পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (ব্যক্তিগত কর্মকর্তা) - ০৪.০৩.২০২৪ (100 টি প্রশ্ন )
- বাংলা গদ্যে প্রথম বিরাম চিহ্ন বা যতি চিহ্ন প্রচলন করেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ।
- তিনি ১৮৪৭ সালে 'বেতাল পঞ্চবিংশতি' গ্রন্থের মাধ্যমে বিরাম চিহ্নের ব্যবহার শুরু করেন । 
- ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের পণ্ডিত মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার বাংলা গদ্যে কিছুটা ছন্দ আনলেও সে গদ্য দূরীন্বয়ী দোষ থেকে গেছে ।
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাংলা গদ্যে সুললিত শব্দবিন্যাস, পদবিভাগ ও যতি সন্নিবেশে সুবোধ্য ও শিল্পগুণান্বিত করে তোলেন ।
- বাংলা গদ্যকে তিনি সাহিত্য গুণসম্পন্ন ও সর্বভাব প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছিলেন ।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে বাংলাগদ্যের 'প্রথম শিপ্লী' হিসেবে অভিহিত করেছেন ।
- বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত মৌলিক ধ্বনির সংখ্যা ৩৭টি।
মৌলিক স্বরধ্বনি ৭টি ও মৌলিক ব্যঞ্জনধ্বনি ৩০টি।
মৌলিক স্বরধ্বনি: অ, আ, ই, উ, অ্যা, এ, ও।
- মৌলিক ব্যঞ্জনধ্বনি: ক, খ, গ, ঘ, ঙ, চ, ছ, জ, ঝ, ট, ঠ, ড, ঢ, ত, ঘ, দ, ধ, ন, প, ফ, ব, ভ, ম, র, ল, শ, স, হ, ড়, ঢ়।
- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস 'পথের দাবী' (১৯২৬)।
- ভারতীয় রাজনৈতিক আন্দোলনের ইতিহাসে এ উপন্যাসটি বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলো।
- ব্রহ্মদেশের এক গুপ্ত বিপ্লবী দলের নায়ক সব্যসাচী এ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র।
- এ উপন্যাসের মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসনের তীব্র সমালোচনা ও সশস্ত্র বিপ্লবকে সমর্থন করার কারণে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ হয়।
- 'আমি বিপ্লবী, ভারতের স্বাধীনতাই আমার একমাত্র কাম্য, আমার একটিমাত্র সাধনা'- এ বিপ্লবাত্মক বক্তব্যের মধ্য দিয়ে উপন্যাসের সমাপ্তি ঘটে।

অন্যদিকে, 
- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত সামাজিক উপন্যাস 'পল্লীসমাজ' (১৯১৬);
- কাজী নজরুল ইসলাম রচিত সামাজিক উপন্যাস ও বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রোপন্যাস 'বাঁধনহারা' (১৯২৭);
- তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত রোমান্টিক সামাজিক উপন্যাস 'কবি' (১৯৪২)।
- সেলিনা হোসেন রচিত বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের হত্যাকাণ্ডের পটভূমিতে রচিত মানবিক ট্রাজেডির উপাখ্যান 'আগস্টের একরাত' (২০১৩)।
- ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ সালে ইতিহাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচারে ৬১ জন সাক্ষী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিলেন।
- সাক্ষীদের এ জবানবন্দি কাহিনীর প্রয়োজনে উপন্যাসজুড়ে ব্যবহৃত হয়েছে।
- ঔপন্যাসিক একদিকে গল্প বানিয়েছেন, অন্যদিকে জবানবন্দি উপস্থাপন করে ঘটনার বিবরণ সংযুক্ত করেছেন।

- মমতাজউদ্দীন আহমেদ রচিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক 'কি চাহ শঙ্খচিল' (১৯৮৫);
- সৈয়দ শামসুল হক রচিত কাব্য 'একদা এক রাজ্যে' (১৯৬১);
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত কবিতা 'জন্মভূমি'।
- কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'অগ্নিবীণা' সেপ্টেম্বর, ১৯২২ সালে প্রকাশিত হয়।
- এ কাব্যের অন্তর্ভুক্ত কবিতা 'বিদ্রোহী' ৬ জানুয়ারি, ১৯২২ সালে (২২ পৌষ, ১৩২৮ বঙ্গাব্দ; শুক্রবার) 'সাপ্তাহিক বিজলী' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
- এ কবিতার জন্যই তাকে 'বিদ্রোহী কবি' বলা হয়।
- 'প্রলয়োল্লাস' এ কাব্যের প্রথম কবিতা এবং শেষ কবিতা 'মোহররম'।

