আলো (135 টি প্রশ্ন )
আলোর প্রতিফলনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় যখন প্রতিফলক তল মসৃণ হয়। কারণ মসৃণ প্রতিফলক থেকে আলোর রশ্মি নিয়মিত (নিয়ম অনুসারে আপতন কোণ সমান প্রতিফলন কোণ) প্রতিফলিত হয়, ফলে প্রতিফলিত আলোর পরিমাণ বেশি হয়। অপরদিকে, অসমান (অমসৃণ) তল থেকে আলো বিচ্ছুরিত (scattered) হয়, যা প্রতিফলনের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। এছাড়াও আপতন কোণ বেশি হলে প্রতিফলনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
- আলোর কণা তত্ত্ব অনুযায়ী, আলো কণা দিয়ে গঠিত। এই তত্ত্ব আলোর প্রতিফলন এবং ছায়া সৃষ্টির মতো ঘটনা ব্যাখ্যা করতে পারে। আলোর প্রত্যাবর্তন (আলোর ঋজু পথে চলা) এটিও কণা তত্ত্বের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা যায়।
- তবে, আলোর বর্ণালী গঠন (যেমন প্রিজমের মাধ্যমে আলোর বিভিন্ন রঙে বিভক্ত হওয়া) এবং বিশেষ করে ব্যতিচার (দুটি আলোক তরঙ্গের উপরিপাতনের ফলে উজ্জ্বল ও অন্ধকার পটি তৈরি হওয়া) ও অপবর্তন (ধারালো কিনারা বা ছোট ছিদ্রের পাশ দিয়ে আলো বেঁকে যাওয়া) - এই ঘটনাগুলো আলোর তরঙ্গ প্রকৃতির সাথে বেশি সঙ্গতিপূর্ণ।
- কণা তত্ত্ব এককভাবে এই জটিল তরঙ্গ বৈশিষ্ট্যগুলোকে ব্যাখ্যা করতে পারে না। আলোর বর্ণালী গঠনের মূল কারণ হলো আলোর প্রতিটি ভিন্ন ভিন্ন রঙের জন্য ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্য, যা কণা তত্ত্ব দিয়ে সহজে ব্যাখ্যা করা কঠিন।
মৌলিক বা প্রাথমিক রঙ তিনটি (লাল, নীল ও সবুজ) । এ তিনটি রঙয়ের সংমিশ্রণে অন্য সব রং তৈরি করা যায়।
যথাঃ

- লাল+নীল=বেগুনী,
- হলুদ+সবুজ=লাইম, 
- লাল+হলুদ=কমলা,
- হলুদ+নীল=লাল,
- লাল+নীল+হলুদ=কালো, 
- লাল+ নীল=ম্যাজেণ্টা,
- নীল+সবুজ=নীলচে সবুজ,
- লাল+সবুজ=হলুদ,
- লাল+নীল+সবুজ=সাদা।
আলো যখন প্রিজমের মধ্য দিয়ে যায়, তখন তা বর্ণালীতে ভেঙে যায়। এই বর্ণালীতে আলো তার তরঙ্গদৈর্ঘ্য অনুসারে বিভিন্ন রঙে বিন্যস্ত হয়। এই বর্ণালীর রঙগুলো হলো:

১. বেগুনি (Violet) - সর্বনিম্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্য
২. নীল (Indigo)
৩. আসমানি (Blue)
৪. সবুজ (Green) - মধ্যবর্তী তরঙ্গদৈর্ঘ্য
৫. হলুদ (Yellow)
৬. কমলা (Orange)
৭. লাল (Red) - সর্বোচ্চ তরঙ্গদৈর্ঘ্য

