Loading [MathJax]/jax/output/HTML-CSS/fonts/TeX/fontdata.js
 
সমাস (633 টি প্রশ্ন )
যে বহুব্রীহি সমাসের সমস্তপদে আ, এ, ও ইত্যাদি প্রত্যয় যুক্ত হয় তাকে প্রত্যয়ান্ত বহুব্রীহি বলা হয়।
যেমন:
- এক দিকে চোখ (দৃষ্টি) যার= একচোখা (চোখ+আ),
- ঘরের দিকে মুখ যার= ঘরমুখো (মুখ+ও),
- নিঃ (নেই) খরচ যার= নি-খরচে (খরচ+এ),
- তিন (তে) ভাগ যার= তেভাগা (আন্দোলনবিশেষ; ভাগ+আ)।
বিভিন্ন অর্থে অব্যয়ীভাব সমাসঃ
» সামীপ্য (উপ) কণ্ঠের সমীপে= উপকণ্ঠ, কূলের সমীপে= উপকূল, অক্ষির সমীপে = প্রত্যক্ষ, বনের সমীপে = উপবন
» বিপসা (অনু, প্রতি) দিন দিন= প্রতিদিন, ক্ষণে ক্ষণে= অনুক্ষণে, ক্ষণ ক্ষণ= অনুক্ষণ
» অভাব অর্থে (নিঃ= নির) আমিষের অভাব= নিরামিষ, ভাবনার অভাব= নির্ভাবনা, জলের অভাব= নির্জল, উৎসাহের অভাব= নিরুৎসাহ, ভাতের অভাব = হাভাত
» পর্যন্ত (আ) সমুদ্র থেকে হিমাচল পর্যন্ত= আসমুদ্রহিমাচল, পা থেকে মাথা পর্যন্ত= আপাদমস্তক, মরণ পর্যন্ত = আমরণ
» সাদৃশ্য (উপ) শহরের সদৃশ= উপশহর, গ্রহের তুল্য= উপগ্রহ, বনের সদৃশ= উপবন
» অনতিক্রম্যতা অর্থে (যথা) রীতিকে অতিক্রম না করে= যথারীতি, সাধ্যকে অতিক্রম না করে= যথাসাধ্য। এরূপ- যথাবিধি, যথাযোগ্য,যথাশাস্ত্র
» অতিক্রান্ত (উৎ) বেলাকে অতিক্রান্ত= উদ্বেল, শৃঙখলাকে অতিক্রান্ত= উচ্ছৃঙখল
» বিরোধ (প্রতি) বিরুদ্ধ বাদ= প্রতিবাদ, বিরুদ্ধ কূল= প্রতিকূল, বিরুদ্ধ রোধ = প্রতিরোধ
» পশ্চাৎ (অনু) পশ্চাৎ গমন= অনুগমন, পশ্চাৎ ধাবন= অনুধাবন
» ঈষৎ (আ) ঈষৎ নত= আনত, ঈষৎ রক্তিম= আরক্তিম, ঈষৎ লালচে = লালচে
» ক্ষুদ্র অর্থে (উপ) গ্রহের তুল্য = উপগ্রহ, নদীর তুল্য = উপনদী, জেলার ক্ষুদ্র = উপজেলা
» পূর্ণ বা সমগ্র অর্থে (পরি বা সম) পরিপূর্ণ, সম্পূর্ণ
» দূরবর্তী অর্থে (প্র, পর) অক্ষির অগোচরে= পরোক্ষ। এরূপ- প্রপিতামহ
» প্রতিনিধি অর্থে (প্রতি) মূর্তির প্রতিনিধি = প্রতিমূর্তি, এরূপ- প্রতিচ্ছায়া, প্রতিচ্ছবি, প্রতিবিম্ব
» প্রতিদ্বন্দ্বী অর্থে (প্রতি) প্রতিপক্ষ, প্রত্যুত্তর ইত্যাদি।
» সম্পর্ক অর্থে (সম, বিষয়) সম্বল = বলের সম্পর্কে, সম্মান= মানের সম্পর্কে, সমক্ষে= অক্ষের সম্পর্কে
