রসায়ন বিজ্ঞান (70 টি প্রশ্ন )
- দস্তার এর রাসায়নিক প্রতীক  Zn.
- এর পারমাণবিক সংখ্যা ৩০।
- এর ইলেক্ট্রন সংখ্যা ৩০।
- এটি ৪র্থ পর্যায়ের গ্রুপ ১৪ তে অবস্থিত।
একই ধরনের অনেকগুলো ছোট অণু পরপর যুক্ত হয়ে পলিমার তৈরি করে। যে ছোট ছোট অণু থেকে পলিমার তৈরি হয় তাদেরকে বলে মনোমার। ভিনাইল ক্লোরাইড নামক মনোমার থেকে পলিভিনাইল ক্লোরাইড (PTC) পাইপ তৈরি হয় ।
NaCl (সোডিয়াম ক্লোরাইড) পানি বা জলীয় দ্রাবকে অত্যন্ত ভালভাবে দ্রবীভূত হয়। NaCl একটি সাধারণ লবণ যা পানিতে বেশি পরিমাণে দ্রবীভূত হয়।

AgCl (রূপা ক্লোরাইড) পানিতে প্রায় অদ্রবণীয়। এটি খুব কম মাত্রায় দ্রবীভূত হয় কারণ এটি একটি কঠিন রাসায়নিক যৌগ যা পানির সাথে খুব কম বিক্রিয়া করে।

PbCl2 (সীসা ক্লোরাইড) পানি বা জলীয় দ্রাবকে কিছুটা দ্রবীভূত হয়, তবে শুধুমাত্র গরম পানিতে এর দ্রবণীয়তা বৃদ্ধি পায়। ঠান্ডা পানিতে এই যৌগ কম দ্রবণীয়।

BaSO(বারিয়াম সালফেট) পাতাল অদ্রবণীয় যৌগ, যা পানিতে প্রায় এই দ্রবণীয় হয় না।
- আদর্শ গ্যাসের অভ্যন্তরীণ শক্তি মূলত গ্যাস অণুগুলোর গতি সংক্রান্ত শক্তি। তাপমাত্রা বাড়লে অণুগুলোর গতি বাড়ে, তাই অভ্যন্তরীণ শক্তিও বৃদ্ধি পায়।

- চাপ বা আয়তনের পরিবর্তন হলে আদর্শ গ্যাসের অভ্যন্তরীণ শক্তিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়ে না, কারণ অভ্যন্তরীণ শক্তি অনেক বেশি তাপগতীয় কণার গতিশক্তির উপর নির্ভরশীল, যা শুধু তাপমাত্রার সঙ্গে পরিবর্তিত হয়।

- গ্যাসের প্রকারের পরিবর্তন (অর্থাৎ ভিন্ন ভিন্ন ধরনের আদর্শ গ্যাস) সাধারণ আদর্শ গ্যাসের অভ্যন্তরীণ শক্তির হিসাব প্রায় একই নিয়মে হয়, কারণ এটি কেবল মোল বা অণু সংখ্যার ওপর নির্ভর করে এবং গ্যাসের প্রকার পার্থক্য তাত্ত্বিক আদর্শ গ্যাসের ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হয় না।
- জৈব যৌগ বলতে এমন যৌগকে বোঝানো হয় যার মূল উপাদান হিসেবে কার্বন থাকে এবং সাধারণত হাইড্রোজেনসহ অন্যান্য মৌল যুক্ত থাকে, যেমন অক্সিজেন, নাইট্রোজেন ইত্যাদি।
- জৈব যৌগ প্রধানত হাইড্রোকার্বন ও এর ধরনের যৌগ যা জীব ও প্রাণদেহে পাওয়া যায় অথবা পরীক্ষাগারে সংশ্লেষিত হয়
- গ্লুকোজ একটি কার্বন ভিত্তিক যৌগ, অর্থাৎ জৈব যৌগ।
- ইথানল (অ্যালকোহল) ও মিথেন (সবচেয়ে সহজ হাইড্রোকার্বন) জৈব যৌগ।
- কিন্তু খাবার লবণ হচ্ছে নোন, যা খনিজ যৌগ এবং এতে কার্বন থাকে না, তাই এটি জৈব যৌগ নয়। খাবার লবণ মূলত সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) যা অজৈব যৌগ।
রোডিয়াম (Rhodium) হলো পর্যায় সারণীর ৪৫তম মৌলিক পদার্থ এবং এটি একটি বিরল, সাদা রূপের অবস্থান্তর ধাতু, যা রাসায়নিকভাবে নিষ্ক্রিয় ধাতু হিসেবে পরিচিত। এর আণবিক সংকেত বা রাসায়নিক প্রতীক Rh ।
- ZnSO₄ হলো জিঙ্ক সালফেট (Zinc Sulfate)।

