- 'গবেষণা' একটি রূঢ়ি শব্দ। - রূঢ়ি শব্দ সেই সব শব্দকে বলা হয়, যাদের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ও প্রচলিত অর্থ ভিন্ন হয়।
- 'গবেষণা' শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হলো 'গো + এষণা', যার মানে 'গরু খোঁজা'। - কিন্তু বর্তমানে শব্দটি এই অর্থে ব্যবহৃত হয় না। এর প্রচলিত অর্থ হলো কোনো বিষয়ে গভীর অধ্যয়ন, অনুসন্ধান বা চর্চা। - যেহেতু শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থের সাথে প্রচলিত অর্থের কোনো মিল নেই, তাই এটি একটি রূঢ়ি শব্দ।
- যেসব শব্দের মূল সংস্কৃত ভাষায় পাওয়া যায়, কিন্তু ভাষার স্বাভাবিক বিবর্তন ধারায় প্রাকৃতের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে আধুনিক বাংলা ভাষায় স্থান করে নিয়েছে, সেসব শব্দকে বলে তদ্ভব শব্দ। - তদ্ভব শব্দগুলোকে খাঁটি বাংলা শব্দও বলা হয়। যেমন: চন্দ্ৰ (তৎসম) → চন্দ (প্রাকৃত) → চাঁদ (তদ্ভব)।
- এক বা একাধিক শব্দ দিয়ে গঠিত পূর্ণ অর্থবোধক ভাষিক একককে বাক্য বলে। - বাক্য দিয়ে বক্তার মনের ভাব সম্পূর্ণ প্রকাশিত হয়। - যেমন: সজল ও লতা বই পড়ে। - প্রদত্ত উদাহরণে পাঁচটি শব্দ দিয়ে গঠিত এ বাক্যে বক্তার মনের ভাব পুরোপুরি প্রকাশিত হয়েছে।
যে শব্দ প্রত্যয় বা উপসর্গ যোগে মূল শব্দের অর্থের অনুগামী না হয়ে অন্য কোনো বিশিষ্ট অর্থ জ্ঞাপন করে, তাকে রূঢ়ি শব্দ বলে। যেমন- হস্তী, গবেষণা, বাঁশি, তৈল, সন্দেশ ইত্যাদি
ফারসি শব্দঃ - বাংলা ভাষায় আগত ফারসি শব্দগুলোকে কয়েকটা ভাগে ভাগ করা যায়। - ইসলাম ধর্মসংক্রান্ত: খোদা, গুনাহ, দোজখ, নামাজ, পয়গম্বর, ফেরেশতা, বেহেশত, রোজা ইত্যাদি। - প্রশাসনিকঃ আইন, জবানবন্দি, তারিখ, দফতর, দরবার, দস্তখত, নালিশ, সালিশ, বাদশাহ, বান্দা, বেগম, মেথর ইত্যাদি
- সমাসনিস্পন্ন যে সকল শব্দ সমস্যমান পদগুলোর অর্থ না বুঝিয়ে অন্য কোন অর্থ প্রদান করে তাকে যোগরূঢ় শব্দ বলে । কয়েকটি যোগরূঢ় শব্দ- পঙ্গজ , রাজপুত, মহাযাত্রা, জলধি, সরোজ প্রভৃতি। - যে শব্দ প্রত্যয় বা উপসর্গযোগে মূল শব্দের অর্থের অনুগামী না হয়ে অন্য কোনো বিশিষ্ট অর্থ জ্ঞাপন করে,তাকে রুঢ়ি শব্দ বলে। যেমন-হস্তী, গবেষণা, বাঁশি, তৈল, প্রবীণ, সন্দেহ ইত্যাদি ।
ফারসি শব্দঃ - বাংলা ভাষায় আগত ফারসি শব্দগুলোকে কয়েকটা ভাগে ভাগ করা যায়। - ইসলাম ধর্মসংক্রান্ত: খোদা, গুনাহ, দোজখ, নামাজ, পয়গম্বর, ফেরেশতা, বেহেশত, রোজা ইত্যাদি। - প্রশাসনিকঃ আইন, জবানবন্দি, তারিখ, দফতর, দরবার, দস্তখত, নালিশ, বাদশাহ, বান্দা, বেগম, মেথর ইত্যাদি।
ফরাসি ভাষার কয়েকটি শব্দ—কুপন, ডিপো, রেস্তোরাঁ।
'নালিশ' শব্দটি ফারসি ভাষা থেকে এসেছে তাই অপশনে সঠিক উত্তর না থাকায় সঠিক উত্তর হবে- কোনোটিই নয়।