» যোগ্যতা অর্থে (অনু) অনুসন্তান= যোগ্য সন্তান, অনুকূল= কুলের যোগ্য, অনুদান= দানের যোগ্য
» কারক – বিভক্তি অর্থে ভরদুপুর, দিনভর, ভরপেট ইত্যাদি।
- পূর্বপদে অব্যয়যোগে নিষ্পন্ন সমাসে যদি অব্যয়ের অর্থের প্রাধান্য থাকে তবে তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে।
যেমন:
- কূলের সমীপে = উপকূল (সামীপ্য অর্থে অব্যয়ীভাব সমাস)
- শহরের সদৃশ = উপশহর (সাদৃশ অর্থে)
- বনের সদৃশ = উপবন
- যে সমাসে সমস্যমান পদ্গুলো নিত্য সমাসবদ্ধ থাকে ব্যাসবাক্যের প্রয়োজন হয় না তাকে নিত্যসমাস বলে।
তদর্থ বাচক ব্যাখ্যামূলক শব্দ বা বাক্যাংশ যোগে এগুলোর অর্থ বিশাদ করতে হয় ।
যেমন:
- অন্য গৃহ = গৃহান্তর ; 
- অন্য দেশ = দেশান্তর।
- যে সমাসে পূর্বপদের বিভক্তি লোপ পায় এবং পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায় তাকেই তৎপুরুষ সমাস বলে।
- তৎপুরুষ সমাসের পূর্বপদে দ্বিতীয়া থেকে সপ্তমী পর্যন্ত যেকোনো বিভক্তি থাকতে পারে; আর পূর্বপদের বিভক্তি অনুসারে এদের নামকরণ হয়।
- পূর্বপদে পঞ্চমী বিভক্তি (হইতে, থেকে, চেয়ে ইত্যাদি) লোপ পেয়ে যে সমাস হয় তাই পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস।
- যেমন: জন্ম হতে অন্ধ = জন্মান্ধ; পাপ হতে মুক্ত = পাপমুক্ত।
- ব্যাসবাক্যের মাঝের পদ লোপ পেয়ে যে সমাস হয়, তাই মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস।
যেমন:
- সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন;
- সংবাদ যুক্ত পত্র = সংবাদপত্র।
- পূর্বপদে সংখ্যাবাচক এবং পরপদে বিশেষ্য হলে এবং সমস্তপদটি বিশেষণ বোঝালে, তাকে বলে সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি সমাস।
- যেমন: চৌ (চার) চাল যে ঘরের = চৌচালা; দশ আনন যার = দশানন।
- যে সমাসে সমস্যমান পদ দ্বারা সমাস-বাক্য হয় না, অন্য পদের দ্বারা সমস্ত পদের অর্থ প্রকাশ করতে হয়, তাকে নিত্য সমাস বলে। তদর্থবাচক ব্যাখ্যামূলক শব্দ বা বাক্যাংশ যোগে এগুলোর অর্থ বিশদ করতে হয়।
যেমন:
- অন্য দেশে = দেশান্তর
- কেবল তা = তন্মাত্র,
- অন্য গ্রাম = গ্রামান্তর,
- কেবল দর্শন = দর্শনমাত্র,
- অন্য গৃহ = গৃহান্তর,