- ZnO হলো জিঙ্ক অক্সাইড (Zinc Oxide)।

- Zn(OH)₂ হলো জিঙ্ক হাইড্রোক্সাইড (Zinc Hydroxide)।

- ZnCO₃ হলো ক্যালামিন (Zinc Carbonate) ।
- সৌর বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় সাধারণত লিড-অ্যাসিড ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়।
- এই ব্যাটারিগুলিতে চার্জ সংরক্ষণ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ইলেকট্রোলাইট হিসেবে সালফিউরিক এসিড ব্যবহার করা হয়।
- সালফিউরিক এসিড পানির সাথে মিশ্রিত হয়ে ইলেকট্রোলাইট তৈরি করে, যা ব্যাটারির ভেতরে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সংরক্ষণে সহায়তা করে।
- সালফিউরিক এসিডের উপস্থিতি ব্যাটারির কার্যক্ষমতা এবং চার্জ-ডিসচার্জ চক্রকে কার্যকর করে তোলে।
- সেলুলোজ এবং প্রোটিন প্রাকৃতিক পলিমার।
- সেলুলোজ উদ্ভিদের কোষ প্রাচীরের প্রধান উপাদান এবং প্রোটিন প্রাণিজ ও উদ্ভিজ্জ কোষে পাওয়া যায়।
- রবার প্রাকৃতিক এবং কৃত্রিম উভয় রূপে পাওয়া যায়। তবে এখানে নির্দিষ্টভাবে কৃত্রিম পলিমার চাওয়া হয়েছে।
- নাইলন একটি কৃত্রিম পলিমার যা রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়।
- এটি পলিঅ্যামাইড পলিমার এবং সাধারণত তন্তু, দড়ি, ব্রাশ, মাছ ধরার জাল ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
- এটি প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায় না এবং সম্পূর্ণ কৃত্রিম উপায়ে প্রস্তুত করা হয়।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- ফলিক অ্যাসিড বা ভিটামিন বি নাইন বা ভিটামিন বিসি অথবা ফোলেট নামে মানবদেহে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এর রূপভেদ হলো পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন বি নাইন এর রূপ। 
- এটি ডিএনএ গঠন বা সিন্থেসাইজেশন, কোষ বিভাজন এবং ডিএনএ মেরামত করতে সাহায্য করে।
- এটি ক্রমাগত কোষ বিভাজন এবং কোষের বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, তাই গর্ভাবস্থায় এবং নবজাতকদের জন্য ফলিক অ্যাসিড জরুরী।
- লোহিত রক্তকণিকা তৈরীর কাজে এবং রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করতে এই ভিটামিন শিশু ও পূর্ণ বয়স্ক উভয়েরই প্রয়োজন। 
- মাংস, বাদাম, সবুজ শাক-সবজি, কলিজা, মাছ ইত্যাদি এর ভালো উৎস।
- রাসায়নিক জীবাণুমুক্তকরণ হল নিম্ন তাপমাত্রার রাসায়নিক ব্যবহার করে সমস্ত জীবাণু, ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়াকে হত্যা, নির্মূল এবং অপসারণ করার প্রক্রিয়া।
- এটি গ্যাস বা তরল রাসায়নিক আকারে হতে পারে।
- সাবান হল উচ্চ আণবিক ওজন বিশিষ্ট জৈব ফ্যাটি অ্যাসিড (যেমন— ওলিক অ্যাসিড, স্টিয়ারিক অ্যাসিড, পামিটিক অ্যাসিড) -এর সোডিয়াম বা পটাশিয়াম লবণ ।
- একাধিক জৈব অ্যাসিডের লবণ হওয়ায় সাবানের নির্দিষ্ট কোনো সংকেত নেই ।
- সাবান একটি মিশ্র লবণ ।
- সাবানের আয়নিক গ্রুপ হলো  COO-Na+
ফরাসি বিজ্ঞানী জ্যাক চার্লস ১৭৮৭ সালে গ্যাসের আয়তনের সাথে তাপমাত্রার সম্পর্কের একটি সূত্র আবিষ্কার করেন। এটি চার্লসের সূত্র হিসেবে পরিচিত।এই সূত্র অনুসারে, স্থির বা অপরিবর্তিত চাপে নির্দিষ্ট পরিমাণ কোনো গ্যাসের আয়তন গ্যাসটির তাপমাত্রার সাথে সমানুপাতিক। অর্থাৎ গ্যাসের তাপমাত্রা বাড়ালে গ্যাসের আয়তনও প্রসারিত হয়।

