|
|
যে বহুব্রীহি সমাসের সমস্তপদে আ, এ, ও ইত্যাদি প্রত্যয় যুক্ত হয় তাকে প্রত্যয়ান্ত বহুব্রীহি বলা হয়। যেমন: - এক দিকে চোখ (দৃষ্টি) যার= একচোখা (চোখ+আ), - ঘরের দিকে মুখ যার= ঘরমুখো (মুখ+ও), - নিঃ (নেই) খরচ যার= নি-খরচে (খরচ+এ), - তিন (তে) ভাগ যার= তেভাগা (আন্দোলনবিশেষ; ভাগ+আ)।
|
|
| |
|
|
|
বিভিন্ন অর্থে অব্যয়ীভাব সমাসঃ » সামীপ্য (উপ) কণ্ঠের সমীপে= উপকণ্ঠ, কূলের সমীপে= উপকূল, অক্ষির সমীপে = প্রত্যক্ষ, বনের সমীপে = উপবন » বিপসা (অনু, প্রতি) দিন দিন= প্রতিদিন, ক্ষণে ক্ষণে= অনুক্ষণে, ক্ষণ ক্ষণ= অনুক্ষণ » অভাব অর্থে (নিঃ= নির) আমিষের অভাব= নিরামিষ, ভাবনার অভাব= নির্ভাবনা, জলের অভাব= নির্জল, উৎসাহের অভাব= নিরুৎসাহ, ভাতের অভাব = হাভাত » পর্যন্ত (আ) সমুদ্র থেকে হিমাচল পর্যন্ত= আসমুদ্রহিমাচল, পা থেকে মাথা পর্যন্ত= আপাদমস্তক, মরণ পর্যন্ত = আমরণ » সাদৃশ্য (উপ) শহরের সদৃশ= উপশহর, গ্রহের তুল্য= উপগ্রহ, বনের সদৃশ= উপবন » অনতিক্রম্যতা অর্থে (যথা) রীতিকে অতিক্রম না করে= যথারীতি, সাধ্যকে অতিক্রম না করে= যথাসাধ্য। এরূপ- যথাবিধি, যথাযোগ্য,যথাশাস্ত্র » অতিক্রান্ত (উৎ) বেলাকে অতিক্রান্ত= উদ্বেল, শৃঙখলাকে অতিক্রান্ত= উচ্ছৃঙখল » বিরোধ (প্রতি) বিরুদ্ধ বাদ= প্রতিবাদ, বিরুদ্ধ কূল= প্রতিকূল, বিরুদ্ধ রোধ = প্রতিরোধ » পশ্চাৎ (অনু) পশ্চাৎ গমন= অনুগমন, পশ্চাৎ ধাবন= অনুধাবন » ঈষৎ (আ) ঈষৎ নত= আনত, ঈষৎ রক্তিম= আরক্তিম, ঈষৎ লালচে = লালচে » ক্ষুদ্র অর্থে (উপ) গ্রহের তুল্য = উপগ্রহ, নদীর তুল্য = উপনদী, জেলার ক্ষুদ্র = উপজেলা » পূর্ণ বা সমগ্র অর্থে (পরি বা সম) পরিপূর্ণ, সম্পূর্ণ » দূরবর্তী অর্থে (প্র, পর) অক্ষির অগোচরে= পরোক্ষ। এরূপ- প্রপিতামহ » প্রতিনিধি অর্থে (প্রতি) মূর্তির প্রতিনিধি = প্রতিমূর্তি, এরূপ- প্রতিচ্ছায়া, প্রতিচ্ছবি, প্রতিবিম্ব » প্রতিদ্বন্দ্বী অর্থে (প্রতি) প্রতিপক্ষ, প্রত্যুত্তর ইত্যাদি। » সম্পর্ক অর্থে (সম, বিষয়) সম্বল = বলের সম্পর্কে, সম্মান= মানের সম্পর্কে, সমক্ষে= অক্ষের সম্পর্কে » যোগ্যতা অর্থে (অনু) অনুসন্তান= যোগ্য সন্তান, অনুকূল= কুলের যোগ্য, অনুদান= দানের যোগ্য » কারক – বিভক্তি অর্থে ভরদুপুর, দিনভর, ভরপেট ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
- পূর্বপদে অব্যয়যোগে নিষ্পন্ন সমাসে যদি অব্যয়ের অর্থের প্রাধান্য থাকে তবে তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে। যেমন: - কূলের সমীপে = উপকূল (সামীপ্য অর্থে অব্যয়ীভাব সমাস) - শহরের সদৃশ = উপশহর (সাদৃশ অর্থে) - বনের সদৃশ = উপবন।
|
|
| |
|
|
|