- (বিষাক্ত) কাল (যম) তুল্য (কাল বর্ণের নয়) সাপ = কালসাপ,
- তুমি আমি ও সে = আমরা,
- দুই এবং নব্বই = বিরানব্বই।
- যে সমাসে সমস্যমান পদ্গুলো নিত্য সমাসবদ্ধ থাকে ব্যাসবাক্যের প্রয়োজন হয় না তাকে নিত্যসমাস বলে।
তদর্থ বাচক ব্যাখ্যামূলক শব্দ বা বাক্যাংশ যোগে এগুলোর অর্থ বিশাদ করতে হয় ।
যেমন:
- অন্য গৃহ = গৃহান্তর ;
- অন্য দেশ = দেশান্তর;
- দুগ্ধ ফেনার তুল্য = দুগ্ধফেননিভ।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
রূপক কর্মধারায়ঃ উপমান ও উপমেয়র মধ্যে অভিন্নতা কল্পনা করা হলে তাকে রুপক কর্মধারয় সমাস বলে ।রূপক কর্মধারয় সমাসের লক্ষণীয় বিষয় - এক্ষেত্রে উপমান ও উপমেয় উভয় পদে সমাস হয় এবং উভয়ের অভেদ কল্পনা করা হয়।
যেমনঃ
» ক্রোধানল = ক্রোধ রুপ অনল
» সংসারসাগর = সংসার রূপ সাগর
» যৌবনবন = যৌবন রূপ বন
» ক্ষুধানল = ক্ষুধা রূপ অনল
» শোকসাগর = শোক রূপ সাগর
» বিদ্যাসাগর = বিদ্যা রূপ সাগর
» শোকানল = শোক রূপ অনল
» সুখসাগর = সুখ রূপ সাগর
» মোহনিদ্রা = মোহ রূপ নিদ্রা
» জীবনস্রোত = জীবন রূপ স্রোত
» ভবনদী = ভব রূপ নদী
» কালস্রোত = কাল রূপ স্রোত
» হৃদয়মন্দির = হৃদয় রূপ মন্দির
» আনন্দসাগর = আনন্দ রুপ সাগর
» জীবনতরী = জীবন রূপ তরী
» জ্ঞানবৃক্ষ = জ্ঞান রূপ বৃক্ষ
» জীবনপ্রদীপ = জীবন রূপ প্রদীপ
» পরানপাখি = পরান রূপ পাখি
» বিদ্যাধন = বিদ্যা রুপ ধন
» চন্দ্রমুখ = চন্দ্র রুপ মুখ
» মনমাঝি = মন রুপ মাঝি
» বিষাদসিন্ধু = বিষাদ রুপ সিন্ধু
» চিত্তচকোর = চিত্ত রূপ চকোর
পূর্বপদ বিশেষণ ও পরপদ বিশেষ্য অথবা পূর্বপদ বিশেষ্য এবং পরপদ বিশেষণ হয়ে যে সমাস হয়, তাকে সমানাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস বলে।
যেমন:
- নীল কন্ঠ যার = নীলকণ্ঠ
- এক গোঁ যার = একগুঁয়ে
- সুন্দর হৃদয় যার = সুহৃদ
- সু বুদ্ধি যার = সুবুদ্ধি
- সুন্দর শ্রী যার = সুশ্রী
যে তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদের বিভক্তি লোপ পায় না, তাকে অলুক তৎপুরুষ সমাস বলে। 
যেমন: 
-গায়ে পড়া, 
-চুলে কাঁটা
-ঘিয়ে ভাজা, 
-কলে ছাঁটা, 
-কলের গান
-গরুর গাড়ি ইত্যাদি

