শব্দের শ্রেনীবিভাগ (571 টি প্রশ্ন )
- 'গবেষণা' একটি রূঢ়ি শব্দ।
- রূঢ়ি শব্দ সেই সব শব্দকে বলা হয়, যাদের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ও প্রচলিত অর্থ ভিন্ন হয়।

- 'গবেষণা' শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হলো 'গো + এষণা', যার মানে 'গরু খোঁজা'।
- কিন্তু বর্তমানে শব্দটি এই অর্থে ব্যবহৃত হয় না। এর প্রচলিত অর্থ হলো কোনো বিষয়ে গভীর অধ্যয়ন, অনুসন্ধান বা চর্চা।
- যেহেতু শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থের সাথে প্রচলিত অর্থের কোনো মিল নেই, তাই এটি একটি রূঢ়ি শব্দ।
- যেসব শব্দের মূল সংস্কৃত ভাষায় পাওয়া যায়, কিন্তু ভাষার স্বাভাবিক বিবর্তন ধারায় প্রাকৃতের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে আধুনিক বাংলা ভাষায় স্থান করে নিয়েছে, সেসব শব্দকে বলে তদ্ভব শব্দ।
- তদ্ভব শব্দগুলোকে খাঁটি বাংলা শব্দও বলা হয়। যেমন: চন্দ্ৰ (তৎসম) → চন্দ (প্রাকৃত) → চাঁদ (তদ্ভব)।
- এক বা একাধিক শব্দ দিয়ে গঠিত পূর্ণ অর্থবোধক ভাষিক একককে বাক্য বলে।
- বাক্য দিয়ে বক্তার মনের ভাব সম্পূর্ণ প্রকাশিত হয়।
- যেমন: সজল ও লতা বই পড়ে।
- প্রদত্ত উদাহরণে পাঁচটি শব্দ দিয়ে গঠিত এ বাক্যে বক্তার মনের ভাব পুরোপুরি প্রকাশিত হয়েছে।
যে শব্দ প্রত্যয় বা উপসর্গ যোগে মূল শব্দের অর্থের অনুগামী না হয়ে অন্য কোনো বিশিষ্ট অর্থ জ্ঞাপন করে, তাকে রূঢ়ি শব্দ বলে। যেমন- হস্তী, গবেষণা, বাঁশি, তৈল, সন্দেশ ইত্যাদি
ফারসি ভাষা থেকে আগত গুরুত্বপূর্ণ কিছু শব্দঃ
- আন্দাজ, আওয়াজ, আফসোস, আবহাওয়া, অজুহাত,
-আবাদ, আমদানি, আমেজ, আয়না, আরাম, আসমান,
-আস্তানা, আশকারা, ইয়ার, ওস্তাদ, কামাই, কারখানা,
-কারবার, কারিগর, কিনারা, কিশমিশ, কুস্তি, কোমর,
-খরচ, খঞ্জর, খরগোশ, খুব, কম, বেশি, জোড়, তোপ,
-চশমা, মোকদ্দমা, মালিক, সিপাহী, খোদা, দরিয়া, খাতা,
-গোলাপ, রোজ, গোয়েন্দা, চাকরি, চাঁদা, চাকর, চালাক,
-চেহারা, জবাব, দরজা, তীর (বাণ), তৈয়ার, দারোয়ান,
-বস্তা, বাজি, মজুর, ময়দা, মোরগ, মাহিনা, মিহি, মেথর,
-রপ্তানি, রাস্তা, রুমাল, রেশম, লাশ, শহর, শায়েস্তা, শিরনামা,
-সওদা, সবজি, সবুজ, সরকার, সর্দি, সাজা, সাদা, সানাই,
-সে (তিন), হপ্তা, হাজার, হিন্দু, হাঙ্গামা ইত্যাদি।
✦ বাংলা ভাষায় বিদেশি শব্দসমূহ

১. ফারসি ভাষা থেকে আগত শব্দ
উদাহরণ: খোদা, নামাজ, দোজখ, রোজা, চশমা, তোশক, কারখানা, আমদানি, জানোয়ার ইত্যাদি।