যে সকল শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ও ব্যবহারিক অর্থ একই রকম, সেগুলোকে যৌগিক শব্দ বলে। যেমন: মিতা+আলি = মিতালি। এখানে ‘মিতা' অর্থ বন্ধু, সখা, সুহৃদ; ‘মিতালি’ অর্থ মিত্রতা, সখ্য, বন্ধুত্ব। সুতরাং, ‘মিতালি’ শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ও ব্যবহারিক অর্থ একই, যা যৌগিক শব্দের সকল শর্ত পূরণ করেছে।
-'প্রবীণ’ শব্দটির প্রকৃত অর্থ প্রকৃষ্টরূপে বীণা বাজাতে পারেন যিনি। কিন্তু ‘প্রবীণ’ শব্দটি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বয়স্ক ব্যক্তি অর্থে ব্যবহৃত হয়, যা রূঢ়ি শব্দ। -সরোবরে জন্মে যা- সরোজ; শৈবাল, শালুক, পদ্ম প্রভৃতি নানাবিধ উদ্ভিদ সরোবরে জন্মে। কিন্তু ‘সরোজ’ শব্দটি একমাত্র ‘পদ্ম’ অর্থে ব্যবহৃত হয়, যা যোগরূঢ় শব্দ। -জেঠা+আমি = জেঠামি। ‘জেঠা’ শব্দটির অর্থ পিতার বড় ভাই। কিন্তু ‘জেঠামি’ শব্দটি দ্বারা নিন্দা জ্ঞাপনে মাতব্বরি বা পাকামি অর্থে ব্যবহৃত হয়, যা রূঢ়ি শব্দ।
-বর্গি শব্দটা এসেছে ফারসি ‘বারগিস’ থেকে, যেটার অর্থ ‘প্রাচীন মারাঠা যোদ্ধা’ । -মারাঠাদের আসল নিবাস ভারতের মহারাষ্ট্র শহরে হলেও দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতজুড়েই কিন্তু তারা ছড়িয়ে ছিল । -পশ্চিম বাংলার সমাজজীবনে বর্গি আক্রমণের প্রভাব ছিল
- ভারতীয় উপমহাদেশের স্থানীয় জনগোষ্ঠী যাদের ভাষা, সংস্কৃতি ও ধর্ম ছিল- আর্য বা ইন্দো-ইউরোপীয় জনগোষ্ঠীর থেকে আলাদা, তাদের অনার্য বলা হয়। - এই অনার্য বা বাংলাদেশের আদিম অধিবাসীদের (যেমন: কোল, মুণ্ডা প্রভৃতি) ভাষা ও সংস্কৃতির কিছু কিছু উপাদান বাংলায় রক্ষিত হয়েছে। এসব শব্দকে দেশি শব্দ বলে। - যেমন: কুড়ি (বিশ) কোলভাষা, পেট (উদর)- তামিল ভাষা, কুলা, গঞ্জ, চোঙ্গা ইত্যাদি।
- সমাস নিষ্পন্ন যে সকল শব্দ সম্পূর্ণভাবে সমস্যমান পদসমূহের অনুগামী না হয়ে কোনো বিশিষ্ট অর্থ গ্রহণ করে, তাকে যোগরূঢ় শব্দ বলে। - যেমন: শাখামৃগ। - শাখা অর্থ গাছ এবং মৃগ অর্থ হরিণ। - শাখামৃগ অর্থ হওয়া উচিত গাছের হরিণ। - কিন্তু শাখামৃগ শব্দের অর্থ বানর।
যেসব শব্দ সংস্কৃত থেকে সরাসরি বাংলায় এসেছে
এবং যাদের রূপ অপরিবর্তিত রয়েছে, সেসব শব্দকে বলে
তৎসম শব্দ। যেমন: নক্ষত্র, চন্দ্র, সূর্য, ভবন, ধর্ম, ধূলি,
পাত্র, মনুষ্য, ব্যাকরণ, চরণ, তৃণ, অগ্রহায়ণ, ভাষা, বৈষ্ণব,
গৃহ, কৃষি, ঋষি, পুত্র, পৃথিবী, আকাশ, গ্রহ, বৃক্ষ, জীবন
ইত্যাদি। হাত- তদ্ভব; দারোগা- তুর্কি; চুলা দেশি শব্দ।
- যেসব শব্দ সংস্কৃত থেকে সরাসরি বাংলায় এসেছে এবং যাদের রূপ অপরিবর্তিত রয়েছে, সেসব শব্দকে বলে তৎসম শব্দ। - যেমন: ধর্ম, চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র, ভবন, পাত্র, মনুষ্য, ব্যাকরণ, চরণ, তৃণ, অগ্রহায়ণ, ভাষা, বৈষ্ণব, গৃহ, কৃষি, ঋষি, পুত্র, পৃথিবী, আকাশ, গ্রহ, বৃক্ষ ইত্যাদি।