ধরি,
গ্যাসের আয়তন (v) এবং তাপমাত্রা (T) হলে,
V ∝ T  (যখন চাপ (p) স্থির] ।
সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) একটি স্ফটিকাকার আয়নিক বন্ধনবিশিষ্ট পদার্থ। একটি সোডিয়াম ক্লোরাইডের স্ফটিক পৃষ্ঠতল কেন্দ্রিক ঘনাকৃতির কেলাস গঠন করে। এই গঠনে একটি ঘনাকৃতির কেলাসের প্রতিটি কোণায় একটি পরমাণু থাকে এবং ঘনকের ৬টি তলের প্রতিটির মধ্যবিন্দুতে একটি করে পরমাণু থাকে।
যে সকল কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় পদার্থ পরিবেশের ভৌত রাসায়নিক এবং জৈবিক উপাদান সমূহের এমন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ পরিবর্তন করে যা ক্ষতির কারণ হয় তাকে দূষক বলে।
-যে সকল দূষক সরাসরি উৎস থেকে আসে তাদের প্রাইমারি দূষক বলে।
যেমন:
কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2),
কার্বন মনো-অক্সাইড (CO),
নাইট্রিক অক্সাইড (NO),
সালফার ডাই-অক্সাইড (SO2) ইত্যাদি।