বিশেষ শব্দ: গোমস্তা
অর্থ: খাজনা আদায়কারী, তহসিলদার জমিদার বা মহাজনের পাওনা আদায়কারী

২. পর্তুগিজ ভাষা থেকে আগত শব্দ
আনারস
আলপিন
আলমারি
গির্জা
গুদাম
চাবি
পাউরুটি
বালতি

৩. তুর্কি ভাষা থেকে আগত শব্দ
চাকু
চাকর
তোপ
বেগম
সওগাত

৪. আরবি ভাষা থেকে আগত শব্দ
আল্লাহ
হারাম
হালাল
হজ
কলম
আদালত
তারিখ
হালুয়া
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত পর্তুগিজ শব্দসমূহ হল - গির্জা ,আনারস , আলপিন ,আলকাতরা , আলমারি ,আচার ,আয়া ,ইংরেজ , ইস্পাত , ইস্তিরি , কেদারা , কামরা ,কাজু , কপি ,গুদাম , গরাদ ,গামলা ,চাবি , জানালা ,তোয়ালে ,নিলাম ,পেয়ারা , পেঁপে , পাদ্রি ,পেরেক ,পিরিচি ,ফিতা ,বালতি ,বোতাম ,বোতল ,বেহালা ,সাবান ,সাগু ইত্যাদি ।

- বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত পর্তুগিজ শব্দসমূহ হল - গির্জা ,আনারস , আলপিন ,আলকাতরা , আলমারি ,আচার ,আয়া ,ইংরেজ , ইস্পাত , ইস্তিরি , কেদারা , কামরা ,কাজু , কপি ,গুদাম , গরাদ ,গামলা ,চাবি , জানালা ,তোয়ালে ,নিলাম ,পেয়ারা , পেঁপে , পাদ্রি ,পেরেক ,পিরিচি ,ফিতা ,বালতি ,বোতাম ,বোতল ,বেহালা ,সাবান ,সাগু ইত্যাদি ।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
ফারসি শব্দঃ
- বাংলা ভাষায় আগত ফারসি শব্দগুলোকে কয়েকটা ভাগে ভাগ করা যায়।
- ইসলাম ধর্মসংক্রান্ত: খোদা, গুনাহ, দোজখ, নামাজ, পয়গম্বর, ফেরেশতা, বেহেশত, রোজা ইত্যাদি।
- প্রশাসনিকঃ আইন, জবানবন্দি, তারিখ, দফতর, দরবার, দস্তখত, নালিশ, সালিশ, বাদশাহ, বান্দা, বেগম, মেথর ইত্যাদি

- বাংলা ভাষায় গৃহীত আরবি শব্দসমূহ: ইনসান, ইবাদত, মর্জি, কলম, আল্লাহ, ইসলাম, ঈমান, ওযু, কোরবানী, কুরআন, কিয়ামত, জান্নাত, জাহান্নাম, তওবা, তসবি, হজ, যাকাত, হালাল, হারাম, আদালত, আলেম, ইদ, উকিল, ওজর, এজলাস, এলেম, কানুন, কলম, কিতাব, কেচ্ছা, খারিজ, গায়েব, দোয়াত, নগদ, বাকি, মহকুমা, মুন্সেফ, মোক্তার, রায়, আদমি ইত্যাদি।

- সমাসনিস্পন্ন যে সকল শব্দ সমস্যমান পদগুলোর অর্থ না বুঝিয়ে অন্য কোন অর্থ প্রদান করে তাকে যোগরূঢ় শব্দ বলে । কয়েকটি যোগরূঢ় শব্দ- পঙ্গজ , রাজপুত, মহাযাত্রা, জলধি, সরোজ প্রভৃতি।
- যে শব্দ প্রত্যয় বা উপসর্গযোগে মূল শব্দের অর্থের অনুগামী না হয়ে অন্য কোনো বিশিষ্ট অর্থ জ্ঞাপন করে,তাকে রুঢ়ি শব্দ বলে। যেমন-হস্তী, গবেষণা, বাঁশি, তৈল, প্রবীণ, সন্দেহ ইত্যাদি ।
বাংলা ভাষার শব্দগুলোকে উৎস বা উৎপত্তি অনুসারে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়। এগুলো হলো:

তৎসম শব্দ:
- যেসব শব্দ সংস্কৃত ভাষা থেকে সরাসরি অপরিবর্তিত অবস্থায় বাংলা ভাষায় এসেছে, সেগুলো তৎসম শব্দ।
- উদাহরণ: চন্দ্র, সূর্য, ধর্ম, বৃক্ষ।

অর্ধতৎসম শব্দ:
- যেসব শব্দ সংস্কৃত থেকে কিছুটা পরিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় এসেছে, সেগুলো অর্ধতৎসম শব্দ।
- উদাহরণ: গৃহিণী → গিন্নী, জ্যোৎস্না → জোছনা।

তদ্ভব শব্দ:
- যেসব শব্দ সংস্কৃত থেকে প্রাকৃত ভাষার মধ্য দিয়ে পরিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় এসেছে, সেগুলো তদ্ভব শব্দ।
- উদাহরণ: হস্ত → হাত, চন্দ্র → চাঁদ।

দেশি শব্দ:
- যেসব শব্দ এ দেশের আদিম অধিবাসীদের ভাষা থেকে এসেছে, সেগুলো দেশি শব্দ।
- উদাহরণ: ঢেঁকি, কুলা, পেট।

বিদেশি শব্দ:
- যেসব শব্দ বিদেশি ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে, সেগুলো বিদেশি শব্দ।
- উদাহরণ: চা (চীনা), চেয়ার (ইংরেজি), নামাজ (আরবি)।
- যে শব্দ বিশ্লেষণ করা যায় না বা ভেঙে আলাদা করা যায় না, সেগুলোকে মৌলিক শব্দ বলে।
- যেমন: চাঁদ, গোলাপ, নাক, লাল, তিন, গাছ, পাখি, ফুল, হাত ইত্যাদি।

ফারসি শব্দঃ
- বাংলা ভাষায় আগত ফারসি শব্দগুলোকে কয়েকটা ভাগে ভাগ করা যায়।
- ইসলাম ধর্মসংক্রান্ত: খোদা, গুনাহ, দোজখ, নামাজ, পয়গম্বর, ফেরেশতা, বেহেশত, রোজা ইত্যাদি।
- প্রশাসনিকঃ আইন, জবানবন্দি, তারিখ, দফতর, দরবার, দস্তখত, নালিশ, বাদশাহ, বান্দা, বেগম, মেথর ইত্যাদি।


ফরাসি ভাষার কয়েকটি শব্দ—কুপন, ডিপো, রেস্তোরাঁ।

'নালিশ' শব্দটি ফারসি ভাষা থেকে এসেছে তাই অপশনে সঠিক উত্তর না থাকায় সঠিক উত্তর হবে- কোনোটিই নয়।

বাংলা ভাষায় আগত ফারসি শব্দসমূহ- সবুজ,আসমান ,খোদা ,গুনাহ ,দোযখ ,নামায ,পয়গম্বর ,ফেরেশতা ,বেহেশত ,রোযা ,হাদিস,কারখানা ,চশমা ,জবানবন্দি ,তোশক ,দফতর ,দরবার ,দোকান ,দস্তখত ,দৌলত ,নালিশ ,বাদশাহ ,বান্দা ,মেথর ,রসদ ,হাঙ্গামা ,আমদানি ,জানোয়ার ,জিন্দা ,নমুনা ,বদমাশ ,রফতানি ,বারান্দা ,ফিরিঙ্গি ইত্যাদি ।
-আসমান (বিশেষ্য): আকাশ শব্দটি ফারসি ভাষা থেকে বাংলা আগত শব্দ।
-আসমান শব্দের বিশেষণ - আসমানি।

