বিসিএস ৪৫তম (199 টি প্রশ্ন )
- যে শাসন ব্যবস্থায় আইনের শাসন, দায়িত্বশীলতা, জবাবদিহিতা, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং জনগণের অংশগ্রহণ গণতান্ত্রিক উপায়ে নিশ্চিত করে তাকে সুশাসন বলে। 
- সুশাসনের মূলভিত্তি আইনের শাসন। এটি একটি রাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ও বৈধ উপকরণ। 
- একটি দেশের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে আইনের শাসন থাকা দরকার কারণ এর মাধ্যমে স্বেচ্ছাচারি ক্ষমতা ও আধিপত্য রোধ করা যায়।

বিখ্যাত জার্মান দার্শনিক ইমানুয়েল কান্ট ‘শর্তহীন আদেশ' ধারণাটির প্রবর্তক। তাঁর নৈতিক মতবাদ তিনটি বিবৃতির উপর নির্ভরশীল।

এগুলো হলো-
ক. সদিচ্ছাই একমাত্র সৎ,
খ. কর্তব্যের জন্য কর্তব্য,
গ. নৈতিক নিয়ম এক নিঃশর্ত আদেশ।

কান্টের নীতিতত্ত্ব অনুসারে, নৈতিক আদেশগুলো সর্বতোভাবে শর্তহীন ও বিশ্বজনীন। এ আদেশ পুরোপুরিভাবে পরিণতিবাদের প্রভাবমুক্ত।
কান্ট শর্তহীন আদেশকে ৩ ভাবে প্রকাশ করেন।
যথা:
১. এমনভাবে কাজ কর যেন তোমার ইচ্ছায় তোমার কাজের নীতি প্রকৃতির বিশ্বজনীন আইন হয়।
২. এমনভাবে কাজ কর যেন মানবতাকে, তা সে তোমার নিজ ব্যক্তিত্ব হোক অথবা হোক অন্য ব্যক্তিত্ব, প্রত্যেক ক্ষেত্রেই শুধু লক্ষ্য হিসেবে গণ্য করতে পারো, উপায় হিসেবে নয়।
৩. বুদ্ধিবাদী হিসেবে প্রত্যেক বৌদ্ধিক সত্তার ইচ্ছাকে হতে হবে একটি বিশ্বজনীন আইন প্রণয়নকারী ইচ্ছা।
-নৈতিক মূল্যবোধ মানুষের জীবনে অনুসরণযোগ্য এমন কিছু আচরণ বিধি, যা মানুষের জীবন ব্যবস্থা ও জীবন পদ্ধতিকে সঠিক ও সুন্দর পথে পরিচালনা করে। 
-ধর্মের কল্যাণধর্মী মর্মবাণী অনুসরণ ও অনুকরণের মাধ্যমে মানুষের জীবনে নৈতিক মূল্যবোধের উজ্জ্বল প্রকাশ ঘটে। 
-ধর্ম থেকে উৎসারিত নৈতিক মূল্যবোধ মানুষের নৈতিক চেতনার বিকাশ ঘটায় এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন-অগ্রগতি সাধন করে।

-নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষকে শুদ্ধাচার বলে।
-রাষ্ট্রের সর্বত্র শুদ্ধাচার চর্চা ও দুর্নীতি প্রতিরোধের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করে সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে ‘জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করে।
-এটি রাষ্ট্রের বিদ্যমান নিয়মনীতি ও আইন কানুনের পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে।
বিখ্যাত দার্শনিক সক্রেটিস খ্রিস্টপূর্ব ৪৭০ অব্দে গ্রিসের এথেন্সে জন্মগ্রহণ করেন।
-সক্রেটিসের দার্শনিক চিন্তাধারা ছিল জ্ঞানতত্ত্ব, আত্মজ্ঞান, সদগুণ ও মরমীবাদ সক্রেটিসের জ্ঞানতত্ত্ব মতে, নৈতিক ক্রিয়া বা ন্যায়ের ভিত্তি হলো প্রকৃত জ্ঞান এবং অন্যায়ের ভিত্তি অজ্ঞতা।
-তার মতে, যার মধ্যে ন্যায়বোধ সম্পর্কে জ্ঞান নেই, তার পক্ষে ন্যায় কাজ করা সম্ভব নয়। সক্রেটিসের মতে, আত্মজ্ঞান অর্জন প্রত্যেক মানুষের প্রথম ও প্রধান কর্তব্য।
-তিনি মনে করতেন নৈতিক জ্ঞান জীবনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আর সব জ্ঞানই নৈতিক জ্ঞানের অধীন। এজন্যই সক্রেটিস সদগুণ ও জ্ঞানকে একত্রে করে বলেছেন 'জ্ঞানই পূণ্য'।