- বর্ণালীর এই সাতটি রঙের মধ্যে সবুজ রঙটি প্রায় মাঝামাঝি অবস্থানে থাকে।
- একদিকে যেমন বেগুনি, নীল ও আসমানি (কম তরঙ্গদৈর্ঘ্যের রঙ) রয়েছে, তেমনি অন্যদিকে হলুদ, কমলা ও লাল (বেশি তরঙ্গদৈর্ঘ্যের রঙ) বিদ্যমান।
- সেই কারণে বর্ণালীর মধ্যরশ্মি হিসেবে সবুজ রঙকেই ধরা হয়।
আলোর বর্ণ নির্ধারণ করে আলোর কম্পাঙ্ক (Frequency)। আলোর বর্ণ নির্ধারিত হয় আলোক কণা বা ফোটণের শক্তির ওপর। যেহেতু ফোটনের শক্তি, E = hv; যখন নির্দিষ্ট কম্পাঙ্কের আলো আমাদের চোখের কোনে (cone) পড়ে তখন ঐ আলোর সমান কম্পাঙ্কের তড়িৎ সিগন্যাল আমাদের ব্রেইনে যায় এবং আমরা তৎসংশ্লিষ্ট বর্ণ দেখি । 
 
আলো বায়ু মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমে গেলে আলোর বেগ, তরঙ্গদৈর্ঘ্য উভয়ই হ্রাস পায়, বিস্তারও কমে। কিন্তু আলোর কম্পাঙ্ক ধ্রুব থাকে। 

তাই আলোর রং নির্ধারণের প্রধান ফ্যাক্টর কম্পাঙ্ক । তবে যেখানে কম্পাঙ্ক স্থির থাকে, অর্থাৎ নির্দিষ্ট মাধ্যমে আলোর বর্ণ তার তরঙ্গদৈর্ঘ্য দ্বারা নির্ধারণ করা যায়। 

যে মসৃণ তলে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে তাকে দর্পণ বলে।
দর্পণ প্রধানত দুই প্রকার।
যথা- সমতল দর্পণ ও গোলীয় দর্পণ।
গোলীয় দর্পন আবার ২ প্রকার, যথাঃ উত্তল ও অবতল দর্পণ।
আলোর বর্ণ নির্ধারণ করে আলোর কম্পাঙ্ক (Frequency)। আলোর বর্ণ নির্ধারিত হয় আলোক কণা বা ফোটণের শক্তির ওপর। যেহেতু ফোটনের শক্তি, E = hv; যখন নির্দিষ্ট কম্পাঙ্কের আলো আমাদের চোখের কোনে (cone) পড়ে তখন ঐ আলোর সমান কম্পাঙ্কের তড়িৎ সিগন্যাল আমাদের ব্রেইনে যায় এবং আমরা তৎসংশ্লিষ্ট বর্ণ দেখি । 
 
আলো বায়ু মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমে গেলে আলোর বেগ, তরঙ্গদৈর্ঘ্য উভয়ই হ্রাস পায়, বিস্তারও কমে। কিন্তু আলোর কম্পাঙ্ক ধ্রুব থাকে। 

তাই আলোর রং নির্ধারণের প্রধান ফ্যাক্টর কম্পাঙ্ক । তবে যেখানে কম্পাঙ্ক স্থির থাকে, অর্থাৎ নির্দিষ্ট মাধ্যমে আলোর বর্ণ তার তরঙ্গদৈর্ঘ্য দ্বারা নির্ধারণ করা যায়। 

আলোর প্রতিসরণ ঘটে কারণ এক মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমে প্রবেশ করার সময় আলোর গতি পরিবর্তিত হয়। এটি মাধ্যমের ঘনত্বের পার্থক্যের কারণে ঘটে। যখন আলো একটি হালকা মাধ্যম (যেমন বায়ু) থেকে একটি ঘন মাধ্যম (যেমন পানি বা কাচ) প্রবেশ করে, তখন আলোর গতি কমে যায় এবং এটি বিভেদ তলে অভিলম্বের দিকে বেঁকে যায়। আবার, ঘন মাধ্যম থেকে হালকা মাধ্যমে প্রবেশ করলে আলোর গতি বৃদ্ধি পায় এবং এটি অভিলম্ব থেকে দূরে সরে যায়।