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
✅প্রাইমারী, নিবন্ধন বা ১১তম-২০তম গ্রেডের যেকোনো চাকরি জন্য প্রশ্ন ব্যাংক লেগে থেকে শেষ করুন। অ্যাপ এর প্রশ্ন ব্যাংক থেকে ১০০% কমন আসবে। বাকি চাকরি পরীক্ষা জন্য ৭০%-৮০% কমন আসবে। আপনার চর্চার সময় আপনার ভুল প্রশ্ন, বুকমার্ক প্রশ্ন সব ডাটাবেজে জমা থাকে। মনে করুন বাংলা সাহিত্য ৪০০০ প্রশ্ন আছে, আপনি একবার ভালো করে পড়বেন, এর মধ্যে দেখবেন ৪০% প্রশ্ন আপনার জানা, যেগুলো কখনও ভুল হবে না, বাকি আছে ৬০%, এই প্রশ্নগুলো আলাদা বাটনে জমা হয়, যেগুলো আপনি ভুল করছেন, এখন এইগুলো ভালো করে রিভিশন দিন। এতে সহজে কম সময় প্রস্তুতি শেষ হবে। যারা একেবারে নতুন তারা জব শুলুশন্স বাটন দিয়ে শুরু করতে পারেন।
✅প্রাইমারী ১ম ধাপের পরীক্ষার তারিখ দিলে ফুল মডেল টেস্ট শুরু হবে।
✅ব্যাংক নিয়োগ প্রস্তুতি'র লং কোর্স (রুটিনের জন্য পিডিএফ বাটন দেখুন) - পরীক্ষা শুরুঃ ১০ নভেম্বর। - মোট পরীক্ষাঃ ১২৮টি, - টপিক ভিত্তিকঃ ১১২টি, - রিভিশন পরীক্ষাঃ ২২টি, - Vocabulary রিভিশনঃ ৩বার
✅ সম্পূর্ণ ফ্রিতে প্রস্তুতি নিন ৫০তম বিসিএস। মোট পরীক্ষাঃ ১৬২টি টপিক ভিত্তিক পরীক্ষাঃ ১০০টি রিভিশন পরীক্ষাঃ ৬২টি
অ্যাপ এর হোম screen -এ পিডিএফ বাটন ক্লিক করুন, এখান থেকে রুটিন ডাউনলোড করতে পারবেন। রুটিনের তারিখ অনুযায়ী পরীক্ষা রাত ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেকোন সময় দিতে পারবেন, ফলাফল সাথে সাথে বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ দেওয়া হয়। missed পরীক্ষাগুলো আর্কাইভ থেকে দিতে পারবেন, তবে মেরিট লিস্ট আসবে না, মেরিট লিস্টে থাকতে হলে রুটিন অনুযায়ী নির্দিষ্ট তারিখে দিতে হবে। আর্কাইভ থেকে পরীক্ষা দিতে হলে ভিজিট করুনঃ অ্যাপ এর হোম স্ক্রীনে 'পরীক্ষার সেকশন' বাটনে ক্লিক করুন -> বিসিএস বাটন -> [ফ্রি কোর্স] ৫০তম বিসিএস প্রিলি ২২০ দিনের সেকশনের All Exam বাটন ক্লিক করুন -> এখান Upcoming, Expired ট্যাব পাবেন।
✅ প্রধান শিক্ষক প্রস্তুতি - লেকচারশীট ভিত্তিকঃ রুটিন আপলোড করা হয়েছে। পরীক্ষা শুরুঃ ১৫ আগস্ট। মোট পরীক্ষাঃ ৫৮টি
✅ আপকামিং রুটিনঃ
- ১০০ দিনের বিসিএস বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি। - বেসিকভিউ বই অনুসারে GK রুটিনে টপিক ও বইয়ের পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ থাকবে। - অগ্রদূত বাংলা বই অনুসারে বাংলা সাহিত্য ও ভাষা রুটিনে টপিক ও বইয়ের পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ থাকবে।। - English মাস্টার বই অনুসারে রুটিনে টপিক ও বইয়ের পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ থাকবে।