তাঁর বিখ্যাত কিছু উক্তি-
‘নিজেকে জানো।’,
‘তুমি কিছুই জান না এটা জানা-ই জ্ঞানের আসল মানে।’
‘টাকার বিনিময়ে শিক্ষা অর্জনের চেয়ে অশিক্ষিত থাকা ভালো।’
‘মৃত্যুই হলো মানুষের সর্বাপেক্ষা বড় আশীর্বাদ।'.
‘বিস্ময় হলো জ্ঞানের শুরু।'

-সত্য ও জ্ঞানের প্রতি অবিচল সক্রেটিসকে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী তথাকথিত অভিযোগে তাকে হেমলক বিষপানে মৃত্যুদণ্ড দেয়

অন্যদিকে, প্লেটো তার জ্ঞান মতবাদ বর্ণনা করতে গিয়ে সক্রেটিসের ‘জ্ঞানই পুণ্য’ বা ‘অনুভূতিই জ্ঞান' মতবাদকে অস্বীকার করে বলেন, জ্ঞানকে ব্যক্তি মনের অনুভূতি বা পুণ্য বলে ধরে নিলে জ্ঞানের সর্বজনীনতা ও নৈর্ব্যক্তিকতা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে সত্য মিথ্যার পার্থক্য ঘুচে যায়।
প্লেটোর মতে, জ্ঞান এমন কিছুর নির্দেশক, যা স্থায়ী ও সার্বিক । সঠিক জ্ঞান আমাদের সত্যের সন্ধান দেয়। তিনি মনে করেন জ্ঞান মূলত প্রজ্ঞার উপর প্রতিষ্ঠিত।
-২০০০ সালে জাতিসংঘ Millennium Development Goals বা সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য ঘোষণা করে, যা শেষ হয় ২০১৫ সালে।
-এতে মোট ৮টি লক্ষ্যমাত্রা ছিল।
-MDGs এর ৮টি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
- ১৯৮০ এর দশকে আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের দেশগুলিকে বিশ্ব ব্যাংকের দেওয়া ঋণ কার্যক্রমে সফলতা না আসায় ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংক ঋণ সহায়তা প্রাপ্তির জন্য আফ্রিকার দেশগুলিকে সুশাসন প্রতিষ্ঠার শর্ত আরোপ করে।
- কারণ, বিশ্বব্যাংক সুশাসনকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পদ গুলোর টেকসই উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার মনে করে।
- বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ প্রাপ্তির শর্ত হিসাবে ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংক ‘সুশাসন’ প্রত্যয়টি প্রবর্তন করেন।
১৮৬৩ সালে ইংরেজ দার্শনিক জন স্টুয়ার্ট মিল এর বিখ্যাত গ্রন্থ Utilitarianism প্রকাশিত হয়।
-এ গ্রন্থে তিনি উপযোগবাদের ব্যাখ্যায় বলেন, উপযোগবাদ (Utilitarianism) হলো সেই ধারণা, যা নৈতিকতা ও সর্বোচ্চ সুখ নীতিকে ভিত্তি হিসেবে মেনে নেয় এবং মনে করে সেই ধরনের কাজই নৈতিক, যা সুখের বৃদ্ধি ঘটায়। সুখ বলতে আনন্দের উপস্থিতি এবং বেদনার অনুপস্থিতি।
-এ গ্রন্থে তিনি আরো বলেন, মুক্তিবোধ বা কোন আদর্শের পরিবর্তে ব্যক্তি পরিচালিত হয় জৈবিক প্রেরণায়; মানুষের জৈবিক প্রেরণার মূল লক্ষ্য সর্বোচ্চ সুখ লাভ এবং দুঃখের পরিসমাপ্তি।