এই গতি পরিবর্তনের কারণেই আলোর দিক পরিবর্তিত হয়, যা আমরা প্রতিসরণ হিসেবে জানি। স্নেলের সূত্র অনুযায়ী, প্রতিসরণ কোণ এবং আপতন কোণের সাইনগুলোর অনুপাত মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্কের উপর নির্ভর করে। সুতরাং, আলোর গতি পরিবর্তনই প্রতিসরণের মূল কারণ।


- রংধনু বা রামধনু বা ইন্দ্রধনু হল একটি দৃশ্যমান ধনুকাকৃতি আলোর রেখা যা বায়ুমণ্ডলে অবস্থিত জলকণায় সূর্যালোকের প্রতিফলন এবং প্রতিসরণের ফলে ঘটিত হয়। সাধারণত বৃষ্টির পর আকাশে সূর্যের বিপরীত দিকে রামধনু দেখা যায়।
- পূর্বাকাশে রংধনু দেখা যায় না সকালে।
- পশ্চিমাকাশে রংধনু দেখা যায় সকালে।
- আকাশে রংধনু সৃষ্টির কারন বৃষ্টির কণা।
- রংধনু সৃষ্টির বেলায় পানির কণাগুলো প্রিজমের কাজ করে।
- রংধনুর সাত রংয়ের মধ্যে মধ্যম রং সবুজ।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- উত্তল লেন্সকে আতশী কাঁচ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
- উত্তল লেন্সের সাহায্যে আলোক রশ্মিকে একটি বিন্দুতে কেন্দ্রীভূত করে আগুন জ্বালানোর কাজে ব্যবহৃত হয়।
- চশমা, ক্যামেরা, বিবর্ধক কাঁচ, অণুবীক্ষণ যন্ত্র, দূরবীক্ষণ যন্ত্র ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়।
- বেগুনি আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম বলে এর বিক্ষেপণ, প্রতিসরণ ও বিচ্যুতি সবচেয়ে বেশী।
- যে বর্ণের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বেশি, তার প্রতিসরণ, বিচ্যুতি ও বিক্ষেপণ তত কম।
- লাল আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি বলে এর বিক্ষেপণ, প্রতিসরণ ও বিচ্যুতি সবচেয়ে কম।


বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির নাম ও ব্যবহারঃ
১.পেরিস্কোপ: সমুদ্রের তলদেশ থেকে সমুদ্রতলের ওপর অবধি বস্তুর অবস্থান নির্ণয় করা হয়।
২. অডিওমিটার: শ্রবণশক্তি পরীক্ষা করা হয়।
৩. ব্যারোমিটার: বায়ুর চাপ মাপক যন্ত্র।
৪. ক্যালরিমিটার: তাপের পরিমাপ করা হয়।
৫. ম্যানোমিটার: গ্যাসের চাপ মাপক যন্ত্র।
৬. বেকম্যান থার্মোমিটার: এর দ্বারা তাপমাত্রার সামান্যতম পরিবর্তনকে লিপিবদ্ধ করা হয়।
৭. ক্লিনিক থার্মোমিটার: মানবদেহের তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত হয়।
৮. ফ্যাদোমিটার: সমুদ্রের গভীরতা পরিমাপতে এই যন্ত্র ব্যবহৃত হয়।
৯. ডায়নামোমিটার: বৈদ্যুতিক ক্ষমতা মাপা হয়।
১০. স্পিডোমিটার: চলমান বস্তুর গতি নির্ধারণে ব্যবহার করা হয়।
১১. অ্যামমিটার: তড়িৎপ্রবাহ পরিমাপে ব্যবহৃত হয়।
১২. হাইগ্রোমিটার: বায়ুমণ্ডলের আপেক্ষিক আর্দ্রতা পরিমাপক যন্ত্র।
১৩. মাইক্রোমিটার: অতি সূক্ষ্ম বস্তুর মাপ নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়।
১৪. রেডিও মিটার: তাপ বিকিরণ সংক্রান্ত গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়।
১৫. ফটোমিটার: আলােকের তীব্রতা পরিমাপে ব্যবহৃত হয়।
১৬. কম্পিউটার: বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ ও জটিল গণনায় ব্যবহৃত হয়।
১৭. হাইড্রোমিটার: তরলের আপেক্ষিক ঘনত্ব পরিমাপক যন্ত্র।
১৮. রেইনগেজ: বৃষ্টিপাত পরিমাপ করতে এই যন্ত্র ব্যবহৃত হয়।
১৯. অণুবীক্ষণ যন্ত্র: অত্যন্ত ক্ষুদ্রবস্তু বিবর্ধিত অবস্থায় ধরা পড়ে।
২০. পেসমেকার: হৃৎপিণ্ডের সাহায্যকারী যন্ত্র
২১. অডিওফোন: দুর্বল শ্রবণ ক্ষমতার উন্নতি করতে এই যন্ত্র ব্যবহৃত হয়।
২২. এন্ডোস্কোপ: মানুষের দেহের কোনাে ফাপা অস্ত্র সম্পর্কে পরীক্ষা করা যায়।
২৩. বায়নোকুলার: দূরের বস্তুকে বৃহৎ আকারে দেখতে পাই।
২৪. সিসমোগ্রাফ: ভূমিকম্পের তীব্রতা লিপিবদ্ধ করার যন্ত্র।
২৫. স্টেথোস্কোপ: হার্ট ও ফুসফুসের শব্দ শােনার যন্ত্র।
২৬. ভার্নিয়ার স্কেল: অতি ক্ষুদ্ৰ দৈৰ্ঘ্য মাপা হয়।

সমতল দর্পণে গঠিত প্রতিবিম্বের বৈশিষ্ট্যসমূহঃ 

- দূরত্বের সম্পর্ক: দর্পণ থেকে বস্তু ও দর্পণ থেকে বিম্বের দূরত্ব সমান। 
- রৈখিক সম্পর্ক: বস্তু ও বিম্বের সংযোজক রেখা দর্পণ তলকে লম্বভাবে ছেদ করে। 
- প্রকৃতি: সমতল দর্পণে গঠিত প্রতিবিম্ব অসদ (অবাস্তব) ও সোজা। 
- আকার: বিম্বের আকার বস্তুর আকারের সমান। 
- পার্শ্ব পরিবর্তন: বিম্বে বস্তুর পার্শ্ব পরিবর্তন ঘটে।

- আলো কোনো স্বচ্ছ মাধ্যমের ভিতর দিয়ে যাওয়ার সময় অন্য কোন মাধ্যমে বাধা পেলে দুই মাধ্যমের বিভেদতল থেকে কিছু পরিমাণ আলোক রশ্মি আগের মাধ্যমে ফিরে আসে, এ ঘটনাকে আলোর প্রতিফলন বলে।

- আলোর প্রতিফলন দুইটি সূত্র মেনে চলে। যথা:
প্রথম সূত্র: আপাতন রশ্মি এবং লম্ব দিয়ে আমরা যে সমতলটি কল্পনা করে নিয়েছিলাম প্রতিফলিত রশ্মিটি সেই সমতলেই থাকবে।
দ্বিতীয় সুত্র: প্রতিফলন কোনটি হবে আপাতন কোনের সমান।

