আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান (81 টি প্রশ্ন )
প্রশ্নে দেয়া হয়েছে কোন পদার্থের মধ্য দিয়ে আধান (বৈদ্যুতিক চার্জ) প্রবাহিত হতে পারে না। এখানে চারটি অপশন দেওয়া হয়েছে: তামা, লোহা, রুপা, এবং প্লাস্টিক।

- তামা, লোহা এবং রুপা এই তিনটি পদার্থ *ধাতু* এবং এরা ভালোভাবে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করতে পারে। কারণ ধাতুতে অনেক গুণগত ইলেকট্রন থাকে, যেগুলো সহজেই স্থান পরিবর্তন করতে পারে, ফলে আধান প্রবাহিত হয়।
- অন্যদিকে, প্লাস্টিক একটি *অপরিবাহী পদার্থ (insulator)*, যার কারণে এতে ইলেকট্রনের স্থানান্তর খুবই কঠিন বা অসম্ভব। তাই প্লাস্টিকের মধ্যে দিয়ে বিদ্যুতের প্রবাহ ঘটে না বা খুবই কম পরিমাণে ঘটে।

তাই, আধান বা বৈদ্যুতিক চার্জ প্রবাহিত হতে পারে না এমন পদার্থ হল প্লাস্টিক
নিউক্লিয়ার রিঅ্যাকটরের মডারেটরের প্রধান কাজ হলো দ্রুতগতির নিউট্রনগুলোর গতি কমিয়ে ধীরগতি সম্পন্ন নিউট্রনে (thermal neutrons) পরিণত করা যাতে তারা ইউরেনিয়াম ইত্যাদি পারমাণবিক জ্বালানির সাথে কার্যকরীভাবে বিক্রিয়া (বিভাজন) ঘটাতে পারে। অর্থাৎ, মডারেটর দ্রুতগতির নিউট্রনকে ধীর করে নিয়ন্ত্রণ করে চেইন বিক্রিয়াকে স্থিতিশীল এবং কার্যকরভাবে চালিয়ে নিতে সাহায্য করে।
- স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফরমারে মূল উদ্দেশ্য হলো ইনপুট ভোল্টেজকে কমানো। এটি করার জন্য, ট্রান্সফরমারের মুখ্য (প্রাইমারি) কুণ্ডলীতে পাক সংখ্যা গৌণ (সেকেন্ডারি) কুণ্ডলীর পাক সংখ্যার চেয়ে বেশি থাকে।
- পাক সংখ্যা কমানোর ফলে সেকেন্ডারি কুণ্ডলীতে প্ররোচিত ভোল্টেজ কমে যায়, যা স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফরমারের বৈশিষ্ট্য।
- ফ্যারাডে এর ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ইনডাকশনের নিয়ম অনুযায়ী, ভোল্টেজ অনুপাত কুণ্ডলীর পাক সংখ্যার অনুপাতে নির্ধারিত হয়।
- তাই মুখ্য কুণ্ডলীর পাক সংখ্যা বেশি থাকলে আউটপুট ভোল্টেজ ইনপুটের থেকে কম হয়।
- এই কারণেই স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফরমারে মুখ্য কুণ্ডলীর পাক সংখ্যা গৌণ কুণ্ডলীর পাক সংখ্যার চেয়ে বেশি হয়।
- ডার্ক ম্যাটার (Dark Matter) হলো এক রহস্যময় পদার্থ যা মহাবিশ্বের মোট ভরের প্রায় ২৭%।
- ডার্ক ম্যাটার তড়িৎচুম্বকীয় (electromagnetic) বলের সাথে কোনো মিথস্ক্রিয়া করে না। এর মানে হলো, এটি কোনো ধরনের উদ্দীপনামূলক চৌম্বক বিকিরণ (যেমন, আলো, রেডিও তরঙ্গ, এক্স-রে) তৈরি করে না বা সেগুলোর দ্বারা প্রভাবিতও হয় না।
- ডার্ক ম্যাটার সাধারণ পদার্থের মতো আলো শোষণ, প্রতিফলন বা নির্গমন করে না। এ কারণেই একে 'ডার্ক' বা 'অন্ধকার' বলা হয়। আমরা একে সরাসরি দেখতে পাই না, বা কোনো প্রচলিত উপায়ে শনাক্ত করতে পারি না।
- গামা রশ্মি একটি উচ্চ-শক্তির ফোটন, যা পারমাণবিক কণার সাথে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ইন্টারঅ্যাকশনের মাধ্যমে ছেদন করে, যেখানে আলফা কণা একটি ভারী, চার্জযুক্ত কণা যা পারমাণবিক নিউক্লিয়াসের সাথে সংঘর্ষ করে।
- আলফা কণার ছেদন ক্ষমতা সাধারণত গামা রশ্মির তুলনায় অনেক কম, কারণ আলফা কণার ভর বেশি এবং তারা পারমাণবিক নিউক্লিয়াসের সাথে শক্তিশালী পারস্পরিক ক্রিয়া করে, কিন্তু তাদের প্রভাব সীমিত থাকে ছোট দূরত্বে।
- গামা রশ্মি, যেহেতু ফোটন, তাই তারা পারমাণবিক স্তরে অনেক বেশি ছেদন করতে পারে।
- সাধারণত গামা রশ্মির ছেদন ক্ষমতা আলফা কণার তুলনায় প্রায় ১০০০০ গুণ বেশি হয়।
-যে নিউক্লিয় বিক্রিয়ায় দুটি ক্ষুদ্র নিউক্লিয়াস একত্রিত হয়ে অপেক্ষাকৃত বড় নিউক্লিয়াসযুক্ত ভিন্ন মৌল তৈরি করে তাকে নিউক্লিয় ফিউশন বা নিউক্লিয় সংযোজন বিক্রিয়া বলে।