-ফারসি ভাষা থেকে আগত গুরুত্বপূর্ণ কিছু শব্দঃ
আন্দাজ, আওয়াজ, আফসোস, আবহাওয়া, অজুহাত,
-আবাদ, আমদানি, আমেজ, আয়না, আরাম, আসমান,
-আস্তানা, আশকারা, ইয়ার, ওস্তাদ, কামাই, কারখানা,
-কারবার, কারিগর, কিনারা, কিশমিশ, কুস্তি, কোমর,
-খরচ, খঞ্জর, খরগোশ, খুব, কম, বেশি, জোড়, তোপ,
-চশমা, মোকদ্দমা, মালিক, সিপাহী, খোদা, দরিয়া, খাতা,
-গোলাপ, রোজ, গোয়েন্দা, চাকরি, চাঁদা, চাকর, চালাক,
-চেহারা, জবাব, দরজা, তীর (বাণ), তৈয়ার, দারোয়ান,
-বস্তা, বাজি, মজুর, ময়দা, মোরগ, মাহিনা, মিহি, মেথর,
-রপ্তানি, রাস্তা, রুমাল, রেশম, লাশ, শহর, শায়েস্তা, শিরনামা,
-সওদা, সবজি, সবুজ, সরকার, সর্দি, সাজা, সাদা, সানাই,
-সে (তিন), হপ্তা, হাজার, হিন্দু, হাঙ্গামা ইত্যাদি।
- পূর্ণসংখ্যার থেকে খানিকটা কম বা খানিকটা বেশি বোজাতে ভগ্নাংশ পূরণবাচক শব্দ ব্যবহৃত হয়।
- যেমন: আধ, সাড়ে, পয়া, সোয়া, দেড়, আড়াই, তেহাই, চৌথ ইত্যাদি।
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত ফরাসি শব্দ: রেস্তোরা, আঁতেল, আঁতাত, ওলন্দাজ, কার্তুজ, কুপন, ক্যাফে, গ্যারেজ, ডিপো, ফরাসি, রেনেসাঁ, বুর্জোয়া ইত্যাদি।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
কোরক এর সমার্থক শব্দ: কুঁড়ি, মুকুল, কলি, কলিকা।
যে সকল শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ও ব্যবহারিক অর্থ একই রকম, সেগুলোকে যৌগিক শব্দ বলে।
যেমন: মিতা+আলি = মিতালি। এখানে ‘মিতা' অর্থ বন্ধু, সখা, সুহৃদ; ‘মিতালি’ অর্থ মিত্রতা, সখ্য, বন্ধুত্ব।
সুতরাং, ‘মিতালি’ শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ও ব্যবহারিক অর্থ একই, যা যৌগিক শব্দের সকল শর্ত পূরণ করেছে।

-'প্রবীণ’ শব্দটির প্রকৃত অর্থ প্রকৃষ্টরূপে বীণা বাজাতে পারেন যিনি। কিন্তু ‘প্রবীণ’ শব্দটি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বয়স্ক ব্যক্তি অর্থে ব্যবহৃত হয়, যা রূঢ়ি শব্দ।
-সরোবরে জন্মে যা- সরোজ; শৈবাল, শালুক, পদ্ম প্রভৃতি নানাবিধ উদ্ভিদ সরোবরে জন্মে। কিন্তু ‘সরোজ’ শব্দটি একমাত্র ‘পদ্ম’ অর্থে ব্যবহৃত হয়, যা যোগরূঢ় শব্দ।
-জেঠা+আমি = জেঠামি। ‘জেঠা’ শব্দটির অর্থ পিতার বড় ভাই। কিন্তু ‘জেঠামি’ শব্দটি দ্বারা নিন্দা জ্ঞাপনে মাতব্বরি বা পাকামি অর্থে ব্যবহৃত হয়, যা রূঢ়ি শব্দ।
বাংলা ভাষায় আগত চীনা শব্দ: এলাচি, চা, চিনি, লিচু, সাম্পান।
-বর্গি শব্দটা এসেছে ফারসি ‘বারগিস’ থেকে, যেটার অর্থ ‘প্রাচীন মারাঠা যোদ্ধা’ ।
-মারাঠাদের আসল নিবাস ভারতের মহারাষ্ট্র শহরে হলেও দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতজুড়েই কিন্তু তারা ছড়িয়ে ছিল ।
-পশ্চিম বাংলার সমাজজীবনে বর্গি আক্রমণের প্রভাব ছিল 
- ভারতীয় উপমহাদেশের স্থানীয় জনগোষ্ঠী যাদের ভাষা, সংস্কৃতি ও ধর্ম ছিল- আর্য বা ইন্দো-ইউরোপীয় জনগোষ্ঠীর থেকে আলাদা, তাদের অনার্য বলা হয়।
- এই অনার্য বা বাংলাদেশের আদিম অধিবাসীদের (যেমন: কোল, মুণ্ডা প্রভৃতি) ভাষা ও সংস্কৃতির কিছু কিছু উপাদান বাংলায় রক্ষিত হয়েছে। এসব শব্দকে দেশি শব্দ বলে।
- যেমন: কুড়ি (বিশ) কোলভাষা, পেট (উদর)- তামিল ভাষা, কুলা, গঞ্জ, চোঙ্গা ইত্যাদি।