- যে সমাসে পূর্ব বা পর কোন পদের অর্থ না বুঝিয়ে, অন্য কোন পদকে বুঝায়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে।
- বহুব্রীহি সমাসে সাধারণত যার, যাতে, যে ইত্যাদি শব্দ ব্যাসবাক্যরূপে ব্যবহৃত হয়।

বহুব্রীহি সমাসের কিছু উদাহরণঃ
- অন্তর্গত অপ যার = অন্তরীপ,
- দু দিকে অপ যার = দ্বীপ,
- নরাকারে পশু যে = নরপশু,
- অল্প বুদ্ধি যার = অল্পবুদ্ধি,
- পণ্ডিত হওয়েও যে মূর্খ = পণ্ডিত্মূর্খ ইত্যাদি।
- ব্যাসবাক্যের মধ্যবর্তী পদ বা ব্যাখ্যামূলক মধ্যপদ লোপ পেয়ে যে বহুব্রীহি সমাস হয়,তাকে মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি সমাস বলে ।

যেমনঃ
- হাতে খড়ি দেয়া হয় যে অনুষ্ঠানে = হাতেখড়ি,
- বিড়ালের মত চোখ যে নারীর = বিড়ালচোখী,
- চন্দ্রের ন্যায় সুন্দর যাত মুখ = চন্দ্রমুখ,
- মেঘের মত নাদ যার = মেঘনাদ,
- গজের মতো আনন = গজানন,
- সোনার মত উজ্জ্বল মুখ যার = সোনামুখী ইত্যাদি।
বিশেষ্য পূর্বপদের আগে নঞ অব্যয় যোগে বহুব্রীহি সমাস করা হলে তাকে নঞ বহুব্রীহি বলে। যেমন-
নাই বোধ যার= নির্বোধ,
নেই সীমা যার= অসীম,
বিগত হয়েছে শ্রদ্ধা যার= বীতশ্রদ্ধ,
নেই চারা যার= নাচার ইত্যাদি।
'আগাগোড়া' শব্দটির ব্যাসবাক্য দুইভাবে করা যায়:
- দ্বন্দ্ব সমাস হিসেবে: আগা ও গোড়া
- পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস হিসেবে: আগা থেকে গোড়া

অর্থগত বিচার:
- যখন আমরা বলি "তার আগাগোড়া সব জানি", তখন এর অর্থ হয় "আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত সবকিছু জানি"
- এটি কখনোই শুধু "আগা এবং গোড়া" এই দুটি অংশকে বোঝায় না

যৌক্তিকতা:
- পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস হিসেবে ব্যাখ্যা করলে শব্দটির প্রকৃত অর্থ প্রকাশ পায়
- এটি সম্পূর্ণতা বা সামগ্রিকতা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়

ব্যবহারিক প্রয়োগ:
- "আগাগোড়া পড়ে ফেললাম" = শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে ফেললাম
- "আগাগোড়া দেখে নিলাম" = শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখে নিলাম

তাই 'আগাগোড়া' শব্দটি পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস হিসেবে বিবেচনা করা অধিক যুক্তিযুক্ত।


- যে সমাসে প্রত্যেকটি সমস্যমান পদের অর্থের প্রাধান্য থাকে তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।
- এ সমাসে উভয় পদই বিশেষ্য এবং উভয় পদের অর্থের প্রাধান্য বজায় থাকে।
- এতে শুধু এবং, ও, আর সংযোজক অব্যয় পদ ব্যবহার করা হয়।
 যেমন:
- সোনা ও রুপা = সোনা-রুপা,
- মাতা ও পিতা = মাতাপিতা,
- ধীরে ও সুস্থে = ধীরে-সুস্থে।
- নব রত্নের সমাহার = নবরত্ন (দ্বিগু সমাস);
- ধনুকের ন্যায় ভাঙ্গা = ধনুকভাঙ্গা (উপমান কর্মধারয় সমাস);
- বিজয় সূচক উৎসব = বিজয়োৎসব (মধ্যপদলোপী কর্মধারয়);
- বিজয়ের নিমিত্তে উৎসব = বিজয়োৎসব (৪র্থী তৎপুরুষ সমাস);
- বিজয়ের উৎসব = বিজয়োৎসব (৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস)।
- পূর্বপদে অব্যয়যোগে নিষ্পন্ন সমাসে যদি অব্যয়েরই অর্থের প্রাধান্য থাকে তবে তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে।

- অব্যয়ীভাব সমাসে কেবল অব্যয়ের অর্থযোগে ব্যাসবাক্যটি রচিত হয়। যেমনঃ
- পশ্চাৎ (অনু) পশ্চাৎ গমন = অনুগমন;
- পশ্চাৎ ধাবন = অনুধাবন;
- জানু পর্যন্ত লম্বিত ( পর্যন্ত শব্দের অব্যয় "আ") = আজানুলম্বিত (বাহু),
-মরণ পর্যন্ত = আমরণ।
- যে সমাসে সমস্যমান পদ দ্বারা সমাস-বাক্য হয় না, অন্য পদের দ্বারা সমস্ত পদের অর্থ প্রকাশ করতে হয়, তাকে নিত্য সমাস বলে। তদর্থবাচক ব্যাখ্যামূলক শব্দ বা বাক্যাংশ যোগে এগুলোর অর্থ বিশদ করতে হয়।
যেমন:
- অন্য দেশে = দেশান্তর
- কেবল তা = তন্মাত্র,
- অন্য গ্রাম = গ্রামান্তর,
- কেবল দর্শন = দর্শনমাত্র,
- অন্য গৃহ = গৃহান্তর,
- (বিষাক্ত) কাল (যম) তুল্য (কাল বর্ণের নয়) সাপ = কালসাপ,
- তুমি আমি ও সে = আমরা,
- দুই এবং নব্বই = বিরানব্বই।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