- সূর্য ও অন্যান্য নক্ষত্রে শক্তির উৎস হচ্ছে নিউক্লিয় ফিউশন বিক্রিয়া।

- নিউক্লিয় ফিউশন নীতির উপর ভিত্তি করে হাইড্রোজেনের আইসোটোপ - ডিউটেরিয়াম, ট্রিটিয়াম ব্যবহার করে হাইড্রোজেন বোমা তৈরি করা হয়।
- আলবার্ট আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্ব (General Theory of Relativity) অনুযায়ী, মহাকর্ষ কোনো বল নয়, বরং এটি স্থান-কালের বক্রতা (Curvature of Spacetime) হিসেবে কাজ করে।
- এই তত্ত্বটি নিউটনের মহাকর্ষ তত্ত্বের একটি উন্নত সংস্করণ, যা মহাকর্ষের প্রকৃতি আরও গভীরভাবে ব্যাখ্যা করে।
- স্থান (Space) এবং সময় (Time) একত্রে একটি চার-মাত্রিক কাঠামো তৈরি করে, যাকে স্থান-কাল (Spacetime) বলা হয়।
- কোনো ভারী বস্তু (যেমন সূর্য বা পৃথিবী) এই স্থান-কালের উপর প্রভাব ফেলে এবং এটি বাঁকিয়ে দেয়।
- এই বাঁকানো স্থান-কালের মধ্যে দিয়ে অন্য বস্তু চলতে বাধ্য হয়।
- এটি এমনভাবে কাজ করে যেন ভারী বস্তুটি অন্য বস্তুকে আকর্ষণ করছে।

রাবারের চাদরের উদাহরণ:
- একটি টানটান রাবারের চাদরের উপর একটি ভারী বল রাখলে চাদরটি বেঁকে যায়।
- যদি চাদরের উপর একটি ছোট বল রাখা হয়, তবে সেটি ভারী বলের দিকে গড়িয়ে যায়।
- তেমনি, মহাকর্ষ হলো ভারী বস্তুর কারণে স্থান-কালের বক্রতা, যা অন্য বস্তুকে তার দিকে টেনে আনে।
ফোটন কণার শক্তি নির্ধারণ করা হয় প্ল্যাঙ্কের সূত্র অনুযায়ী, E = h ⋅ f

ফ্রিকোয়েন্সি এবং তরঙ্গদৈর্ঘ্যের মধ্যে সম্পর্ক, f = c / λ

শক্তি ও তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সম্পর্ক,
ফ্রিকোয়েন্সি f এবং তরঙ্গদৈর্ঘ্য λ এর মধ্যে একটি বিপরীত সম্পর্ক রয়েছে। অর্থাৎ, f ∝ 1/λ