- ক্রান্তি কোণের ক্ষেত্রে প্রতিসরণ কোণের মান 90 ডিগ্রী হয়।
- এটিকে সংকট কোণও বলে।
- এটি ঘন মাধ্যম থেকে হালকা মাধ্যমে আপতন কোণের সেই মানকে বোঝায় যেখানে প্রতিসরিত রশ্মি বিভেদ তলের সাথে সমান্তরাল হয়ে যায়।
- ক্রান্তি/সংকট কোণের মান নির্ভর করে দুটি মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্কের উপর।
- আলো ক্রান্তি কোণের চেয়ে বেশি কোণে আপতিত হলে সেটি আর প্রতিসরিত হয় না, প্রতিফলনের সূত্রানুসারে প্রথম মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়।

- শ্বেতমণ্ডল হল চোখের সবচেয়ে বাইরের স্তর।
- এটি একটি শক্ত, সাদা টিস্যু যা চোখের আকৃতি এবং কাঠামো প্রদান করে।
- এটি চোখকে সংরক্ষণ করে এবং পেশি সংযুক্ত রাখে।

অন্যদিকে,
- কৃষ্ণমণ্ডল হল চোখের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি কালো অংশ। এটি চোখের ভিতরের অংশগুলিকে রক্ষা করে এবং আলোর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
- কর্নিয়া হল চোখের সামনের অংশে অবস্থিত একটি স্বচ্ছ অংশ। এটি আলোকে চোখের ভিতরে প্রবেশ করতে সাহায্য করে।


- একগুচ্ছ অপটিক্যাল ফাইবারকে আলোক নল বলা হয়।
- আলোক নল হল একাধিক অপটিক্যাল ফাইবারের একটি সংমিশ্রণ যা একটি সাধারণ আবরণ দ্বারা আবৃত থাকে।
- আলোক নলগুলি অপটিক্যাল যোগাযোগে আলোর মাধ্যমে তথ্য প্রেরণ করতে ব্যবহৃত হয়।

- অপটিক্যাল ফাইবার হল একটি পাতলা, স্বচ্ছ তার যা আলোকে প্রতিসরণ করে।
এর তিনটি অংশ থাকে। যথা-
১) কোর(Core),
২) ক্ল্যাডিং(Cladding),
৩) জ্যাকেট(Jacket)।


- কোন মাধ্যমে প্রতিসরনের ফলে যৌগিক আলো থেকে মূল বর্ণের আলো পাওয়ার পদ্ধতিকে আলোর বিচ্ছুরণ বলে।
- ১৬৬৬ সালে স্যার আইজ্যাক নিউটন প্রথম একটি পরীক্ষার সাহায্যে আলোর বিচ্ছুরন আবিষ্কার করেন।

উৎসঃ একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর পদার্থ বিজ্ঞান (২য় পত্র) বোর্ড বই।
✔বিটা রশ্মির বৈশিষ্ঠ্যঃ
১। এটি অতি দ্রুত দ্রুতি সম্পন্ন ইলেকট্রনের প্রবাহ।
২।বিটা রশ্মি ঋণাত্নক আধানযুক্ত।
৩।এই রশ্মি চৌম্বক ও তড়িৎ ক্ষেত্র দ্বারা বিক্ষিপ্ত হয় ।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- কোন মাধ্যমে প্রতিসরনের ফলে যৌগিক আলো থেকে মূল বর্ণের আলো পাওয়ার পদ্ধতিকে আলোর বিচ্ছুরণ বলে।
- ১৬৬৬ সালে স্যার আইজ্যাক নিউটন প্রথম একটি পরীক্ষার সাহায্যে আলোর বিচ্ছুরন আবিষ্কার করেন।