অপরদিকে, প্রাইমারি দূষক থেকে উৎপাদিত দূষণগুলোকে সেকেন্ডারি দূষণ বলে।
যেমন: ওজোন (O3),
সালফার ট্রাই-অক্সাইড (SO3),
ডাইনাইট্রোজেন পেন্টা-অক্সাইড (N2O5) ইত্যাদি।
HPLC এর পূর্ণরূপ- High Performance Liquid Chromatography. af High Pressure Liquid Chromatography নামে পরিচিত ছিল। কোনো মিশ্রণকে একটি স্থির মাধ্যমে রেখে অপর একটি সচল মাধ্যমকে ঐ স্থির মাধ্যমের সংস্পর্শে প্রবাহিত করে মিশ্রণের উপাদানগুলোকে অধিশোষণ মাত্রা বা বন্টন সহগের ওপর ভিত্তি করে আলাদা করার পদ্ধতিই হচ্ছে HPLC. এতে সচল মাধ্যম হিসেবে মিথানল ও পানি ব্যবহার করা হয়।
সিরামিক হলো একটি অজৈব ও অধাতব কঠিন পদার্থ, যা অতি উচ্চ তাপে শক্ত করে তৈরি হয়। সিলিকন ডাই অক্সাইড (SiO2) বা সিলিকা সিরামিক উৎপাদনের অন্যতম উপাদান। সিরামিক মূলত চীনা মাটির সাথে ফেল্ডস্পার (K2O, Al2O3) এবং সিলিকা (SiO2) মিশিয়ে প্রস্তুত করা হয়।
সূর্যের ক্ষতিকর আল্ট্রা ভায়োলেট বা অতি বেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা পেতে সানস্ক্রিন লোশন তৈরিতে জিঙ্ক অক্সাইড (ZnO) এর ন্যানো পার্টিকেল ব্যবহার করা হয়। সাধারণত সানস্ক্রিনে ZnO এর পাউডার মিশ্রিত করলে সাদা রং ধারণ করে, কিন্তু ন্যানো পার্টিকেল হিসেবে ব্যবহার করলে ZnO এর সাদা রং আর দেখা যায় না। সেটা স্বচ্ছ হয়ে যায়।
- দূরবর্তী নক্ষত্র, গ্রহ, উপগ্রহ, গ্যালাক্সি থেকে শুরু করে আমাদের পৃথিবী এবং অতি ক্ষুদ্র অণু-পরমাণু সবকিছু নিয়ে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড গঠিত।
- বিগ ব্যাঙ এর ৩০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন বছরের মধ্যে মহাকর্ষের প্রভাবে হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম গ্যাসের পরমাণু সমূহ মহাবিশ্বের বিভিন্ন স্থানে আলাদাভাবে একত্রিত হতে শুরু করে এবং নিজস্ব মহাকর্ষের প্রভাবে জমাট বাঁধতে থাকে এবং সংকোচিত হয়।
- ফলে তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং হাইড্রোজেন পরমাণুর মধ্যে নিউক্লিয় বিক্রিয়া শুরু হয় এবং কালক্রমে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সব কিছু সৃষ্টি হয়।
- বিশ্বব্রহ্মাণ্ড বা মহাবিশ্বে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় হাইড্রোজেন গ্যাস।

- যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোর ‘লস অ্যালোমস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি'র মতে, মহাবিশ্বে যত গ্যাস আছে, তার মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ হাইড্রোজেন।

অন্যদিকে,
- পৃথিবীকে ঘিরে যে বহু স্তর যুক্ত গ্যাসীয় আবরণ বিদ্যমান তাকে বায়ুমণ্ডল বলে।
- এটি ভূপৃষ্ঠ হতে উপড়ের দিকে প্রায় ১০,০০০ কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত।
- উচ্চতা যত বৃদ্ধি পায়, বায়ুর চাপ তত কমতে থাকে।
- পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ফলে বায়ুমণ্ডল ভূ-পৃষ্ঠের চারদিকে জড়িয়ে থাকে।
- বায়ুমণ্ডলে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় নাইট্রোজেন গ্যাস। যার পরিমাণ ৭৮.০২ শতাংশ।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- ইউরিয়া সার তৈরির জন্য চার ধরনের পারমাণবিক কাঁচামাল প্রয়োজন: কার্বন (C), অক্সিজেন (O), নাইট্রোজেন (N) ও হাইড্রোজেন (H)।

- প্রকৃতিতে এই পরমাণুগুলি সহজে পাওয়া যায় না, তাই যেসব অণুতে এই পরমাণুগুলি থাকে, সেগুলোকে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

- সার কারখানায় এই উপাদানগুলো সংগ্রহ করা হয় প্রাকৃতিক গ্যাস [মূল উপাদান মিথেন (CH₄)], পানি (H₂O), বাতাস (N₂) ও অক্সিজেন (O₂) থেকে।

- প্রাকৃতিক গ্যাসকে পানির সাথে বিক্রিয়া (Steam Reforming) ও শিফট বিক্রিয়া (Shift Reforming) করে CO₂ এবং H₂ উৎপন্ন করা হয়।

- স্টিম রিফর্মিংয়ের মাধ্যমে পাওয়া যায় সিনগ্যাস (CO এবং H₂ এর মিশ্রণ)।

- শিফট বিক্রিয়ার মাধ্যমে সিনগ্যাস থেকে পাওয়া যায় কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO₂) ও হাইড্রোজেন (H₂)।