ফলে, তরঙ্গদৈর্ঘ্য কমলে ফ্রিকোয়েন্সি বৃদ্ধি পায় এবং শক্তি E বৃদ্ধি পায়।
বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির নাম ও ব্যবহারঃ
১. হাইড্রোমিটার: তরলের আপেক্ষিক ঘনত্ব পরিমাপক যন্ত্র।
২. অডিওমিটার: শ্রবণশক্তি পরীক্ষা করা হয়।
৩. ব্যারোমিটার: বায়ুর চাপ মাপক যন্ত্র।
৪. ক্যালরিমিটার: তাপের পরিমাপ করা হয়।
৫. ম্যানোমিটার: গ্যাসের চাপ মাপক যন্ত্র।
৬. বেকম্যান থার্মোমিটার: এর দ্বারা তাপমাত্রার সামান্যতম পরিবর্তনকে লিপিবদ্ধ করা হয়।
৭. ক্লিনিক থার্মোমিটার: মানবদেহের তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত হয়।
৮. ফ্যাদোমিটার: সমুদ্রের গভীরতা পরিমাপতে এই যন্ত্র ব্যবহৃত হয়।
৯. ডায়নামোমিটার: বৈদ্যুতিক ক্ষমতা মাপা হয়।
১০. স্পিডোমিটার: চলমান বস্তুর গতি নির্ধারণে ব্যবহার করা হয়।
১১. অ্যামমিটার: তড়িৎপ্রবাহ পরিমাপে ব্যবহৃত হয়।
১২. হাইগ্রোমিটার: বায়ুমণ্ডলের আপেক্ষিক আর্দ্রতা পরিমাপক যন্ত্র।
১৩. মাইক্রোমিটার: অতি সূক্ষ্ম বস্তুর মাপ নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়।
১৪. রেডিও মিটার: তাপ বিকিরণ সংক্রান্ত গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়।
১৫. ফটোমিটার: আলােকের তীব্রতা পরিমাপে ব্যবহৃত হয়।
১৬. কম্পিউটার: বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ ও জটিল গণনায় ব্যবহৃত হয়।
১৭. পেরিস্কোপ: সমুদ্রের তলদেশ থেকে সমুদ্রতলের ওপর অবধি বস্তুর অবস্থান নির্ণয় করা হয়।
১৮. রেইনগেজ: বৃষ্টিপাত পরিমাপ করতে এই যন্ত্র ব্যবহৃত হয়।
১৯. অণুবীক্ষণ যন্ত্র: অত্যন্ত ক্ষুদ্রবস্তু বিবর্ধিত অবস্থায় ধরা পড়ে।
২০. পেসমেকার: হৃৎপিণ্ডের সাহায্যকারী যন্ত্র
২১. অডিওফোন: দুর্বল শ্রবণ ক্ষমতার উন্নতি করতে এই যন্ত্র ব্যবহৃত হয়।
২২. এন্ডোস্কোপ: মানুষের দেহের কোনাে ফাপা অস্ত্র সম্পর্কে পরীক্ষা করা যায়।
২৩. বায়নোকুলার: দূরের বস্তুকে বৃহৎ আকারে দেখতে পাই।
২৪. সিসমোগ্রাফ: ভূমিকম্পের তীব্রতা লিপিবদ্ধ করার যন্ত্র।
২৫. স্টেথোস্কোপ: হার্ট ও ফুসফুসের শব্দ শােনার যন্ত্র।
২৬. ভার্নিয়ার স্কেল: অতি ক্ষুদ্ৰ দৈৰ্ঘ্য মাপা হয়।
২৭. হেলিওমিটার: সূর্যের ব্যাসের পরিবর্তন পরিমাপ করা হয়।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- Cathode Ray Tube হতে মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর মৃদু রঞ্জন রশ্মি তৈরি হয়।  
- ইলেকট্রনসমূহ অতিউচ্চ বিভবে থাকার কারণে এ Cathode Ray Tube থেকে খুব সামান্য পরিমাণ এক্স-রে নির্গত হয়। 
-গেজ বোসন হল এক ধরণের বোসন কণা যা মৌলিক বলের বাহক হিসেবে কাজ করে।
• গেজ বোসন কণার স্পিন হলো 1।
• এই কণাগুলো হলো- গণ্ডুওন (g), ফোটন (y) এবং w ও Z বোসন।
• গণ্ডুওন: কণা হলো সবল নিউক্লিয় বলবাহী কণা। এর নিশ্চল ভর শূন্য।
• ফোটন: এই কণা তাড়িতচৌম্বক বল বহন করে। এর নিশ্চল ভর শূন্য।
• W ও Z বোসন : w+, w- এবং z° এই তিনটি বোসন কণা দুর্বল নিউক্লিয় বলের বাহক। এ কণাগুলোর ভর আছে।
বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্বের স্বীকার্য:

• প্রথম স্বীকার্য - স্থির বা গতিশীল সকল জড় প্রসঙ্গ কাঠামোতে পদার্থবিজ্ঞানের মৌলিক সূত্রসমূহ অপরিবর্তিত থাকে ।
• দ্বিতীয় স্বীকার্য - শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগ সকল জড় প্রসঙ্গ কাঠামোর পর্যবেক্ষকের জন্য একই এবং তা আলোর উৎস বা পর্যবেক্ষকের গতির উপর নির্ভরশীল নয়।


- আইনস্টাইনের বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্ব দুটি মৌলিক স্বীকার্যের উপর প্রতিষ্ঠিত।
- ১৯০৫ সালে আইনস্টাইন এই দুটি স্বীকার্য প্রদান করেন।
- এক্স-রে এক ধরনের তাড়িত চৌম্বক বিকিরণ। এর সাহায্যে প্রাপ্ত ফটোগ্রাফ দ্বারা শরীরের কোনো ভাঙা হাড়, ক্ষত বা অবাঞ্ছিত বস্তুর উপস্থিতি বোঝা যায়।
- ১৮৯৫ সালে জার্মান পদার্থ বিজ্ঞানী রন্টজেন এক্সরে আবিষ্কার করেন।
- কোয়ান্টাম ডট হল সেমিকন্ডাক্টর দিয়ে তৈরি ক্ষুদ্র কণা, সাধারণত কয়েক নানোমিটারের ব্যাস।
- এগুলির আকার এত ছোট যে ইলেকট্রন এবং হোলগুলি কণাটির মধ্যে আটকে পড়ে এবং কোয়ান্টাম অবস্থায় চলে যায়।
- এই কোয়ান্টাম অবস্থাগুলি কোয়ান্টাম ডটগুলিকে তাদের অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলি প্রদান করে,
যেমন:
-আকার নির্ভরশীল আলোক শোষণ এবং নির্গমন
-উচ্চ শক্তি দক্ষতা
-দীর্ঘ দীপ্তি।

-কোয়ান্টাম ডটের আবিষ্কার ও সংশ্লেষণের জন্য ২০২৩ সালে রসায়নে নোবেল পুরষ্কার অর্জন করেন-
১. অ্যালেক্সি ইয়াকিমভ(সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন)
২. মুঙ্গি বাওয়েন্ডি(ফ্রান্স)
৩. লুই ব্রুস(যুক্তরাষ্ট্র)
- Attosecond হল সময়ের একটি একক যা এক সেকেন্ডের এক বিলিয়ন ভাগের এক ভাগ।
- এটি একটি অত্যন্ত ছোট সময়কাল, যা অনেকগুলি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াগুলির সময়কালের সাথে তুলনীয়।
- উদাহরণস্বরূপ, একটি পরমাণুতে একটি ইলেকট্রনের কক্ষপথের সম্পূর্ণ বিপ্লব ঘটে প্রায় 220 attoseconds সময়ের মধ্যে।

উল্লেখ্য, Attosecond নিয়ে গবেষণার জন্য ২০২৩ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরষ্কার অর্জন করেন-
১. পিয়ের আগোস্তিনি(যুক্তরাষ্ট্র)
২. ফেরেন্স ক্রাউজ(হাঙ্গেরি)
৩. অ্যান লিয়ের(ফ্রান্স)।
- CERN(the European Organization for Nuclear Research) হল একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা কেন্দ্র যা সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত।
- এটি বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে শক্তিশালী কণা পদার্থবিদ্যা পরীক্ষাগার।
- CERN-এর প্রধান কাজ হল বোসন কণাগুলির গবেষণা করা, যা মহাবিশ্বের গঠন এবং বিবর্তনকে বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- CERN-এর গবেষণার ফলে 2012 সালে হ্যাড্রন সংঘর্ষক (LHC)-এ হিগস বোসন কণা আবিষ্কৃত হয়।