- যে সমাসে সমস্যমান পদ্গুলো নিত্য সমাসবদ্ধ থাকে ব্যাসবাক্যের প্রয়োজন হয় না তাকে নিত্যসমাস বলে। তদর্থ বাচক ব্যাখ্যামূলক শব্দ বা বাক্যাংশ যোগে এগুলোর অর্থ বিশাদ করতে হয় । যেমন: - অন্য গৃহ = গৃহান্তর ; - অন্য দেশ = দেশান্তর।
|
|
| |
|
|
|
- যে সমাসে পূর্বপদের বিভক্তি লোপ পায় এবং পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায় তাকেই তৎপুরুষ সমাস বলে। - তৎপুরুষ সমাসের পূর্বপদে দ্বিতীয়া থেকে সপ্তমী পর্যন্ত যেকোনো বিভক্তি থাকতে পারে; আর পূর্বপদের বিভক্তি অনুসারে এদের নামকরণ হয়। - পূর্বপদে পঞ্চমী বিভক্তি (হইতে, থেকে, চেয়ে ইত্যাদি) লোপ পেয়ে যে সমাস হয় তাই পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস। - যেমন: জন্ম হতে অন্ধ = জন্মান্ধ; পাপ হতে মুক্ত = পাপমুক্ত।
|
|
| |
|
|
|
- ব্যাসবাক্যের মাঝের পদ লোপ পেয়ে যে সমাস হয়, তাই মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস। যেমন: - সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন; - সংবাদ যুক্ত পত্র = সংবাদপত্র।
|
|
| |
|
|
|
- পূর্বপদে সংখ্যাবাচক এবং পরপদে বিশেষ্য হলে এবং সমস্তপদটি বিশেষণ বোঝালে, তাকে বলে সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি সমাস। - যেমন: চৌ (চার) চাল যে ঘরের = চৌচালা; দশ আনন যার = দশানন।
|
|
| |
|
|
|
- যে সমাসে সমস্যমান পদ দ্বারা সমাস-বাক্য হয় না, অন্য পদের দ্বারা সমস্ত পদের অর্থ প্রকাশ করতে হয়, তাকে নিত্য সমাস বলে। তদর্থবাচক ব্যাখ্যামূলক শব্দ বা বাক্যাংশ যোগে এগুলোর অর্থ বিশদ করতে হয়। যেমন: - অন্য দেশে = দেশান্তর - কেবল তা = তন্মাত্র, - অন্য গ্রাম = গ্রামান্তর, - কেবল দর্শন = দর্শনমাত্র, - অন্য গৃহ = গৃহান্তর, - (বিষাক্ত) কাল (যম) তুল্য (কাল বর্ণের নয়) সাপ = কালসাপ, - তুমি আমি ও সে = আমরা, - দুই এবং নব্বই = বিরানব্বই।
|
|
| |
|
|
|
- যে সমাসে সমস্যমান পদ্গুলো নিত্য সমাসবদ্ধ থাকে ব্যাসবাক্যের প্রয়োজন হয় না তাকে নিত্যসমাস বলে। তদর্থ বাচক ব্যাখ্যামূলক শব্দ বা বাক্যাংশ যোগে এগুলোর অর্থ বিশাদ করতে হয় । যেমন: - অন্য গৃহ = গৃহান্তর ; - অন্য দেশ = দেশান্তর; - দুগ্ধ ফেনার তুল্য = দুগ্ধফেননিভ।
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
রূপক কর্মধারায়ঃ উপমান ও উপমেয়র মধ্যে অভিন্নতা কল্পনা করা হলে তাকে রুপক কর্মধারয় সমাস বলে ।