- এরপর CO₂ ও H₂ এর সাথে নাইট্রোজেন (N₂) যোগ করে অ্যামোনিয়া (NH₃) তৈরি করা হয়।

- অ্যামোনিয়া (NH₃) এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO₂) মিশিয়ে উৎপন্ন হয় ইউরিয়া সার।
সিএফসি (ক্লোরোফ্লোরো কার্বন) এর ট্রেড নাম ফ্রেয়ন। এয়ার কন্ডিশনার, রেফ্রিজারেটর, প্লাস্টিক কারখানা ইত্যাদি থেকে সিএফসি গ্যাস নির্গত হয়। এই গ্যাস পৃথিবীর ঊর্ধ্বাকাশে ওজোন স্তরকে ধ্বংস করে ফাটল সৃষ্টি করে। এর ফলে অতিবেগুনি রশ্মি ও মহাজাগতিক রশ্মি সরাসরি পৃথিবীতে এসে পড়ে এবং নানাবিধ জটিল রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটায়।
যেহেতু সিএফসি ওজোন স্তর ধ্বংসের জন্য দায়ী। এ কারণে সিএফসি'র পরিবর্তে ‘গ্যাজোলিয়াম' নামক মৌলিক পদার্থ ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব ফ্রিজ তৈরি করা হয়। বর্তমানে রেফ্রিজারেটরে পরিবেশবান্ধব R-134a (টেট্রাফ্লুরোইথেন), হাইড্রো ক্লোরোফ্লোরোকার্বন (HCFC's ) অথবা হাইড্রো ফ্লোরোকার্বন (HFC's) ব্যবহৃত হয়।

অন্যদিকে, ১৯৮৭ সালে মন্ট্রিল প্রটোকলে সিএফসি গ্যাস উৎপাদন নিষিদ্ধ করা হয়। এ চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য বর্তমানে সিএফসি গ্যাসের উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে।
- গ্রিনহাউস গ্যাস হলো এমন গ্যাস যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তাপ আটকে রাখতে সাহায্য করে। এই গ্যাসগুলো গ্রহকে উষ্ণ করে তোলে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের একটি প্রধান কারণ।

- গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে।
1. Carbon dioxide (CO2),
2. Methane (CH4),
3. Nitrous oxide (N2O),
4. Hydrofluorocarbons (HFCs),
5. Perfluorocarbons (PFCs), and
6. Sulphur hexafluoride (SF6).
7. জলীয় বাষ্প (H2O).

অন্যদিকে,
নাইট্রিক অক্সাইড (NO) একটি বর্ণহীন, অ-জ্বলনশীল গ্যাস যার একটি তীব্র, ঝাঁঝালো গন্ধ রয়েছে। এটি বায়ুমণ্ডলে স্বাভাবিকভাবেই পাওয়া যায়, তবে এটি জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো, যানবাহন চালানো এবং শিল্প প্রক্রিয়াগুলির মাধ্যমেও উৎপন্ন হয়।

নাইট্রিক অক্সাইডের ক্ষতিকর প্রভাব:
- বায়ু দূষণ: নাইট্রিক অক্সাইড বায়ু দূষণের একটি প্রধান অবদানকারী। এটি ওজোন (O3) এবং নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড (NO2) গঠনে ভূমিকা পালন করে, যা শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা, হৃদরোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।
- অ্যাসিড বৃষ্টি: নাইট্রিক অক্সাইড অ্যাসিড বৃষ্টির জন্যও দায়ী, যা বন, জলের উৎস এবং ভবনগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
- জলবায়ু পরিবর্তন: যদিও নাইট্রিক অক্সাইড একটি গ্রিনহাউস গ্যাস নয়, এটি অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাসের উৎপাদনে ভূমিকা পালন করে।
- জলীয় দ্রবণে pH এর মান ০ থেকে ১৪ পর্যন্ত বিবেচনা করা হয়।
- নিরপেক্ষ কোনো দ্রবণের pH এর মান ৭।
- এসিড দ্রবণে pH এর মান ৭ এর চেয়ে কম হয় এবং ক্ষারের দ্রবণে pH এর মান ৭ এর চেয়ে বেশি হয়।
- pH স্কেলে সবচেয়ে শক্তিশালী এসিডের pH এর মান ০ এবং সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষারের pH এর মান ১৪।