এ কাব্যের অন্যান্য কবিতা:
- রক্তাম্বরধারিণী মা,
- আগমনী,
- ধূমকেতু,
- কামালপাশা,
- আনোয়ার,
- রণভেরী,
- সাত-ইল-আরব,
- খেয়াপারের তরণী,
- কোরবানী।

- এ কাব্যগ্রন্থে তাঁর স্বাদেশিকতা ও শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে।
- তিনি বিধাতার স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধেও সোচ্চার হয়েছেন।
- প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত 'সবুজপত্র' পত্রিকার প্রথম প্রকাশ ঘটে ১৯১৪ সালে।
- বাংলা গদ্যরীতির বিকাশ, সাধু গদ্যরীতির পরিবর্তে চলিত গদ্যরীতি ব্যবহার ও প্রতিষ্ঠায় এটির অবদান তাৎপর্যপূর্ণ।
- রবীন্দ্রনাথ নিজেও এই পত্রিকায় লেখার সুবাদে চলিত গদ্যরীতির স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করেন এবং পরে তা তিনি চর্চা করেন।
- প্রমথ চৌধুরী 'বীরবলী রীতি' নামে যে মৌখিক ভাষারীতি সাহিত্যে প্রচলন করে যুগান্তর এনেছিলেন তার প্রচারের মাধ্যম ছিল এই সবুজপত্র।


- বাংলা গদ্যের জনক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাংলা গদ্যকে গতিশীল করে প্রাণদান করেছেন।
- ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের পণ্ডিত মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারসহ অন্যান্য পণ্ডিতগণ এবং রাজা রামমোহন রায়ের বাংলা গদ্য রচনার প্রয়াস প্রশংসনীয়, কিন্তু তা ছিল অপূর্ণ।
- বিদ্যাসাগর বাংলা গদ্যকে সুললিত শব্দবিন্যাস, পদবিভাগ ও যতি সন্নিবেশে সুবোধ্য ও শিল্প গুণান্বিত করে তোলেন। বাংলা গদ্যের অন্তর্নিহিত ধ্বনিঝংকার ও সুরবিন্যাস তিনিই প্রথম উপলব্ধি করেন, বাংলা গদ্যপ্রবাহ সমৃদ্ধির জন্য তিনি তাঁর গদ্যে ‘উচ্চবচ ধ্বনিতরঙ্গ’ ও ‘অনতিলক্ষ্য ছন্দস্রোত সৃষ্টি করেন এবং বাংলা গদ্যের শ্বাসপর্ব ও অর্থপূর্ব অনুসারে ভাগ করে, সেখানে যতি চিহ্ন প্রয়োগ করে বাংলা গদ্যেকে তিনি সাহিত্যগুণ সম্পন্ন ও সর্বভাব প্রকাশক্ষম করেছিলেন বলেই তাঁকে প্রথম সাহিত্যিক গদ্যের স্রষ্টা বলা হয়।

- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে বাংলা গদ্যের ‘প্রথম শিল্পী' বলে অভিহিত করেন।
- বাংলা উপন্যাসের জনক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
- বাংলা সাহিত্যে ১২০১ - ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সময়কালকে মধ্যযুগ ধরা হয়। 
- মধ্যযুগের সাহিত্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল ধর্মকেন্দ্রিকতা, যেখানে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি সহ অন্যান্য বিষয়গুলি গৌণ ছিল।
- মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের প্রধান ধারাগুলি অন্তর্ভুক্ত ছিল বৈষ্ণব সাহিত্য, মঙ্গলকাব্য, শাক্তপদ, অনুবাদ সাহিত্য, নাথ সাহিত্য, জীবনী সাহিত্য বা চরিত সাহিত্য, এবং লোক সাহিত্যধারা ইত্যাদি।
- বৈষ্ণব সাহিত্যধারা মধ্যযুগের সাহিত্যের মধ্যে পরিমাণ এবং গুণে সবচেয়ে সমৃদ্ধ ছিল।
- তবে, লোক সাহিত্যধারা ছিল ব্যতিক্রমী, কারণ এতে ধর্ম বা দেব-দেবী নয়, বরং মানুষের অনুভূতি, প্রণয় এবং কামনাকে মুখ্য গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
- তৎসম স্বরসন্ধির নিয়মানুসারে, উ-কার কিংবা ঊ- কারের পর উ ও ঊ ভিন্ন অন্য স্বর থাকলে উ বা ঊ স্থানে ব- ফলা হয় এবং ব-ফলা লেখার সময় পূর্ববর্তী বর্ণের সাথে লেখা হয়।
যেমন:
- সু+আগত (উ+আ= ব+আ) = স্বাগত;
- পশু+আচার = পশ্বাচার।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত পর্তুগিজ শব্দ: আনারস, গির্জা, আতা, আলপিন, আলকাতরা, আলমারি, কেদারা, কামরা, কেরানী, গুদাম, চাবি, জানালা, পেয়ারা, পাউরুটি, পাদ্রি, বালতি, ইংরেজ, তোয়ালে ইত্যাদি।
- মুনীর চৌধুরী প্রণীত নবম-দশম শ্রেণির ব্যাকরণ অনুসারে, শ, ষ, স, হ- এ ৪টি বর্ণে দ্যোতিত ধ্বনির উচ্চারণের সময় আমরা শ্বাস যতক্ষণ খুশি রাখতে পারি। তাই এগুলোকে বলা হয় উষ্মধ্বনি বা শিশধ্বনি।
- নবম-দশম শ্রেণির নতুন ব্যাকরণ অনুসারে, স এবং শ-কে শিস ধ্বনি বলা হয়। কারণ স, শ উচ্চারণে শ্বাস অনেকক্ষণ ধরে রাখা যায় এবং শিসের মতো আওয়াজ হয়।
- শুদ্ধ বানান: 'আপাদমস্তক' (সংস্কৃত শব্দ)। 
- এটি একটি ক্রিয়া বিশেষণ।
- এর প্রকৃতি-প্রত্যয়: আপাদ + মস্তক।
- অর্থ: পা থেকে মাথা পর্যন্ত।

উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান। 
নন্দিত- নিন্দিত;

আনন্দ- বিষাদ;
সন্ধি- বিগ্রহ;
প্রসন্ন-বিষণ্ণ। 
প্রকৃত নাম - ছদ্মনাম:
রাজশেখর বসু - পরশুরাম
প্রমথ চৌধুরী - বীরবল
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর - ভানুসিংহ ঠাকুর  
কৃত্তিবাস ভদ্র - প্রেমেন্দ্র মিত্র
- মোতাহের হোসেন চৌধুরী রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ 'সংস্কৃতি কথা' (১৯৫৮)।
- তিনি এ গ্রন্থে সংস্কৃতি সম্পর্কে ধর্মনিরপেক্ষ ও মানববাদী সংজ্ঞার্থ প্রদান করেছেন এবং সুন্দরভাবে বাঁচার মধ্যে মহত্তম জীবনের সন্ধান করেছেন।
- এ গ্রন্থের বিখ্যাত উক্তি- 'ধর্ম সাধারণ লোকের কালচার, আর কালচার শিক্ষিত মার্জিত লোকের ধর্ম।'

তাঁর রচিত অন্যান্য প্রবন্ধ:
- 'সভ্যতা' (১৯৬৫) 
- 'সুখ' (১৯৬৮)।
- 'বাতাস' শব্দের সমার্থক শব্দ: সমীরণ, গন্ধবহ, অনিল, বাত, বায়, বায়ু, পবন, সমীর, মরণত, হাওয়া, মরুৎ, মারুত, প্রভঞ্জন, শব্দবহ, জগদ্বল, জগৎপ্রাণ, সদাগতি, মাতরিশ্বা।

- অরুণ অর্থ নবোদিত সূর্য;
- অবনী অর্থ পৃথিবী;
- সলিল অর্থ পানি।
- কবিতার পঙ্ক্তির শেষে মিলহীন ছন্দকে অমিত্রাক্ষর ছন্দ বলে।
- অমিত্রাক্ষর ছন্দের কবিতায় চরণের অন্ত্যমিল থাকে না।
- প্রতি পঙ্ক্তিতে ১৪ অক্ষর থাকে, যা ৮+৬ পর্বে বিভক্ত।
- একে প্রবাহমান অক্ষরবৃত্ত ছন্দও বলে।
- বাংলা সাহিত্যে মাইকেল মধুসূদন দত্ত অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তন ঘটান।

মাইকেল মধুসূদন দত্তের- 
• তাঁর রচিত কাব্য:
- The Captive Lady (১৮৪৯),
- 'চতুর্দশপদী কবিতাবলী' (১৮৬৬),
- 'বীরাঙ্গনা' (১৮৬২),
- 'ব্রজাঙ্গনা' (১৮৬১),
- 'Visions of the Past' (১৮৪৯)।