রূপক কর্মধারয় সমাসের লক্ষণীয় বিষয় - এক্ষেত্রে উপমান ও উপমেয় উভয় পদে সমাস হয় এবং উভয়ের অভেদ কল্পনা করা হয়। যেমনঃ » ক্রোধানল = ক্রোধ রুপ অনল » সংসারসাগর = সংসার রূপ সাগর » যৌবনবন = যৌবন রূপ বন » ক্ষুধানল = ক্ষুধা রূপ অনল » শোকসাগর = শোক রূপ সাগর » বিদ্যাসাগর = বিদ্যা রূপ সাগর » শোকানল = শোক রূপ অনল » সুখসাগর = সুখ রূপ সাগর » মোহনিদ্রা = মোহ রূপ নিদ্রা » জীবনস্রোত = জীবন রূপ স্রোত » ভবনদী = ভব রূপ নদী » কালস্রোত = কাল রূপ স্রোত » হৃদয়মন্দির = হৃদয় রূপ মন্দির » আনন্দসাগর = আনন্দ রুপ সাগর » জীবনতরী = জীবন রূপ তরী » জ্ঞানবৃক্ষ = জ্ঞান রূপ বৃক্ষ » জীবনপ্রদীপ = জীবন রূপ প্রদীপ » পরানপাখি = পরান রূপ পাখি » বিদ্যাধন = বিদ্যা রুপ ধন » চন্দ্রমুখ = চন্দ্র রুপ মুখ » মনমাঝি = মন রুপ মাঝি » বিষাদসিন্ধু = বিষাদ রুপ সিন্ধু » চিত্তচকোর = চিত্ত রূপ চকোর
|
|
| |
|
|
|
পূর্বপদ বিশেষণ ও পরপদ বিশেষ্য অথবা পূর্বপদ বিশেষ্য এবং পরপদ বিশেষণ হয়ে যে সমাস হয়, তাকে সমানাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন: - নীল কন্ঠ যার = নীলকণ্ঠ - এক গোঁ যার = একগুঁয়ে - সুন্দর হৃদয় যার = সুহৃদ - সু বুদ্ধি যার = সুবুদ্ধি - সুন্দর শ্রী যার = সুশ্রী
|
|
| |
|
|
|
যে তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদের বিভক্তি লোপ পায় না, তাকে অলুক তৎপুরুষ সমাস বলে।
যেমন:
-গায়ে পড়া,
-চুলে কাঁটা
-ঘিয়ে ভাজা,
-কলে ছাঁটা,
-কলের গান,
-গরুর গাড়ি ইত্যাদি
|
|
| |
|
|
|
- যে সমাসে পূর্ব বা পর কোন পদের অর্থ না বুঝিয়ে, অন্য কোন পদকে বুঝায়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে। - বহুব্রীহি সমাসে সাধারণত যার, যাতে, যে ইত্যাদি শব্দ ব্যাসবাক্যরূপে ব্যবহৃত হয়।
বহুব্রীহি সমাসের কিছু উদাহরণঃ - অন্তর্গত অপ যার = অন্তরীপ, - দু দিকে অপ যার = দ্বীপ, - নরাকারে পশু যে = নরপশু, - অল্প বুদ্ধি যার = অল্পবুদ্ধি, - পণ্ডিত হওয়েও যে মূর্খ = পণ্ডিত্মূর্খ ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
- ব্যাসবাক্যের মধ্যবর্তী পদ বা ব্যাখ্যামূলক মধ্যপদ লোপ পেয়ে যে বহুব্রীহি সমাস হয়,তাকে মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি সমাস বলে ।
যেমনঃ - হাতে খড়ি দেয়া হয় যে অনুষ্ঠানে = হাতেখড়ি, - বিড়ালের মত চোখ যে নারীর = বিড়ালচোখী, - চন্দ্রের ন্যায় সুন্দর যাত মুখ = চন্দ্রমুখ, - মেঘের মত নাদ যার = মেঘনাদ, - গজের মতো আনন = গজানন, - সোনার মত উজ্জ্বল মুখ যার = সোনামুখী ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
বিশেষ্য পূর্বপদের আগে নঞ অব্যয় যোগে বহুব্রীহি সমাস করা হলে তাকে নঞ বহুব্রীহি বলে। যেমন- নাই বোধ যার= নির্বোধ, নেই সীমা যার= অসীম, বিগত হয়েছে শ্রদ্ধা যার= বীতশ্রদ্ধ, নেই চারা যার= নাচার ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
