ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান-২০২৪ (17 টি প্রশ্ন )
- ২০২৪ সালের জুন-জুলাই মাসে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে, যা পরবর্তীতে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়।
- এই আন্দোলনটি 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন' নামে পরিচিতি লাভ করে।
- এই আন্দোলনের নেতৃত্বেই একটি ছাত্র সংগঠন তৈরি হয় যার নাম ছিল 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন'।
- পরবর্তীতে এই আন্দোলন জুলাই বিপ্লব বা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান নামেও পরিচিতি পায়।
বাংলাদেশে জুলাই গণহত্যার তদন্ত কার্যক্রমে একাধিক সংস্থা জড়িত। 
OHCHR: জাতিসংঘের এই মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থাটি বাংলাদেশে সংঘটিত জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়কার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো তদন্তের জন্য একটি তথ্যানুসন্ধানকারী দল পাঠায়। এই দলটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে OHCHR একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে তারা বিক্ষোভকারীদের ওপর নৃশংস এবং পদ্ধতিগত দমন-পীড়নের তথ্য তুলে ধরে এবং বিচার দাবি করে।

তবে, দেশীয় পর্যায়ে এই ঘটনার তদন্ত ও বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গঠিত এই ট্রাইব্যুনাল জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত অপরাধের বিচার করছে। এই ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি বিশেষায়িত সংস্থা হিসেবে কাজ করছে।


- বাংলাদেশের ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যে সংঘটিত ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে নির্মিত তথ্যচিত্রটির নাম "শ্রাবণ বিদ্রোহ"।
- এই তথ্যচিত্রটি আন্দোলনের চরম মুহূর্ত, জনমানসের আবেগ এবং আন্দোলনের পেছনের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে।
- জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে এক বড় পাল্টানোর সূচনার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয় এবং ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’ নামের মাধ্যমে সে ভিন্নধারার যান্ত্রিক আন্দোলনটির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
- বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো 'জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ' নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জ এলাকায় উদ্বোধন করা হয়েছে।
- এটি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে নির্মিত এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
- স্মৃতিস্তম্ভটি দেশে ৬৪ জেলায় একই নকশায় নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার কাজ নারায়ণগঞ্জ থেকে শুরু হয়েছে এবং যেটি আগামী ৪ আগস্টের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার লক্ষ্য রয়েছে।
- এই স্মৃতিস্তম্ভ জাতীয় জীবনে জুলাই আন্দোলনের অবদান ও শহীদদের আত্মত্যাগ নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
- ২০২৫ সালের ৪ জুলাই সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হিসেবে ‘জুলাই ৩৬ গেট’ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
- এই গেটটির নামকরণ করা হয়েছে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহত বীর সন্তানদের প্রতি সম্মান জানাতে।
- গেটটি নির্মাণে প্রায় এক কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
- সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘জুলাই ৩৬ গেট’ শুধু একটি ফটক নয়, এটি স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ের এক নীরব সাক্ষী এবং তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।
- এই গেট প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সেই সংগ্রামের স্মৃতি ধরে রাখবে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই ও ন্যায়ের জয়কে চিরস্মরণীয় করে রাখবে।

- কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ‘‘মার্চ ফর জাস্টিস’’ কর্মসূচি ঘোষণা করে ৩০ জুলাই ২০২৪ এ।
- ৩০ জুলাই রাত সাড়ে ৮টায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দিয়েছিলেন।
- কর্মসূচিটি ৩১ জুলাই দেশের সব অফিস-আদালত, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এবং রাজপথে পালন করা হয়।
- ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছিল।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- ২০২৪ সালের ৫ জুন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ''২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকারের জারি করা পরিপত্রকে'' অবৈধ ঘোষণা করে।
- এই ঘোষণার ফলে সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থা বাতিল হয়ে যায়। এই ঘটনাটি কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন করে অসন্তোষ সৃষ্টি করে এবং তারা পুনরায় রাজপথে নেমে আসে। এই অবৈধ ঘোষণার পরপরই দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে, যা পরবর্তীতে "জুলাই বিপ্লব"-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়।
- জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দুই হাত প্রসারিত করে বুক টান করে দাঁড়ানো এক নির্ভীক প্রতিবাদী তরুণ হচ্ছেন শহীদ আবু সাঈদ। 
- তিনি ফ্যাসিবাদবিরোধী বিপুল রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের উজ্জ্বলতম প্রতীক।
- ইতিহাসের অম্লান এই তরুণকে শিল্পকলায় অভিষিক্ত করেন দেশের বিশিষ্ট শিল্পী শহীদ কবির।
- কাজটি করার জন্য শহীদ কবির সহায়তা নেন তাঁর অনেক দিনের সহযোগী তরুণ শিল্পী ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভের (ইউডা) চারুকলার শিক্ষক ঢালী তমালকে।
- কাজটি শুরু হয় লালমাটিয়ার কিবরিয়া প্রিন্ট মেকিং স্টুডিওতে।
- তমাল ও তাঁর শিক্ষার্থীরা মিলে শহীদ কবিরের নেতৃত্বে চলে এই বিপুল কর্মযজ্ঞ।
- শিল্পকর্মটির নাম ‘উন্নত মম শির’ ।
- জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি রক্ষায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঢাকার শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত ঐতিহাসিক গণভবনকে "জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর" হিসেবে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়।
- ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণভবন জনগণের দখলে আসে, যা ফ্যাসিস্ট শাসনের পতনের প্রতীক হয়ে ওঠে।
- এই জাদুঘরে ১৬ বছরের গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, এবং গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাবলির স্মৃতি সংরক্ষণ করা হবে।
- এটি জনগণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি শিক্ষামূলক নিদর্শন হিসেবে কাজ করবে।
- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ (এনসিপি) নামে আত্মপ্রকাশ করেছে তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল।
- ইংরেজিতে দলের নাম হবে ‘ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি’।
- দলটির শীর্ষ নেতৃত্বে থাকছেন নাহিদ ইসলাম ও আখতার হোসেন।
- ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ এ বিকেল ৩টায় মানিক মিয়া এভিনিউয়ে দলটি আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ করে।
- ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলন বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা।
- এটি ছিল ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে একটি গণঅভ্যুত্থান, যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটায়।
- এই আন্দোলন কেবল একটি রাজনৈতিক পরিবর্তনের সূচনা করেনি, বরং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং জনগণের অধিকার রক্ষার জন্য একটি মাইলফলক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
- আন্দোলনের চাপে শেখ হাসিনা সরকার ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ে।
- ৫ আগস্ট, ২০২৪, লাখো মানুষ ঢাকার রাজপথে নেমে আসে।
- গণভবন অভিমুখে মিছিলের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং ভারতে পালিয়ে যান। এর ফলে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে এবং দেশ সাংবিধানিক সংকটে পড়ে।

আন্দোলনের মূল স্লোগান
আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের মুখে শোনা যায় কিছু শক্তিশালী স্লোগান, যেমন:

- "তুমি কে? আমি কে? রাজাকার, রাজাকার।"
- "চাইতে গেলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার।"
- "লাখো শহীদের রক্তে কেনা, দেশটা কারো বাপের না।"
ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান টাইমলাইনঃ

- ২০২৪ সালের ৫ জুন, হাইকোর্ট এক রায়ে সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের আদেশ দেন।
- ৬ জুন, এই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে।
- ৯ জুন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সরকারকে তাদের দাবি মেনে নিতে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়।
- ১ জুলাই, "বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন" এর ব্যানারে কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।
- ৯ জুলাই সারা দেশে "বাংলা ব্লকেড" নামে সকাল-সন্ধ্যার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