-তিনি ৮ মে ১৮৭৩ সালে (বয়স ৬৬) ফ্রান্সে মৃত্যুবরণ করেন

তাঁর রচিত অন্যান্য গ্রন্থ:
Principles of Political Economy (1848)
On Liberty (1859)
Utilitarianism (1861)
The Subjection of Women (1869)
System of logic,
Ratiocinative and Inductive.
-যে শাসন ব্যবস্থায় আইনের শাসন, দায়িত্বশীলতা, জবাবদিহিতা, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং জনগণের অংশগ্রহণ গণতান্ত্রিক উপায়ে নিশ্চিত করে তাকে সুশাসন বলে।
-সুশাসন ব্যবস্থায় প্রশাসনের নিরপেক্ষতা, নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা ও নিরপেক্ষ আইন ব্যবস্থা বিদ্যমান থাকলেও যদি মত প্রকাশের স্বাধীনতা না থাকে তাহলে সুশাসনের কার্যকারিতা থাকে না। কেননা, মত প্রকাশের স্বাধীনতার মাধ্যমেই জনগণ রাষ্ট্রের সকল কাজে সমালোচনা করার অধিকার পায়। এতে রাষ্ট্রের সকল কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পায়।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
ভালো-মন্দ, ঠিক-বেঠিক, কাঙ্ক্ষিত-অনাকাঙ্ক্ষিত, নৈতিকতা ও অনৈতিকতা বিষয় সম্পর্কে সমাজের সদস্যদের যে ধারণা তা নামই নৈতিক মূল্যবোধ।
সাধারণত নিরক্ষরেখার ৫-৩০° এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়।
নিরক্ষরেখার ৫- ২০° উত্তর ও দক্ষিণে যে ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয় তাকে ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় বলে।

পৃথিবীর ঘূর্ণনের প্রভাবে সৃষ্ট করিওলিস শক্তির (Coriolis Force) কারণে ঘূর্ণিঝড় সোজাসুজি প্রবাহিত না হয়ে উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেকে যায়। এজন্য আমরা দেখি, উত্তর গোলার্ধে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার
দিকে ঘুরতে থাকে।
বায়ুমণ্ডলের যেসকল গ্যাস তাপীয় অবলোহিত সীমার মধ্যে বিকিরিত শক্তি শোষণ ও নির্গত করে সেসকল গ্যাসকে গ্রিন হাউস গ্যাস বলে।

গ্রিন হাউস গ্যাস গুলো হলো:
কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2),
মিথেন (CH4),
নাইট্রাস অক্সাইড (N2O),
ক্লোরোফ্লোরো কার্বন (CFC)।

২০১৪ সালের IPCC এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনে যেসকল অর্থনৈতিক খাত দায়ী তা হলো:-
-বিদ্যুৎ ও তাপ (২৫ শতাংশ),
-শিল্প (২১ শতাংশ),
-কৃষি ও ভূমির ব্যবহার (২৪%),
-পরিবহন (১৪ শতাংশ),
-ভবন (৬ শতাংশ)
-ও অন্যান্য (১০ শতাংশ)।
ভূ-অভ্যন্তরে কোনো কারণে দ্রুত বিপুল শক্তি মুক্ত হওয়ায় ভূ-পৃষ্ঠে যে প্রবল ঝাঁকুনি বা কম্পনের সৃষ্টি হয়, তাকে ভূমিকম্প বলে।
ভূমিকম্প সৃষ্টির জন্য এক ধরনের তরঙ্গের সৃষ্টি হয়। এ তরঙ্গ উৎপত্তিস্থল থেকে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