'আগাগোড়া' শব্দটির ব্যাসবাক্য দুইভাবে করা যায়:- দ্বন্দ্ব সমাস হিসেবে: আগা ও গোড়া - পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস হিসেবে: আগা থেকে গোড়া অর্থগত বিচার:- যখন আমরা বলি "তার আগাগোড়া সব জানি", তখন এর অর্থ হয় "আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত সবকিছু জানি" - এটি কখনোই শুধু "আগা এবং গোড়া" এই দুটি অংশকে বোঝায় না যৌক্তিকতা:- পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস হিসেবে ব্যাখ্যা করলে শব্দটির প্রকৃত অর্থ প্রকাশ পায় - এটি সম্পূর্ণতা বা সামগ্রিকতা বোঝাতে ব্যবহৃত হয় ব্যবহারিক প্রয়োগ:- "আগাগোড়া পড়ে ফেললাম" = শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে ফেললাম - "আগাগোড়া দেখে নিলাম" = শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখে নিলাম
তাই 'আগাগোড়া' শব্দটি পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস হিসেবে বিবেচনা করা অধিক যুক্তিযুক্ত।
|
|
| |
|
|
|
- যে সমাসে প্রত্যেকটি সমস্যমান পদের অর্থের প্রাধান্য থাকে তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। - এ সমাসে উভয় পদই বিশেষ্য এবং উভয় পদের অর্থের প্রাধান্য বজায় থাকে। - এতে শুধু এবং, ও, আর সংযোজক অব্যয় পদ ব্যবহার করা হয়। যেমন: - সোনা ও রুপা = সোনা-রুপা, - মাতা ও পিতা = মাতাপিতা, - ধীরে ও সুস্থে = ধীরে-সুস্থে। - নব রত্নের সমাহার = নবরত্ন (দ্বিগু সমাস); - ধনুকের ন্যায় ভাঙ্গা = ধনুকভাঙ্গা (উপমান কর্মধারয় সমাস); - বিজয় সূচক উৎসব = বিজয়োৎসব (মধ্যপদলোপী কর্মধারয়); - বিজয়ের নিমিত্তে উৎসব = বিজয়োৎসব (৪র্থী তৎপুরুষ সমাস); - বিজয়ের উৎসব = বিজয়োৎসব (৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস)।
|
|
| |
|
|
|
- পূর্বপদে অব্যয়যোগে নিষ্পন্ন সমাসে যদি অব্যয়েরই অর্থের প্রাধান্য থাকে তবে তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে।
- অব্যয়ীভাব সমাসে কেবল অব্যয়ের অর্থযোগে ব্যাসবাক্যটি রচিত হয়। যেমনঃ - পশ্চাৎ (অনু) পশ্চাৎ গমন = অনুগমন; - পশ্চাৎ ধাবন = অনুধাবন; - জানু পর্যন্ত লম্বিত ( পর্যন্ত শব্দের অব্যয় "আ") = আজানুলম্বিত (বাহু), -মরণ পর্যন্ত = আমরণ।
|
|
| |
|
|
|
- যে সমাসে সমস্যমান পদ দ্বারা সমাস-বাক্য হয় না, অন্য পদের দ্বারা সমস্ত পদের অর্থ প্রকাশ করতে হয়, তাকে নিত্য সমাস বলে। তদর্থবাচক ব্যাখ্যামূলক শব্দ বা বাক্যাংশ যোগে এগুলোর অর্থ বিশদ করতে হয়। যেমন: - অন্য দেশে = দেশান্তর - কেবল তা = তন্মাত্র, - অন্য গ্রাম = গ্রামান্তর, - কেবল দর্শন = দর্শনমাত্র, - অন্য গৃহ = গৃহান্তর, - (বিষাক্ত) কাল (যম) তুল্য (কাল বর্ণের নয়) সাপ = কালসাপ, - তুমি আমি ও সে = আমরা, - দুই এবং নব্বই = বিরানব্বই।
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