- ১৬ জুলাই, চলমান আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। 
- ১৮ জুলাই, শিক্ষার্থীদের "কমপ্লিট শাটডাউন" কর্মসূচি শুরু হয়, যেখানে সাধারণ মানুষও তাদের সাথে যোগ দেয়।
- ১৯ জুলাই, শিক্ষার্থীদের "কমপ্লিট শাটডাউন" চলাকালীন পুলিশের গুলিতে অসংখ্য মানুষ নিহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার সারা দেশে কারফিউ জারি করে, সেনাবাহিনী মোতায়েন করে এবং ইন্টারনেট সেবা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়। শিক্ষার্থীরা তাদের ৯ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করে।
- ৩০ জুলাই, "বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন" 'মার্চ ফর জাস্টিস' কর্মসূচির ঘোষণা দেয়।
- ৩১ জুলাই আন্দোলনে শহিদদের স্মরণে "রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ" কর্মসূচি পালন করা হয়।

- ৩ আগস্ট, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত হয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেন এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য "সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের" ডাক দেন।
- ৪ আগস্ট, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে সারা দেশ উত্তাল হয়ে ওঠে। ছাত্র-জনতার উপর পুলিশের, বিজিবি এবং সরকারদলীয় ক্যাডারদের গুলিতে শতাধিক মানুষ নিহত হয়।
- ৫ আগস্ট, ছাত্র-জনতার ব্যাপক গণ আন্দোলনের চাপে পড়ে জুলাই গণহত্যাকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং পরে ভারতে আশ্রয় নেন।
- ৮ আগস্ট, নতুন বাংলাদেশ পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়।
- ২০২৪ সালের ৫ জুন, হাইকোর্ট এক রায়ে সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের আদেশ দেন।
- ৬ জুন, এই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে।
- ৯ জুন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সরকারকে তাদের দাবি মেনে নিতে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়।
- ১ জুলাই, "বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন" এর ব্যানারে কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।
- ৯ জুলাই সারা দেশে "বাংলা ব্লকেড" নামে সকাল-সন্ধ্যার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

- ১৬ জুলাই, চলমান আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। 
- ১৮ জুলাই, শিক্ষার্থীদের "কমপ্লিট শাটডাউন" কর্মসূচি শুরু হয়, যেখানে সাধারণ মানুষও তাদের সাথে যোগ দেয়।
- ১৯ জুলাই, শিক্ষার্থীদের "কমপ্লিট শাটডাউন" চলাকালীন পুলিশের গুলিতে অসংখ্য মানুষ নিহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার সারা দেশে কারফিউ জারি করে, সেনাবাহিনী মোতায়েন করে এবং ইন্টারনেট সেবা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়। শিক্ষার্থীরা তাদের ৯ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করে।
- 'দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ' (The Art of Triumph) হচ্ছে একটি আর্টবুক, যাতে জুলাই বিপ্লব চলাকালে এবং পরে শিক্ষার্থীদের আঁকা দেয়ালচিত্রের ছবি সংকলিত হয়েছে।
- এই বইটি মূলত ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ছাত্রদের আন্দোলনের সময় ও পরবর্তীতে আঁকা দেয়ালচিত্রের ফটোগ্রাফি নিয়ে তৈরি, এবং এতে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের আশা-আকাঙ্ক্ষা, প্রতিবাদ ও ইতিবাচক বার্তা ফুটে উঠেছে।
- বইটি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে তৈরি, যাতে আন্দোলনের সময়কার এই অনন্য শিল্পকর্মগুলো ভবিষ্যতের জন্য রক্ষা পায় এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও বাংলাদেশের শিল্পের পরিচিতি বাড়ে।

- এটি কোনো আত্মজীবনী, ফটোগ্রাফির সাধারণ বই বা যুদ্ধের ইতিহাসভিত্তিক বই নয়; বরং আন্দোলনকালীন দেয়ালচিত্রের ছবি ও গল্পের সংকলন।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0