-ভূমিকম্প সৃষ্টির উৎপত্তিস্থলকে কেন্দ্র (Focus) বলে।
-কেন্দ্র থেকে লম্বালম্বিভাবে ভূ-পৃষ্ঠের উপরিস্থ বিন্দু উপকেন্দ্র এপিসেন্টার(Epicentre) হিসেবে পরিচিত।
-ভূমিকম্প কেন্দ্রের গভীরতা ৫ থেকে ১১০০ কিলোমিটারের বেশি হতে পারে।

ভূকম্পন কেন্দ্রের অবস্থানের ভিত্তিতে কেন্দ্রকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন:-
১.অগভীর কেন্দ্ৰ ৫-৬০ কি.মি.,
২.মাঝারি কেন্দ্র ৬০-৩০০ কি.মি. এবং
৩.গভীর কেন্দ্র ৩০০ কি.মি. এর অধিক।
-ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্র তিতাস।
-১৯৬২ সালে পাকিস্তান শেল অয়েল কোম্পানি এটি আবিষ্কার করে।
-তিতাস গ্যাসক্ষেত্রে মোট অনুমিত মজুদ গ্যাস ২.১ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।
-বর্তমানে দেশে ২৯টি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। এর মধ্যে বাখরাবাদ, হবিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্র যথাক্রমে কুমিল্লা ও হবিগঞ্জ জেলায় অবস্থিত।
-উপকূল হতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা ২০০ নটিক্যাল মাইল বা ৩৭০.৪০ কি.মি.।
-রাজনৈতিক সীমা ১২ নটিক্যাল মাইল বা ২২.২২ কি.মি.।
-এবং ৩৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপান এলাকা বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার অন্তর্ভূক্ত।
সিংহলিজ শব্দ 'সিডর' এর অর্থ চোখ। সাগরে উৎপন্ন তীব্রতাসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড় হলো সিডর।

-৯ নভেম্বর ২০০৭ সালে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় এর উৎপত্তি ঘটে, যা ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করে ১৫ নভেম্বর, ২০০৭ সালে বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলে বৃহত্তর খুলনা ও পটুয়াখালী অঞ্চলে আঘাত হানে।

-বাংলাদেশের উপকূলীয় ২২টি জেলা সিডরে আক্রান্ত হয় এবং প্রায় ১০ হাজার লোক নিহত হয়।
সিএফসি (ক্লোরোফ্লোরো কার্বন) এর ট্রেড নাম ফ্রেয়ন। এয়ার কন্ডিশনার, রেফ্রিজারেটর, প্লাস্টিক কারখানা ইত্যাদি থেকে সিএফসি গ্যাস নির্গত হয়। এই গ্যাস পৃথিবীর ঊর্ধ্বাকাশে ওজোন স্তরকে ধ্বংস করে ফাটল সৃষ্টি করে। এর ফলে অতিবেগুনি রশ্মি ও মহাজাগতিক রশ্মি সরাসরি পৃথিবীতে এসে পড়ে এবং নানাবিধ জটিল রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটায়।
যেহেতু সিএফসি ওজোন স্তর ধ্বংসের জন্য দায়ী। এ কারণে সিএফসি'র পরিবর্তে ‘গ্যাজোলিয়াম' নামক মৌলিক পদার্থ ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব ফ্রিজ তৈরি করা হয়। বর্তমানে রেফ্রিজারেটরে পরিবেশবান্ধব R-134a (টেট্রাফ্লুরোইথেন), হাইড্রো ক্লোরোফ্লোরোকার্বন (HCFC's ) অথবা হাইড্রো ফ্লোরোকার্বন (HFC's) ব্যবহৃত হয়।

