিক শব্দ তথা প্রত্যয় যুক্ত প্রতিটি প্রাতিপদিক ও ধাতুই একেকটি প্রকৃতি।
-কিন্তু মৌলিক শব্দকে প্রকৃতি বলা যায় না।
-যখনই সেই শব্দের সঙ্গে বা অতিরিক্ত শব্দাংশ বা প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তখনই কেবল নতুন সৃষ্ট শব্দটির মূল শব্দটিকে প্রকৃতি বলা যায়।

যেমন - লাজুক, বড়াই, ঘরামি, পড়ুয়া, নাচুনে, জিতা শব্দগুলোর মূলশব্দ যথাক্রমে লাজ, বড়, ঘর, পড়, নাচ, জিত।


ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
√নাচ+উনে = নাচুনে । এখানে 'নাচ' ধাতুর সাথে উনে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নাচুনে শব্দটি গঠিত হয়েছে । 
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যে বিশেষ্য পদে কোনো ক্রিয়ার ভাব বা কাজের ভাব প্রকাশিত হয়, তাকে ভাববাচক বিশেষ্য বলে।যেমন – √চড়+ আই = চড়াই, √সিল্ + আই = সিলাই।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
ভাববাচক বিশেষ্য গঠনে আই- প্রত্যয় যোগে গঠিত শব্দ চড়াই=চড়া+আই। নিমাই = নিম+আই(আদরার্থে), মিঠাই=মিঠা+আই(সমগুণবাচক বিশেষ্য গঠনে) ও ঢাকাই=ঢাকা+আই(জাত অর্থে)। সূত্রঃ বাংলা ভাষার ব্যাকরণ (নবম-দশম শ্রেণি)।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
অভ্যন্তরীণ শব্দের মূল হল অভ্যন্তর। অভ্যন্তর শব্দের অর্থ হল ভিতরের অংশ। এখানে 'ইন' প্রত্যয় যুক্ত হয়ে অভ্যন্তরীণ শব্দটি হয়েছে। 'ইন' প্রত্যয়ের অর্থ হল ব্যাপ্তি। সুতরাং, অভ্যন্তরীণ শব্দের অর্থ হল ভিতরে বিস্তৃত।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
শব্দে সঙ্গে যে সব প্রত্যয় যোগে নতুন শব্দ গঠিত হয় তাদের তদ্ধিত প্রত্যয় বলা হয়।

আ- প্রত্যয় (বৃহদার্থে) :
- অবজ্ঞার্থে: চোর + আ = চোরা, কেষ্ট + আ = কেষ্টা।
- বৃহদার্থে: ডিঙ্গি + আ = ডিঙ্গা
- সদৃশ অর্থে: বাঘ + আ = বাঘা, হাত + আ = হাতা।
- সমষ্টি অর্থে : বিশ + আ = বিশা, বাইশ + আ = বাইশা।

উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
শব্দে সঙ্গে যে সব প্রত্যয় যোগে নতুন শব্দ গঠিত হয় তাদের তদ্ধিত প্রত্যয় বলা হয়।

আ- প্রত্যয়:
- অবজ্ঞার্থে: চোর + আ = চোরা, কেষ্ট + আ = কেষ্টা।
- বৃহদার্থে: ডিঙ্গি + আ = ডিঙ্গা।
- সদৃশ অর্থে: বাঘ + আ = বাঘা, হাত + আ = হাতা।
- সমষ্টি অর্থে : বিশ + আ = বিশা, বাইশ + আ = বাইশা।

উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
- বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয় সাধিত শব্দ: 'কেষ্ট + আ = কেষ্টা'।
- ওয়ালা > আলা (হিন্দি) প্রত্যয়যোগে গঠিত শব্দ: বাড়িওয়ালা।
- ওয়ান > আন (হিন্দি) প্রত্যয়যোগে গঠিত শব্দ: গাড়োয়ান।
- আনা > আনি (হিন্দি) প্রত্যয়যোগে গঠিত শব্দ: মুনশিয়ানা।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0