কিছু দেশি শব্দ: 
- খিস্তিখেউড়, ঢেঁকি, ঢোল, কাঁটা, খোঁপা, ডিঙি, কুলা, টোপর, খোকা,
- খুকি, বাখারি, কড়ি, ঝিঙা, কয়লা, কাকা, খবর, খাতা, কামড়, কলা,
- গয়লা, চঙ্গ, চাউল, ছাই, ঝাল, ঝোল, ঠাটা, ডাগর, ডাহা, ঢিল, পয়লা। 
- সমাস নিষ্পন্ন যে সকল শব্দ সম্পূর্ণভাবে সমস্যমান পদসমূহের অনুগামী না হয়ে কোনো বিশিষ্ট অর্থ গ্রহণ করে, তাকে যোগরূঢ় শব্দ বলে।
- যেমন: শাখামৃগ।
- শাখা অর্থ গাছ এবং মৃগ অর্থ হরিণ।
- শাখামৃগ অর্থ হওয়া উচিত গাছের হরিণ।
- কিন্তু শাখামৃগ শব্দের অর্থ বানর।
- যে সব শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ও ব্যবহারিক অর্থ একই, তাদের যৌগিক শব্দ বলে।
- যেমন: গায়ক, কর্তব্য, বাবুয়ানা, মধুর, দৌহিত্র, চিকামারা।
যেসব শব্দ সংস্কৃত থেকে সরাসরি বাংলায় এসেছে এবং যাদের রূপ অপরিবর্তিত রয়েছে, সেসব শব্দকে বলে তৎসম শব্দ। যেমন: নক্ষত্র, চন্দ্র, সূর্য, ভবন, ধর্ম, ধূলি, পাত্র, মনুষ্য, ব্যাকরণ, চরণ, তৃণ, অগ্রহায়ণ, ভাষা, বৈষ্ণব, গৃহ, কৃষি, ঋষি, পুত্র, পৃথিবী, আকাশ, গ্রহ, বৃক্ষ, জীবন ইত্যাদি। হাত- তদ্ভব; দারোগা- তুর্কি; চুলা দেশি শব্দ।
গ্রিক ভাষা হতে আগত শব্দ: দাম, সেমাই, ইউনানি ইত্যাদি।
- যেসব শব্দ সংস্কৃত থেকে সরাসরি বাংলায় এসেছে এবং যাদের রূপ অপরিবর্তিত রয়েছে, সেসব শব্দকে বলে তৎসম শব্দ।
- যেমন: ধর্ম, চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র, ভবন, পাত্র, মনুষ্য, ব্যাকরণ, চরণ, তৃণ, অগ্রহায়ণ, ভাষা, বৈষ্ণব, গৃহ, কৃষি, ঋষি, পুত্র, পৃথিবী, আকাশ, গ্রহ, বৃক্ষ ইত্যাদি।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
• রুঢ়/রুঢ়ি শব্দ
তৈল, ভাজা, সন্দেশ, গবেষণা, রাখাল, প্রবীণ, শ্বশুর, পাঞ্জাবী, হস্তী, দারুণ, বাঁশি, হরিণ, মন্ডপ

• যোগরুঢ় শব্দ
রাজপুত্র, পঙ্কজ, সরোজ, জলধি, মহাযাত্রা।

• যৌগিক শব্দ
মধুর, গায়ক, কর্তব্য, বাবুয়ানা, রাধুনি, দৌহিত্র, চিকামারা, পিতৃহীন, চালক, পাঠক, মিতালী, পাগলামী।



সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0