অন্যদিকে, ১৯৮৭ সালে মন্ট্রিল প্রটোকলে সিএফসি গ্যাস উৎপাদন নিষিদ্ধ করা হয়। এ চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য বর্তমানে সিএফসি গ্যাসের উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে।
প্রতিটি প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন প্রয়োজন। যেসব প্রাণী ফুলকার সাহায্যে শ্বাস গ্রহণ করে এবং পানিতে বসবাস করে, সেসব প্রাণীর ক্ষেত্রে দ্রবীভূত অক্সিজেনের গুরুত্ব অনেক। কারণ ফুলকার সাহায্যে বায়ু হতে অক্সিজেন গ্রহণ সম্ভব নয়। তবে পানিতে যে দ্রবীভূত অক্সিজেন থাকে সেটা ফুলকার সাহায্যে সহজেই গ্রহণ করা যায়। পানির উপরিভাগে বায়ু থেকে অক্সিজেন পানিতে দ্রবীভূত হয়।
যে অক্সিজেন পানিতে দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে তাকে দ্রবীভূত অক্সিজেন বলে। এটি দ্রবীভূত অবস্থায় পানির আন্তঃআনবিক স্থানে থাকে। পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ তাপমাত্রা ও চাপের ওপর নির্ভরশীল। সকল জলজ প্রাণীর জীবন ধারণের জন্য পানিতে দ্রবীভূত অবস্থায় অক্সিজেনের উপস্থিতি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিছু অক্সিজেন পানির সাথে মিশ্রিত অবস্থায় থাকে। জলজ উদ্ভিদ যখন সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় সূর্যালোকের উপস্থিতিতে পানি ও কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে খাদ্য (গ্লুকোজ) প্রস্তুত করে তখন বিক্রিয়ায় উৎপন্ন অক্সিজেন পানিতে দ্রবীভূত হয়।

-প্রকৃতির বিস্ময়কর সৃষ্টি ‘হালদা নদী এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র।
-এ নদীটি বাংলাদেশের পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার দক্ষিণ পূর্ব অংশের বাদনাতলী পাহাড় থেকে উৎপত্তি হয়ে কর্ণফুলী নদীর সাথে মিলিত হয়েছে।

-বাংলাদেশের বৃহত্তম, দীর্ঘতম, প্রশস্ততম ও গভীরতম নদী মেঘনা।
-আসামের বরাক নদী নাগা-মনিপুর থেকে উৎপত্তি হয়ে সুরমা এবং কুশিয়ারা নামে দুটি শাখায় বিভক্ত হয়ে সিলেট জেলায় প্রবেশ করেছে।
-সুরমা-কুশিয়ারা নদী আজমিরীগঞ্জে মিলিত হয়ে কালনী নামে দক্ষিণে কিছুদূর প্রবাহিত হয়ে মেঘনা নাম ধারণ করেছে। এরপর ভৈরব বাজারের নিকট পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের সাথে মিলিত হয়ে মেঘনা নামে প্রবাহিত হয়ে চাঁদপুরের নিকট পদ্মার সাথে মিলিত হয়।
-আর পদ্মা মেঘনা মিলিত স্রোতধারা মেঘনা নামে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।

-নাফ নদীটি আরাকান (মিয়ানমার) পাহাড় থেকে উৎপত্তি হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। এর দৈর্ঘ্য ৫৬ কি.মি.।
-বাংলাদেশের দক্ষিণ- পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদী কর্ণফুলীর উৎপত্তি মিজোরামের লুসাই পাহাড় থেকে। এর দৈর্ঘ্য ৩২০ কি.মি।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- ৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯২ সালে নেদারল্যান্ডের ম্যাসট্রিচট শহরে ঐতিহাসিক ‘ম্যাসট্রিচট চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে ‘ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন' প্রতিষ্ঠিত হয়।
- ১ নভেম্বর, ১৯৯৩ সালে চুক্তিটি কার্যকর হয়।
-সংস্থাটির বর্তমান সদস্য সংখ্যা ২৭। সাইপ্রাস, ইস্টোনিয়া ও মাল্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য।
-ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তর ব্রাসেলস, বেলজিয়ামে অবস্থিত।

-অন্যদিকে, আলজেরিয়া উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকার ভূ-মধ্যসাগরের দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। এর রাজধানী আলজিয়ার্স।
-Elephant Pass শ্রীলংকার উত্তর প্রদেশে অবস্থিত।
-এটিকে জাফনা উপদ্বীপের প্রবেশদ্বার বলা হয়।
-Elephant Pass এর মাধ্যমে শ্রীলংকার মূল ভূখণ্ডের সাথে জাফনা উপদ্বীপ যুক্ত।

দুই পর্বতের মধ্যবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকাকে উপত্যকা বলে। 