- হিগস বোসন বা ঈশ্বর কনার সর্বপ্রথম ধারণা দেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু ১৯২৪ সালে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা ল্যাবে গবেষণা করার সময়। এই তত্ত্ব অনুসারে, বোসন কণাগুলি একই শক্তির স্তরে থাকতে পারে এবং একই স্থানে থাকতে পারে।
- আইনস্টাইন এই তত্ত্বটিকে সমর্থন করেন এবং এটিকে আরও বিকাশ করেন। তিনি বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান ব্যবহার করে ফোটন কণাগুলির আচরণ ব্যাখ্যা করেন।

- বোসন কণার সাথে সত্যেন্দ্রনাথ বসু এবং আলবার্ট আইনস্টাইনের নাম জড়িত।
- হিগস বোসন বা ঈশ্বর কনার সর্বপ্রথম ধারণা দেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু ১৯২৪ সালে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা ল্যাবে গবেষণা করার সময়। এই তত্ত্ব অনুসারে, বোসন কণাগুলি একই শক্তির স্তরে থাকতে পারে এবং একই স্থানে থাকতে পারে।
- আইনস্টাইন এই তত্ত্বটিকে সমর্থন করেন এবং এটিকে আরও বিকাশ করেন। তিনি বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান ব্যবহার করে ফোটন কণাগুলির আচরণ ব্যাখ্যা করেন।


-গ্রামোফোন বা কলের গান একটি রেকর্ডকৃত গান শোনার যন্ত্র।
-এটি প্রকৃতপক্ষে ১৮৭৭ সালে টমাস আলভা এডিসন কর্তৃক আবিষ্কৃত ফনোগ্রাফ-যা একটি শব্দ পুনরুৎপাদন বা কার্যত পুনঃশ্রবণ যন্ত্র।
-বিটা রশ্মি বা বিটা বিকিরণও (প্রতীক β) বলা হয়, একটি উচ্চ-শক্তি, উচ্চ-গতির ইলেকট্রন বা পজিট্রন যা বিটা ক্ষয় প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে পারমাণবিক নিউক্লিয়াসের তেজস্ক্রিয় ক্ষয়ের মাধ্যমে নির্গত হয়।

-বিটা রশ্মির বেগকে থামিয়ে দেয়ার জন্য 0.3  cm পুরুত্বের অ্যালুমিনিয়াম পাতের প্রয়োজন হয়।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
-গামা রশ্মি বা গামা বিকিরণ (প্রতীক γ) একপ্রকার উচ্চ কম্পাঙ্কের খুব ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্য তড়িৎ-চুম্বকীয় বিকিরণ।
-সিটি স্ক্যান, রেডিও থেরাপি, ক্যান্সার চিকিৎসায় গামা রশ্মি ব্যবহৃত হয়।
-গামা রশ্মির দ্রুতি 3 × 108 ms-1
যে সকল মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা ৮২ এর চেয়ে বেশি সে সকল মৌল তেজস্ক্রিয় মৌল।
ইউরেনিয়াম (৯২), থোরিয়াম (৯০) ও প্লুটোনিয়াম (৯৪) তেজস্ক্রিয় মৌল।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে এক্সরের অবদান নিচে বর্ণনা করা হল-
১. স্থানচ্যুত হাড়, হাড়ে ফাটল, ভেঙে যাওয়া হাড় ইত্যাদি এক্সরের সাহায্যে খুব সহজেই সনাক্ত করা যায়।
২. মুখমন্ডলীর যে কোনো ধরনের রোগ নির্ণয়ে এক্সরের ব্যবহার অনেক যেমন- দাঁতের গোড়ায় ঘা এবং ক্ষয় নির্ণয়ে এক্সরে ব্যবহৃত হয়।
৩. পেটের এক্সরের সাহায্যে অন্ত্রের প্রতিবন্ধকতা সনাক্ত করা যায়।
৪. এক্সরের সাহায্যে পিত্ত থলি ও কিডনির পাথরকে সনাক্ত করা যায়।
৫. বুকের এক্সরের সাহায্যে ফুসফুসের রোগ যেমন- যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, ফুসফুসের ক্যান্সার ইত্যাদি নির্ণয় করা যায়।
৬. চিকিৎসার কাজেও এক্সরে ব্যবহার করা যায়। এটি ক্যান্সার কোষকে মেরে ফেলতে পারে। রেডিওথেরাপি প্রয়োগ করে ক্যান্সারের চিকিৎসা করা যায়।

 ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করতেন যে, পদার্থবিজ্ঞান সম্পর্কে যা জানা দরকার তার অধিকাংশই তারা জেনে ফেলেছেন। নিউটনের গতিসূত্র ও তাঁর বিশ্বজনীন মহাকর্ষ সূত্র, তড়িৎ বিজ্ঞান ও চৌম্বক বিজ্ঞানকে একত্রিত করে ম্যাক্সওয়েলের তাত্ত্বিক কাজ এবং তাপগতিবিদ্যার সূত্র এবং গতি তত্ত্ব অনেক বৈচিত্র্যময় প্রতিভাসের ব্যাখ্যায় সফলতা লাভ করেছে। বিংশ শতাব্দীর সূচনা লগ্নে দুটি তত্ত্ব পদার্থবিজ্ঞানের জগৎকে কাঁপিয়ে দেয়। এগুলো হলো ১৯০০ সালে ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক প্রদত্ত কোয়ান্টাম তত্ত্ব এবং ১৯০৫ সালে বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইন প্রদত্ত আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্ব। দুটি ধারণাই প্রকৃতি সম্পর্কে আমাদের উপলব্ধিতে সুগভীর প্রভাব ফেলেছে। কয়েক দশকের সাধনায় এই তত্ত্বগুলো পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞান, নিউক্লিয় পদার্থবিজ্ঞান এবং ঘনীভূত পদার্থের পদার্থবিজ্ঞানের উন্নয়ন, বিকাশ ও তত্ত্বকে প্রেরণা জোগায়।

     আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের সূচনা তাই ১৯০০ সালে ম্যাক্স প্ল্যাঙ্কের কোয়ান্টাম তত্ত্বের আবিষ্কারের মাধ্যমে। এই তত্ত্বের সাহায্যে তিনি কালো বস্তুর বিকিরণের শক্তি কোয়ান্টায়নের কথা বলেন। আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জগতে আরেকটি বিপ্লব আনেন অ্যালবার্ট আইনস্টাইন তাঁর আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্ব ও আলোর কোয়ান্টাম তত্ত্ব প্রবর্তনের মাধ্যমে।

আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা হলো কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞান, আপেক্ষিকতা তত্ত্ব, পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞান, নিউক্লিয় পদার্থবিজ্ঞান, পরিসাংখ্যিক (Statistical) বলবিজ্ঞান, কঠিনাবস্থার পদার্থবিজ্ঞান (Solid state physics) প্রভৃতি।


বেকম্যান থার্মোমিটার একটি থার্মোমিটার যা তাপমাত্রার খুব সামান্য পরিবর্তনকে লিপিবদ্ধ করতে পারে। এটি সাধারণত গবেষণা এবং চিকিৎসা কাজে ব্যবহৃত হয়
এক্সরে হলো এক ধরনের তাড়িত চৌম্বক বিকিরণ যা দ্রুতগতি সম্পন্ন ইলেকট্রন দ্বারা কোনো ধাতব পাতকে আঘাত করে উৎপন্ন করা যায়। এতে টাংস্টেন ধাতুর কুন্ডলী ব্যবহার করা হয়।
- তাড়িতচৌম্বক বলের বাহক কণা- ফোটন।
- সবল নিউক্লিয় বলের বাহক কণা- গ্লুঅন।
- দুর্বল নিউক্লিয় বলের বাহক কণা- W এবং Z বোসন।
- মহাকর্ষ বলের বাহক কণা- গ্রাভিটন।



আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের উদ্ভব ঘটে ঊনবিংশ শতাব্দীতে। এই শতাব্দীতে, বিজ্ঞানীরা আলো, তাপ, তড়িৎ, চৌম্বক এবং মহাকর্ষের মতো প্রাকৃতিক ঘটনাগুলির ব্যাখ্যার জন্য নতুন তত্ত্বগুলি বিকাশ করেছিলেন। এই তত্ত্বগুলির ফলে পদার্থবিজ্ঞানের একটি নতুন যুগের সূচনা হয়েছিল, যা আজও অব্যাহত রয়েছে।

ঊনবিংশ শতাব্দীর আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের কিছু উল্লেখযোগ্য অবদানগুলির মধ্যে রয়েছে:

আইজাক নিউটনের মহাকর্ষের সূত্র: নিউটন তার মহাকর্ষের সূত্রগুলির মাধ্যমে মহাবিশ্বে বস্তুর আচরণকে ব্যাখ্যা করেছিলেন। এই সূত্রগুলি গত দুই শতাব্দীর বেশি সময় ধরে পদার্থবিজ্ঞানের অন্যতম মৌলিক তত্ত্ব ছিল।

মাইকেল ফ্যারাডে এবং জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েলের তড়িৎ এবং চৌম্বক ক্ষেত্রগুলির তত্ত্ব: ফ্যারাডে এবং ম্যাক্সওয়েল তড়িৎ এবং চৌম্বক ক্ষেত্রগুলির একটি একীভূত তত্ত্ব বিকাশ করেছিলেন। এই তত্ত্বটি তড়িৎচুম্বকত্বের নীতিগুলিকে ব্যাখ্যা করে এবং আজও পদার্থবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

আলবার্ট আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্ব: আইনস্টাইন তার আপেক্ষিকতা তত্ত্বগুলির মাধ্যমে মহাবিশ্বের একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করেছিলেন। এই তত্ত্বগুলি আমাদের মহাবিশ্বের সময় এবং স্থানের প্রকৃতি সম্পর্কে আমাদের বোঝার উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে।
- নিকোলাস কোপার্নিকাস ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৪৭৩ সালে পোল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন।
- তিনি মূলত একজন জ্যোর্তিবিজ্ঞানী ছিলেন।
- তিনিই প্রথম ধারণা দেন যে, পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘুরে।
- ১৯৩৮ সালে ওটো হান ও স্ট্রেসম্যান প্রমাণ করেন যে, নিউক্লিয়াস ফিশনযোগ্য।
- ফিশনের ফলে একটি বড় ভর সংখ্যা বিশিষ্ট নিউক্লিয়াস ভেঙ্গে প্রায় সমান ভর বিশিষ্ট দুটি নিউক্লিয়াসে পরিণত হয় এবং প্রচুর শক্তি উৎপাদিত হয়।
- এই তত্ত্ব প্রয়োগ করে নিউক্লিয় বোমা ও নিউক্লিয় চুল্লীর উদ্ভাবন হয়।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
-মহাকর্ষ, নাক্ষত্রিক গতিপ্রকৃতি, সম্প্রসারণশীল মহাবিশ্বের ধারণা ইত্যাদি আপেক্ষিকতা তত্ত্বের ভিত্তিতে ব্যাখ্যা প্রদান করা যায়।

আপেক্ষিকতার নীতি (Principle of Relativity):
- যখন কোনো বস্তুর অবস্থান বা বেগ পরিমাপ করা হয় তখন কোনো স্থির বিন্দুকে প্রসঙ্গ কাঠামো হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
- ঐ প্রসঙ্গ কাঠামো সাপেক্ষে বস্তুটির রৈখিক দূরত্বকে তার অবস্থান বলা হয় এবং প্রসঙ্গ কাঠামো সাপেক্ষে বস্তুটির রৈখিক দ্রতিকে বেগ বলা হয়।
- কিন্তু এই মহাবিশ্বে কোনো কিছুই স্থির নয়।
- সুতরাং পরম স্থির বলে কোনো অবস্থান পাওয়া সম্ভব নয় যাকে স্থির প্রসঙ্গ কাঠামো হিসাবে বিবেচনা করা যায়।
- তাই প্রসঙ্গ কাঠামোর সাপেক্ষে যা পরিমাপ করা হয় তা পরম নয়।
অর্থাৎ সব সময় অবস্থান বা বেগকে আপেক্ষিকভাবে পরিমাপ করি।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0