উৎসঃ একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর পদার্থ বিজ্ঞান (২য় পত্র) বোর্ড বই।
- কোয়ান্টাম তত্ত্ব ১৯০০ সালে ম্যাক্স প্লাঙ্ক আলোর কোয়ান্টাম তত্ত্বের প্রস্তাবনা করেন।
- এই তত্ত্ব অনুসারে শক্তি কোনো উৎস থেকে অবিচ্ছিন্ন তরঙ্গের আকারে না বেরিয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শক্তি গুচ্ছ বা প্যাকেট আকারে বের হয়।
- প্রত্যেক প্রকার কম্পাঙ্কের (রঙের আলোর) জন্য এই শক্তি প্যাকেটের একটি সর্ব নিম্ন মান আছে। এই সর্ব নিম্ন শক্তি সম্পন্ন কণিকার নাম কোয়ান্টাম বা ফোটন।
- প্লাঙ্কের মতে কৃষ্ণ বস্তুর বিকিরণ আলাদা আলাদা বা গুচ্ছ গুচ্ছ বান্ডিল বা প্যাকেট আকারে সংঘটিত হয়।
- কোয়ান্টম তত্ত্ব ব্যবহার করে ১৯০৫ সালে আইনস্টাইন দীর্ঘ দিনের রহস্যময় আলোক তড়িৎ ক্রিয়ার ব্যাখ্যা দেন। এতে আলোর কণা তত্ত্ব পুনর্জীবিত হয়।

সূত্রঃ পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি ।
- বিষম দৃষ্টি হল একটি চোখের ত্রুটি যাতে একটি চোখের কর্নিয়া বা লেন্সের বক্রতা অন্য চোখের তুলনায় ভিন্ন হয়। এর ফলে আলোকরশ্মি সঠিকভাবে প্রতিসরিত হয় না এবং চোখের সামনে একটি অস্পষ্ট ছবি তৈরি হয়।
- সিলিন্ড্রিক্যাল লেন্স হল বিশেষ ধরনের লেন্স যা আলোর বিকৃতি সংশোধন করতে ব্যবহৃত হয়। এটি একটি অবতল লেন্সের সাথে একটি উত্তল লেন্সের সংমিশ্রণ।
- অবতল লেন্স আলোকে ছড়িয়ে দেয়, যখন উত্তল লেন্স আলোকে একত্রিত করে। সিলিন্ড্রিক্যাল লেন্সের অবতল অংশটি আলোর বিকৃতিগুলি সংশোধন করে, যা বিষম দৃষ্টির লক্ষণগুলি দূর করে।
এক মাধ্যম থেকে অন্য কোন সমসত্ত্ব মাধ্যমে প্রতিসৃত হওয়ার সময় আলোর রশ্মি যে দুটি সূত্র মেনে চলে তাদের প্রতিসরণের সূত্র বলে। প্রতিসরণের সূত্র দুটি হলো-

১. আলোর প্রতিসরণের প্রথম সূত্র
আপতিত রশ্মি, প্রতিসৃত রশ্মী এবং দুই মাধ্যমের বিভেদ তলের উপর আপতন বিন্দুতে অঙ্কিত অভিলম্ব একই সমতলে থাকে।
বলে।