-তিব্বত উপত্যকা সমুদ্রতল থেকে ৪.৮ কি.মি. উপরে অবস্থিত এবং এটি পৃথিবীর দুইটি সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট এভারেস্ট ও K-2 এর মাঝে অবস্থিত। 
-পর্বত থেকে নিচু কিন্তু সমভূমি থেকে উচু বিস্তীর্ণ সমতল ভূমিকে মালভূমি বলে। এদিক থেকে এটি আবার মালভূমি। তিব্বত মালভূমি মধ্য ও পূর্ব এশিয়ার একটি বিশাল উচ্চভূমি। এটি চীনের কিংহাই, ভারতের লাদাখ ও হিমাচল প্রদেশ নিয়ে গঠিত। তবে বর্তমানে তিব্বত নামে পরিচিত যে অংশটুকু সেটি বর্তমানে চীনের একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। 
-১৯১২ সালে ত্রয়োদশ দালাইলামা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একটি স্ব-শাসিত অঞ্চল। 
-পরবর্তীতে ১৯৫১ সালে চীন তিব্বতের উপর তার সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করে। 
-তিব্বতের রাজধানী লাসা। এটি বিশ্বব্যাপী নিষিদ্ধ নগরী হিসেবে পরিচিত।

পৃথিবীর প্রাচীনতম সভ্যতা হলো মেসোপটেমীয় সভ্যতা।

-গ্রিক ভাষায় ‘মেসোপটেমীয়’ অর্থ দুই নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চল। 
-খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০ অব্দে ইরাকের টাইগ্রিস (দজলা) ও ইউফ্রেটিস (ফোরাত) নদীর উর্বর তীরাঞ্চলে এ সভ্যতার বিকাশ ঘটে। 
-একই ভূ-খণ্ডে গড়ে ওঠা অনেকগুলো (সুমেরীয়, অ্যাসেরীয়, ব্যাবিলনীয় ও ক্যালডীয়) সভ্যতাকে একত্রিতভাবে মেসোপটেমীয় সভ্যতা নামে অভিহিত করা হয়। 
-আধুনিক তুরস্ক, সিরিয়া, ইরান, ইরাক ও কুয়েত এ সভ্যতার অংশ ছিল। 
-তবে মেসোপটেমীয় সভ্যতার বেশিরভাগ অংশ ইরাকে অবস্থিত। এটি ছিল সেচ নির্ভর প্রাচীন সভ্যতা ।

-ভিক্টোরিয়া অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম মরুভূমি। 
-এটি পশ্চিম ও দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে অবস্থিত। 
-এর আয়তন ৩৪৮৭৫০ বর্গ কি.মি.।

- ২০০৪ সালে মার্ক জাকারবার্গ, ডাসটিন মস্কোভিচ ও হিউজেস মিলে সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট Facebook তৈরি করেন।
- এর সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত।

বান্দা আচেহ ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর।
-এটি বিশেষ স্বায়ত্তশাসিত মর্যাদা প্রাপ্ত প্রদেশ।
-এটি সুমাত্রা দ্বীপে অবস্থিত এবং এর উচ্চতা 35 মিটার।
-শহরটি 61.36 বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত।
-চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিং পিং Belt and Road Initiative চালু করেন ২০১৩ সালে। 
-এই প্রকল্পের এখন পর্যন্ত ১২৬ টি দেশ ও ২৯ টি সংস্থা যুক্ত হয়েছে ।
 
-নিউ সিল্ক রুট হচ্ছে প্রাচীন সিল্ক রুটের নতুন সংস্করণ। 
-এটি চীন থেকে পূর্ব-পশ্চিম-দক্ষিণ এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকা মহাদেশের সাথে সড়ক ও নৌপথে বিস্তৃত একটি যোগাযোগ নেটওয়ার্ক। 
-প্রাচীন এই বাণিজ্য রুট খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতকে গড়ে ওঠে চীনের হান রাজবংশের আমলে; আর দশম শতাব্দীতে চীনের সং রাজবংশের আমলে এটি বন্ধ হয়ে যায়।
-চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০১৩ সালে মধ্য এশিয়া ভ্রমণকালে সিল্ক রোড ইকোনমিক বেল্ট (এসআরইবি) ও একুশ শতকের সামুদ্রিক সিল্ক রোড (এমএসআর) নির্মাণের ঘোষণা দেন। 
-প্রথমদিকে এই যৌথ প্রকল্পের নামকরণ করা হয় ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড (ওবিওআর)। 
-২০১৬ সালে ওবিওআর এর নাম পরিবর্তন করে ‘দ্য বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ (বিআরআই) রাখা হয়।