উল্লেখ্য,
- বিশুদ্ধ পানির PH ৭
- মানুষের রক্তের PH হলো ৭.২ - ৭.৪
ক্লোরোফিল বা পাতার সবুজ অংশ হ'ল একটি পরফাইরিনজাত পদার্থ যার কেন্দ্রীয় পরমাণু ম্যাগনেসিয়াম (Mg) এবং তাই এটি একটি ধাতব জটিল রঞ্জক।
ড্রাই আইস বা শুস্ক বরফ বলতে CO₂ বূঝায় । পানি এবং অ্যামোনিয়ার সংকেত H₂ O এবং NH₃
- যে প্রক্রিয়ায় কোনো মৌল বা যৌগে তড়িৎ ধনাত্মক পরমানু বা মূলক সংযুক্ত হয় বা তাদের অনুপাত বৃদ্ধি পায় অথবা কোনো তড়িৎ ঋণাত্মক পরমানু বা মূলকের অপসারণ হয় বা তাদের অনুপাত হ্রাস পায় ,সেই বিক্রিয়াকে বিজারণ বা জারক বলে। যেমন- অক্সিজেন, ক্লোরিন, ফ্লোরিন, ব্রোমিন, আয়োডিন, পটাশিয়াম ইত্যাদি।
- বিজারণ হল এমন একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া যেখানে কোনো পরমাণু, আয়ন বা অণু ইলেক্ট্রন গ্রহণ করে।
- অন্য কথায়, যখন কোনো পদার্থের অক্সিডেশন সংখ্যা কমে যায়, তখন তাকে বিজারণ বলা হয়।

সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) তৈরির বিক্রিয়ায়:

2Na + Cl₂ → 2NaCl

এখানে, ক্লোরিন পরমাণু দুটি ইলেক্ট্রন গ্রহণ করে ক্লোরাইড আয়নে পরিণত হয়। এই প্রক্রিয়াকেই বিজারণ বলে।
- রেডক্স (অক্সিডেশন-হ্রাস) বিক্রিয়ায়, যে মৌল বা যৌগ ইলেকট্রন ত্যাগ করে তাকে বিজারক বলা হয়।
- বিজারক একে অপরকে ইলেকট্রন দান করে, যার ফলে এটি অক্সিডাইজড হয় (অক্সিজেন দ্বারা জারিত হয়)।
- এই প্রক্রিয়ায় বিজারক নিজে অক্সিজেন গ্রহণ না করে, অন্য পরমাণুর জন্য ইলেকট্রন ত্যাগ করে।
- আর যে মৌল বা যৌগ ইলেকট্রন গ্রহণ করে, তাকে বিজারিত বলা হয়।
- বিজারিত মৌল বা যৌগকে হ্রাস করা হয় (এটি রিডাকশন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে)।
- এই প্রক্রিয়া দুটি মৌল বা যৌগের মধ্যে ইলেকট্রনের আদান-প্রদানকে বোঝায় এবং এটি রাসায়নিক বিক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
- এই বিক্রিয়ায় জারণ-বিজারণ একসাথে ঘটে। 
অ্যালিফেটিক যৌগের বৈশিষ্ট্য-
- এর কাঠামো সরল বা শাখাযুক্ত শিকল।
- এই যৌগের বন্ধন একক, দ্বিবন্ধন বা ত্রিবন্ধন হতে পারে। যেমন: মিথেন (CH₄), ইথেন (C₂H₆), প্রোপেন (C₃H₈) ইত্যাদি।
- এতে সাধারণত কোনো সুগন্ধ থাকে না।
- এটি প্রতিস্থাপন, সংযোজন ইত্যাদি বিক্রিয়া করে।