২. আলোর প্রতিসরণের দ্বিতীয় সূত্র
দুটি নির্দিষ্ট মাধ্যম এবং একটি নির্দিষ্ট রঙের আলোর সাপেক্ষে আপতন কোণের সাইন এবং প্রতিসরণ কোণের সাইনের অনুপাত সর্বদা ধ্রুবক হয়। এই ধ্রুবককে  μ মিউ অক্ষর দিয়ে প্রকাশ করা হয়। এই সূত্রটিকে স্নেলের সূত্র বলে।
ধ্রুবক  ((μ)) মিউকে প্রথম মাধ্যমের সাপেক্ষে দ্বিতীয় মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক।
আলো যখন বায়ু বা অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমের ভিতর দিয়ে যাওয়ার সময় অন্য কোন মাধ্যমে বাধা পায় তখন দুই মাধ্যমের বিভেদতল থেকে কিছু পরিমাণ আলো প্রথম মাধ্যমে আসে ।
বৈশিষ্ট নিম্নরুপ;
১।প্রতিফলন দুইটি সূত্র মেনে চলে।
২।আপতন কোণ এবং প্রতিফলন কোণ সমান।
৩।আপতিত রশ্মি, আপতন বিন্দুতে প্রতিফলকের উপর অভিলম্ব এবং প্রতিফলিত রশ্মি একই সমতলে থাকে।
সমতল দর্পণ এমন একটি দর্পণ, যার সমতল প্রতিফলক পৃষ্ঠ বিদ্যমান।
একটি সমতল দর্পন হতে বস্তুর দূরত্ব যত, দর্পণ হতে বিম্বের দূরত্বও তত হয়।
সমতল দর্পণে পূর্ণ বিম্ব দেখতে হলে দর্পণের দৈর্ঘ্য দর্শকের উচ্চতার কমপক্ষে অর্ধেক হওয়া প্রয়োজন।
যেমন: একজন লোকের উচ্চতা ৬ ফুট। লোকটি আয়নায় নিজের পূর্ণ প্রতিবিম্ব দেখতে চাইলে আয়নার দৈর্ঘ্য কমপক্ষে (৬ / ২) = ৩ ফুট হতে হবে।
-দুটি আলোক উৎস থেকে একই বিড়ারের এবং একই তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের আলো নির্গত হয়ে কোনো বিন্দুতে আপতিত হলে উপরিপাতনের ফলে কোথাও উজ্জ্বল এবং কোথাও অন্ধকার সৃষ্টি হয়। আলোর এই উজ্জ্বলতার হ্রাস-বৃদ্ধির ঘটনাকে ব্যতিচার বলে।

-ব্যতিচারের শর্তঃ-
১। উৎস দুটি সুসঙ্গত হতে হবে।
২। একই তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোক উৎস হতে হবে।
৩। তরঙ্গ দুটির বিস্তার সমান হতে হবে।
৪। তরঙ্গ উৎস দুটি খুব কাছাকাছি হতে হবে।
- লাল আলোতে নীল, হলুদ ইত্যাদি রংয়ের বস্তুকে লাল দেখায়।
-যেহেতু হলুদ আলো লাল এবং সবুজ আলোর মিশ্রণ, তাই হলুদ রঙের বস্তু লাল এবং সবুজ আলোকে প্রতিফলিত করবে।
- এর অর্থ হল একটি হলুদ বস্তু লাল আলোর নীচে লাল এবং সবুজ আলোর নীচে সবুজ দেখাবে।
- হলুদ বর্ণে নীল রঙের উপস্থিতি নেই, তাই এটি নীল আলোর নিচে কালো দেখাবে।



আলোর বৈশিষ্ট গুলো হলো -
-আলো এক প্রকার শক্তি।
-আলো এক ধরনের তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গ।
-কোনো কোনো ঘটনায় আলো তরঙ্গের ন্যায়, আবার কখনো কখনো আলো কণার ন্যায় আচরণ করে।
আলো ------------ তরঙ্গদৈর্ঘ্য
_______________________________
বেগুনি -----------380-424 nm
নীল     -----------424-450 nm
আসমানি--------450-500 nm
সবুজ     --------500-575 nm
হলুদ     ---------575-590 nm
কমলা ----------590-647nm
লাল    ---------647-780 nm

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

-তড়িৎ চুম্বকীয় বর্ণালির সেই অংশ যা মানুষের চোখে দৃশ্যমান অর্থাৎ 4 x 10 - 7 m হতে 7 x 10 - 7 m পর্যন্ত তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সীমার তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরণকে দৃশ্যমান আলাে বলে। 

-আলােকের বর্ণ নির্ধারণ করে তার তরঙ্গ দৈর্ঘ্য। দৃশ্যমান আলাের তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের উর্ধ্বক্রম -

Violet (বেগুনি) < Indigo (নীল) < Blue (আসমানী) < Green (সবুজ) < Yellow (হলুদ) < Orange (কমলা) < Red (লাল)


সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0