ভব রূপ নদী = ভবনদী একটি রূপক কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ। এরূপ:
- মন রূপ মাঝি = মনমাঝি -- (মন যেন এক মাঝি।) - কাল রূপ চক্র = কালচক্র - ভব রূপ পারাবার = ভবপারাবার। - কাল রূপ সাপ = কালসাপ - জীবন রূপ তরী = জীবনতরী। - ঋতু রূপ চক্র = ঋতুচক্র - প্রেম রূপ ডাের = প্রেমডোর - জীবন রূপ নদী = জীবননদী - বিদ্যা রূপ ধন = বিদ্যাধন - প্রাণ রূপ পাখি = প্রাণপাখি - বিষাদ রূপ সিন্ধু = বিষাদসিন্ধু
|
|
| |
|
|
|
- 'বেতাল = তাল নেই যার' এটি নঞ তৎপুরুষ সমাসের উদাহরণ। না বাচক নঞ্ অব্যয় (না, নেই, নাই, নয়) পূর্বে বসে যে তৎপুরুষ সমাস হয়, তাকে নঞ্ তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন: - না আচার= অনাচার, - না কাতর= অকাতর। এরূপ- অনাদর, নাতিদীর্ঘ, নাতিখর্ব, অভাব ইত্যাদি।
না- বাচক অর্থ ছাড়াও বিশেষ বিশেষ অর্থে নঞ্ তৎপুরুষ সমাস হতে পারে। যেমন: না/নয় বিশ্বাস= অবিশ্বাস (বিশ্বাসের অভাব), না/নয় লৌকিক= অলৌকিক (ভিন্নতা), না/নয় কেশা= অকেশা (অল্পতা), না/নয় সুর= অসুর (বিরোধ) ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
- যে বহুব্রীহি সমাসের ব্যাসবাক্য থেকে এক বা একাধিক পদ লোপ পায়, তাকে পদলোপী বহুব্রীহি বলে। যেমন: - চিরুনির মতো দাঁত যার = চিরুনদাঁতি। - বিড়ালের চোখের ন্যায় চোখ যে নারীর = বিড়ালচোখী।
|
|
| |
|
|
|
- যে সমাসে প্রত্যেকটি সমস্যমান পদের অর্থের প্রাধান্য থাকে তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। - এ সমাসে উভয় পদই বিশেষ্য এবং উভয় পদের অর্থের প্রাধান্য বজায় থাকে। - যে সমাসে পূর্বপদের বিভক্তি লোপ পায় না তাকে অলুক দ্বন্দ্ব বলে। যেমন: - বাঘে ও মহিষে = বাঘে-মহিষে; - জলে ও স্থলে = জলে-স্থলে; - চোখে ও মুখে = চোখেমুখে।
|
|
| |
|
|
|
- ব্যাসবাক্যের মাঝের পদ লোপ পেয়ে যে কর্মধারায় সমাস হয় তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন— - হাসি মাখা মুখ = হাসিমুখ, - জীবন রক্ষার্থে বীমা = জীবন বীমা, - সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন। - আয়ের উপর কর = আয়কর। আবার, - মন রূপ মাঝি= মনমাঝি; হলো রূপক কর্মধারয় সমাস। - পুরুষ সিংহের ন্যায়= সিংহপুরুষ; উপমিত কর্মধারয় সমাস। - মুখ চন্দ্রের ন্যায়= চন্দ্রমুখ; উপমিত কর্মধারয় সমাস।
|
|
| |
|
|
|
পূর্বপদে তৃতীয়া বিভক্তির (দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক ইত্যাদি) লোপে যে সমাস হয়, তাকে তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন: মন দিয়ে গড়া= মন গড়া, শ্রম দ্বারা লব্ধ= শ্রমলব্ধ, মধু দিয়ে মাখা= মধুমাখা।