ভব রূপ নদী = ভবনদী একটি রূপক কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ।
এরূপ:

- মন রূপ মাঝি = মনমাঝি -- (মন যেন এক মাঝি।)
- কাল রূপ চক্র = কালচক্র
- ভব রূপ পারাবার = ভবপারাবার।
- কাল রূপ সাপ = কালসাপ
- জীবন রূপ তরী = জীবনতরী।
- ঋতু রূপ চক্র = ঋতুচক্র
- প্রেম রূপ ডাের = প্রেমডোর
- জীবন রূপ নদী = জীবননদী
- বিদ্যা রূপ ধন = বিদ্যাধন
- প্রাণ রূপ পাখি = প্রাণপাখি
- বিষাদ রূপ সিন্ধু = বিষাদসিন্ধু

 

- 'বেতাল = তাল নেই যার' এটি নঞ তৎপুরুষ সমাসের উদাহরণ।
না বাচক নঞ্ অব্যয় (না, নেই, নাই, নয়) পূর্বে বসে যে তৎপুরুষ সমাস হয়, তাকে নঞ্ তৎপুরুষ সমাস বলে।
যেমন:
- না আচার= অনাচার,
- না কাতর= অকাতর। 
এরূপ- অনাদর, নাতিদীর্ঘ, নাতিখর্ব, অভাব ইত্যাদি।

না- বাচক অর্থ ছাড়াও বিশেষ বিশেষ অর্থে নঞ্ তৎপুরুষ সমাস হতে পারে।
যেমন: না/নয় বিশ্বাস= অবিশ্বাস (বিশ্বাসের অভাব), না/নয় লৌকিক= অলৌকিক (ভিন্নতা), না/নয় কেশা= অকেশা (অল্পতা), না/নয় সুর= অসুর (বিরোধ) ইত্যাদি।
- যে বহুব্রীহি সমাসের ব্যাসবাক্য থেকে এক বা একাধিক পদ লোপ পায়, তাকে পদলোপী বহুব্রীহি বলে।
যেমন:
- চিরুনির মতো দাঁত যার = চিরুনদাঁতি।
- বিড়ালের চোখের ন্যায় চোখ যে নারীর = বিড়ালচোখী।
- যে সমাসে প্রত্যেকটি সমস্যমান পদের অর্থের প্রাধান্য থাকে তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।
- এ সমাসে উভয় পদই বিশেষ্য এবং উভয় পদের অর্থের প্রাধান্য বজায় থাকে।
- যে সমাসে পূর্বপদের বিভক্তি লোপ পায় না তাকে অলুক দ্বন্দ্ব বলে।
যেমন:
- বাঘে ও মহিষে = বাঘে-মহিষে;
- জলে ও স্থলে = জলে-স্থলে;
- চোখে ও মুখে = চোখেমুখে। 
- ব্যাসবাক্যের মাঝের পদ লোপ পেয়ে যে কর্মধারায় সমাস হয় তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন—
- হাসি মাখা মুখ = হাসিমুখ,
- জীবন রক্ষার্থে বীমা = জীবন বীমা,
- সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন।
- আয়ের উপর কর = আয়কর।
আবার,
- মন রূপ মাঝি= মনমাঝি; হলো রূপক কর্মধারয় সমাস।
- পুরুষ সিংহের ন্যায়= সিংহপুরুষ; উপমিত কর্মধারয় সমাস।
- মুখ চন্দ্রের ন্যায়= চন্দ্রমুখ; উপমিত কর্মধারয় সমাস।
পূর্বপদে তৃতীয়া বিভক্তির (দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক ইত্যাদি) লোপে যে সমাস হয়, তাকে তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন: মন দিয়ে গড়া= মন গড়া, শ্রম দ্বারা লব্ধ= শ্রমলব্ধ, মধু দিয়ে মাখা= মধুমাখা। 