অ্যারোমেটিক যৌগের বৈশিষ্ট্য-
- অ্যারোমেটিক যৌগগুলি একটি চক্রাকার কাঠামো বিশিষ্ট হয়। এই চক্রটি সাধারণত 6টি কার্বন পরমাণু দিয়ে গঠিত হয়, যেমন বেনজিন, ন্যাপথালিন, ফিনল, অ্যানিলিন ইত্যাদি।
- (4n+2) π ইলেকট্রন: চক্রের মধ্যে (4n+2) সংখ্যক π ইলেকট্রন থাকতে হবে, যেখানে n একটি পূর্ণসংখ্যা (0, 1, 2, 3 ইত্যাদি)। একে হুকেলের সূত্র বলে। এই সূত্রটি অ্যারোম্যাটিসিটির একটি মূল শর্ত।
- অ্যারোমেটিক যৌগে ইলেকট্রনগুলি চক্রের মধ্যে স্বাধীনভাবে চলাচল করে। এই ঘটনাকে অনুরণন বলে। এই অনুরণনের ফলে যৌগটি অতিরিক্ত স্থিতিশীল হয়।
- অনেক অ্যারোমেটিক যৌগ সুগন্ধযুক্ত হয়। যদিও সব অ্যারোমেটিক যৌগেরই সুগন্ধ থাকে না।
- অ্যালিফেটিক যৌগ হল কার্বন ও হাইড্রোজেন পরমাণু দ্বারা গঠিত জৈব যৌগের একটি বড় শ্রেণি।
- এই যৌগগুলোর কার্বন পরমাণুগুলি একটি সরল বা শাখাযুক্ত শিকলের মধ্যে পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে।
- এদের কাঠামোতে কোনো বেনজিনের মতো চক্রাকার কাঠামো থাকে না।

- অ্যালিফেটিক যৌগকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
যেমন:

সম্পৃক্ত অ্যালিফেটিক যৌগ: এই ধরনের যৌগে কার্বন পরমাণুগুলির মধ্যে কেবল একক বন্ধন থাকে।
উদাহরণ: মিথেন (CH₄), ইথেন (C₂H₆), প্রোপেন (C₃H₈) ইত্যাদি।

অসম্পৃক্ত অ্যালিফেটিক যৌগ: এই ধরনের যৌগে কার্বন পরমাণুগুলির মধ্যে দ্বিবন্ধন বা ত্রিবন্ধন থাকে।
উদাহরণ: ইথিন (C₂H₄), প্রোপিন (C₃H₆), ইথাইন (C₂H₂) ইত্যাদি।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- লুইস ক্ষারক হল এমন একটি যৌগ বা আয়ন যা অন্য কোনো যৌগ বা আয়নকে ইলেকট্রন জোড় দান করতে পারে। সহজ কথায়, লুইস ক্ষারক হল ইলেকট্রন দাতা।
- লুইস ক্ষারকের কেন্দ্রীয় পরমাণুর কাছে এক বা একাধিক একাকী ইলেকট্রন জোড় থাকে।
- এই ইলেকট্রন জোড়কে এটি অন্য কোনো যৌগের সাথে ভাগ করে নিতে পারে।
- লুইস ক্ষারক অন্য যৌগের অষ্টক পূর্ণ করে তাদেরকে স্থিতিশীল করে।

লুইস ক্ষারকের উদাহরণ-
অ্যামোনিয়া (NH₃): নাইট্রোজেন পরমাণুর কাছে একটি একাকী ইলেকট্রন জোড় থাকে।
জল (H₂O): অক্সিজেন পরমাণুর কাছে দুটি একাকী ইলেকট্রন জোড় থাকে।
হাইড্রক্সাইড আয়ন (OH⁻): অক্সিজেন পরমাণুর কাছে একটি একাকী ইলেকট্রন জোড় থাকে।
ফ্লোরাইড আয়ন (F⁻): ফ্লোরিন পরমাণুর কাছে তিনটি একাকী ইলেকট্রন জোড় থাকে।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0