ঊন, হীন, শূন্য প্রভৃতি শব্দ উত্তরপদ হলেও তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস হয়। যেমন: এক দ্বারা ঊন= একোন, বিদ্যা দ্বারা হীন= বিদ্যাহীন, জ্ঞান দ্বারা শূন্য= জ্ঞানশূন্য, পাঁচ দ্বারা কম= পাঁচ কম।
উপকরণব্যাক বিশেষ্য পদ পূর্বপদে বসলেও তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস হয়। যেমন: স্বর্ণ দ্বারা মণ্ডিত= স্বর্ণমণ্ডিত। এরূপ- হীরকখচিত, চন্দনচর্চিত, রত্নশোভিত ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
- পূর্বপদে ষষ্ঠী বিভক্তি (র, এর) লোপ পেয়ে যে সমাস হয় তাই ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস। - ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাসে 'রাজা' স্থলে 'রাজ' হয়। - যেমন: রাজার পুত্র = রাজপুত্র, হস্তীর মূখ = হস্তীমূখ।
|
|
| |
|
|
|
- নিপাতনে সিদ্ধ কথাটির অর্থ কোন নিয়মের অধীনে নয়। - যে সমাসে পূর্ব বা পর কোন পদের অর্থ না বুঝিয়ে, অন্য কোন পদকে বুঝায়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে। - বহুব্রীহি সমাসে সাধারণত যার, যাতে, যে ইত্যাদি শব্দ ব্যাসবাক্যরূপে ব্যবহৃত হয়। নিপাতনে সিদ্ধ বহুব্রীহি সমাসের কিছু উদাহরণঃ - অন্তর্গত অপ যার = অন্তরীপ, - দু দিকে অপ যার = দ্বীপ, - নরাকারে পশু যে = নরপশু, - পণ্ডিত হওয়েও যে মূর্খ = পণ্ডিত্মূর্খ ইত্যাদি। উৎসঃ বাংলা ভাষার ব্যাকরণ-নবম দশম শ্রেণী
|
|
| |
|
|
|
- যে সমাসে পূর্ব বা পর কোন পদের অর্থ না বুঝিয়ে, অন্য কোন পদকে বুঝায়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে। - বহুব্রীহি সমাসে সাধারণত যার, যাতে, যে ইত্যাদি শব্দ ব্যাসবাক্যরূপে ব্যবহৃত হয়। নিপাতনে সিদ্ধ বহুব্রীহি সমাসের কিছু উদাহরণঃ - অন্তর্গত অপ যার = অন্তরীপ, - দু দিকে অপ যার = দ্বীপ, - নরাকারে পশু যে = নরপশু, - পণ্ডিত হওয়েও যে মূর্খ = পণ্ডিত্মূর্খ ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
- পূর্বপদ বিশেষণ এবং পরপদ বিশেষ্য হলে তাকে সমানাধিকার বহুব্রীহি বলে। যেমন – এক গো যার = একগুঁয়ে, লাল পাড় যে শাড়ির = লালপেড়ে।
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
- যে সমাসে সমস্যমান পদ দ্বারা সমাস-বাক্য হয় না, অন্য পদের দ্বারা সমস্ত পদের অর্থ প্রকাশ করতে হয়, তাকে নিত্য সমাস বলে। তদর্থবাচক ব্যাখ্যামূলক শব্দ বা বাক্যাংশ যোগে এগুলোর অর্থ বিশদ করতে হয়। যেমন: - অন্য দেশে = দেশান্তর - কেবল তা = তন্মাত্র, - অন্য গ্রাম = গ্রামান্তর, - কেবল দর্শন = দর্শনমাত্র, - অন্য গৃহ = গৃহান্তর, - (বিষাক্ত) কাল (যম) তুল্য (কাল বর্ণের নয়) সাপ = কালসাপ, - তুমি আমি ও সে = আমরা, - দুই এবং নব্বই = বিরানব্বই। - মাথাপিছু = প্রতিমাথা - দিনভর = সারা দিন - পূজার্থ = পূজার নিমিত্ত
|
|
| |
|