ঊন, হীন, শূন্য প্রভৃতি শব্দ উত্তরপদ হলেও তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস হয়। যেমন: এক দ্বারা ঊন= একোন, বিদ্যা দ্বারা হীন= বিদ্যাহীন, জ্ঞান দ্বারা শূন্য= জ্ঞানশূন্য, পাঁচ দ্বারা কম= পাঁচ কম।
 
উপকরণব্যাক বিশেষ্য পদ পূর্বপদে বসলেও তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস হয়। যেমন: স্বর্ণ দ্বারা মণ্ডিত= স্বর্ণমণ্ডিত। এরূপ- হীরকখচিত, চন্দনচর্চিত, রত্নশোভিত ইত্যাদি।

- পূর্বপদে ষষ্ঠী বিভক্তি (র, এর) লোপ পেয়ে যে সমাস হয় তাই ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।
- ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাসে 'রাজা' স্থলে 'রাজ' হয়।
- যেমন: রাজার পুত্র = রাজপুত্র, হস্তীর মূখ = হস্তীমূখ।
- নিপাতনে সিদ্ধ কথাটির অর্থ কোন নিয়মের অধীনে নয়।
- যে সমাসে পূর্ব বা পর কোন পদের অর্থ না বুঝিয়ে, অন্য কোন পদকে বুঝায়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে।
- বহুব্রীহি সমাসে সাধারণত যার, যাতে, যে ইত্যাদি শব্দ ব্যাসবাক্যরূপে ব্যবহৃত হয়।
নিপাতনে সিদ্ধ বহুব্রীহি সমাসের কিছু উদাহরণঃ
- অন্তর্গত অপ যার = অন্তরীপ,
- দু দিকে অপ যার = দ্বীপ,
- নরাকারে পশু যে = নরপশু,
- পণ্ডিত হওয়েও যে মূর্খ = পণ্ডিত্মূর্খ ইত্যাদি।
উৎসঃ বাংলা ভাষার ব্যাকরণ-নবম দশম শ্রেণী
- যে সমাসে পূর্ব বা পর কোন পদের অর্থ না বুঝিয়ে, অন্য কোন পদকে বুঝায়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে।
- বহুব্রীহি সমাসে সাধারণত যার, যাতে, যে ইত্যাদি শব্দ ব্যাসবাক্যরূপে ব্যবহৃত হয়।
নিপাতনে সিদ্ধ বহুব্রীহি সমাসের কিছু উদাহরণঃ
- অন্তর্গত অপ যার = অন্তরীপ,
- দু দিকে অপ যার = দ্বীপ,
- নরাকারে পশু যে = নরপশু,
- পণ্ডিত হওয়েও যে মূর্খ = পণ্ডিত্মূর্খ ইত্যাদি।
- পূর্বপদ বিশেষণ এবং পরপদ বিশেষ্য হলে তাকে সমানাধিকার বহুব্রীহি বলে।
যেমন –
এক গো যার = একগুঁয়ে,
লাল পাড় যে শাড়ির = লালপেড়ে

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- যে সমাসে সমস্যমান পদ দ্বারা সমাস-বাক্য হয় না, অন্য পদের দ্বারা সমস্ত পদের অর্থ প্রকাশ করতে হয়, তাকে নিত্য সমাস বলে। তদর্থবাচক ব্যাখ্যামূলক শব্দ বা বাক্যাংশ যোগে এগুলোর অর্থ বিশদ করতে হয়।
যেমন:
- অন্য দেশে = দেশান্তর
- কেবল তা = তন্মাত্র,
- অন্য গ্রাম = গ্রামান্তর,
- কেবল দর্শন = দর্শনমাত্র,
- অন্য গৃহ = গৃহান্তর,
- (বিষাক্ত) কাল (যম) তুল্য (কাল বর্ণের নয়) সাপ = কালসাপ,
- তুমি আমি ও সে = আমরা,
- দুই এবং নব্বই = বিরানব্বই।
- মাথাপিছু = প্রতিমাথা
- দিনভর = সারা দিন
- পূজার্থ = পূজার নিমিত্ত
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0