-প্রশান্ত মহাসাগর পৃথিবীর বৃহত্তম মহাসাগর। 
-এর আয়তন ১৬ কোটি ৬০ লক্ষ বর্গ কি.মি.। 
-এটি দেখতে বৃহদাকার ত্রিভুজের মতো। 
-প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরতম স্থান মারিয়ানা ট্রেঞ্চ। 
-এর গভীরতা ১১০৩৩ মিটার (৩৬১৯৯ ফুট)। 
-এটি পৃথিবীর গভীরতম স্থান। 
 
অন্যদিকে,
-Dead Sea (মৃত সাগর) একটি লবণাক্ত হ্রদ। এর দৈর্ঘ্য ৬৭ কিলোমিটার, প্রস্থ ১৮ কিলোমিটার এবং গভীরতা ১,২৪০ ফুট।
- বৈকাল বিশ্বের গভীরতম হৃদ। এটি রাশিয়ার সাইবেরিয়া অঞ্চলে অবস্থিত। 
-লোহিত সাগর ভারত মহাসাগরের একটি অংশ বিশেষ। এটি এশিয়া ও আফ্রিকার মধ্যবর্তীস্থানে অবস্থিত।

ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তিব্বত সীমান্ত জুড়ে ম্যাকমোহন লাইন অবস্থিত।ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের সঙ্গে চীনের তিব্বত অঞ্চলের সীমানা নির্ধারিত হয়েছে কমপক্ষে তিন বার। প্রথমবার ১৮৬৫ সালে জনসন লাইন এর মাধ্যমে। দ্বিতীয়বার ১৮৯৯ সালে ম্যাকার্টনি-ম্যাকডোনাল্ড লাইন অনুসারে। তৃতীয়বার ১৯১৪ সালে তিব্বতের সঙ্গে ব্রিটিশ ভারতের আলোচনা সাপেক্ষে ম্যাকমোহন লাইন এর মাধ্যমে সীমান্ত নির্ধারিত হয়।
 
কিন্তু ১৯৫১ সালে চীন তিব্বতের উপর তার সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করে ম্যাকমোহন লাইনকে অস্বীকার করে। অজুহাত হিসেবে চীন দাবি করে, এই চুক্তির সময় তিব্বত কোন সার্বভৌম রাষ্ট্র ছিল না। তিব্বত দখলের পর ভারতের বর্তমান অরুণাচল প্রদেশ ও কাশ্মীরের আকসাইকে চীন নিজেদের অংশ বলে দাবী করলে ভারতের সাথে সীমান্ত উত্তেজনা শুরু হয়। 
এর ফলস্বরূপ এই সীমান্ত বিরোধ নিয়ে ২০ অক্টোবর থেকে ২১ নভেম্বর, ১৯৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধ সংঘটিত হয়।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
Group of Twenty বা G-20 বিশ্বের ১৯টি দেশ, আফ্রিকান ইউনিয়ন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি অর্থনৈতিক সংগঠন।
- ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটির সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ নেতাদের সম্মেলন ২০০৮ সাল থেকে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
- এরই ধারাবাহিকতায় G20 বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন ২০২৫ সালের ২২-২৩ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত হয়। 
• আফ্রিকান ইউনিয়ন সদস্যপদ লাভ করে: ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩।
• বর্তমানে সদস্য - ২১টি (১৯টি দেশ এবং ২টি সংস্থা)।
• যে ২টি সংস্থা G-20 এর সদস্য: ইউরোপাীয় ইউনিয়ন ও আফ্রিকান ইউনিয়ন।


সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0