• তাঁর রচিত মহাকাব্য:'মেঘনাদবধ কাব্য' (১৮৬১)।

• নাটক:
- 'শর্মিষ্ঠা' (১৮৫৯),
- 'পদ্মাবতী' (১৮৬০),
- 'কৃষ্ণকুমারী' (১৮৬১),
- 'মায়াকানন' (১৮৭৪)। 

• প্রহসন:
- 'বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ' (১৮৫৯),
- 'একেই কি বলে সভ্যতা' (১৮৫৯)।


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক 'রক্তকরবী'। এটি ১৯২৬ সালে প্রকাশিত হয়। তাঁর রচিত অন্যান্য নাটক-
- চিত্রাঙ্গদা,
- বিদায় অভিশাপ,
- মালিনী,
- রাজা,
- ডাকঘর,
- অচলায়তন,
- মুক্তধারা ইত্যাদি।
- বিশেষ্য ও বিশেষণ পদ মিলে যে সমাস হয় এবং বিশেষ্য বা পরপদের অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকেই কর্মধারয় সমাস বলে।
- এ সমাসে যে, যিনি, যেটি ইত্যাদি ব্যাসবাক্যে বসে।
- পূর্বপদে 'কু' বিশেষণ থাকলে এবং পরপদের প্রথমে স্বরধ্বনি থাকলে 'কু' স্থানে 'কৎ' হয়।
- যেমন: কু যে অর্থ = কদর্থ, কু যে আচার = কদাচার।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- 'কেঁচে গণ্ডুষ' বাগধারার অর্থ পুনরায় আরম্ভ

অন্যঅপশনগুলো- 
- গুড়ে বালি বাগধারার অর্থ- আশায় নৈরাশ্য;
- নাড়াবুনে বাগধারার অর্থ- মূর্খ;
- গোঁফ খেজুরে বাগধারার অর্থ- নিতান্ত অলস।
শুদ্ধ বানান: আশঙ্কা।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ শুদ্ধ বানানঃ
- অসমাপ্ত
- অস্তমিত
- অনুপ্রেরণা
- অনুমোদন
- অবশ্যই
- আদর্শ
- আকস্মিক
- আত্মবিশ্বাস। 
পিপাসা-
- প্রকার: বিশেষ্য পদ
- উৎপত্তি: সংস্কৃত শব্দ
- প্রকৃতি প্রত্যয়: √পিপাস্‌ + আ

অর্থ:
- পান করার ইচ্ছা বা বাসনা
- তৃষ্ণা

- অন্যদিকে, পিপাসিত, পিপাসী, পিপাসু - এই শব্দগুলো বিশেষণ পদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান। 
- মধ্যযুগে রচিত কাব্য 'পদ্মাবতী' (১৬৪৮) মহাকবি আলাওলের প্রথম রচনা, যা ইতিহাস আশ্রিত রোমান্টিক প্রেমকাব্য।
- মালিক মুহম্মদ জায়সীর হিন্দি ভাষায় রচিত 'পদুমাবৎ' অবলম্বনে আলাওল মাগন ঠাকুরের অনুপ্রেরণায় 'পদ্মাবতী' কাব্য রচনা করেন।
- পদ্মাবতী কাব্য দুটি পর্বে বিভক্ত।
- প্রথম পর্ব হচ্ছে সিংহলের রাজকন্যা পদ্মাবতীকে লাভ করার জন্য চিতোররাজ রত্নসেনের সফল অভিযান এবং দ্বিতীয় পর্বে আছে রানি পদ্মাবতীকে লাভ করার জন্য দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিন খিলজীর ব্যর্থ সামরিক অভিযানের বিবরণ।

আধুনিক যুগের সাহিত্য:
- আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত উপন্যাস 'খোয়াবনামা' (১৯৯৬),
- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত উপন্যাস 'গৃহদাহ' (১৯২০) ও
- কায়কোবাদ রচিত মহাকাব্য 'মহাশ্মশান' (১৯০৪) 

আখতারুজ্জামান ইলিয়াস (১৯৪৩ – ১৯৯৭): 

- বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাশিল্পী আখতারুজ্জামান ইলিয়াস মূলত নিরীক্ষাপ্রবণ শিল্পী।
- তাঁর গল্পগুলোতে পুরান ঢাকার প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে রচিত।
- অনাহার, অভাব, দারিদ্র্য ও শোষণের শিকার হয়ে যারা মানবেতর জীবন-যাপন করছে, সেসব অবহেলিত মানুষের জীবনাচরণ তাঁর গল্প ও উপন্যাসে উজ্জ্বলভাবে অঙ্কিত।

- আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ১২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৩ সালে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানার গোটিয়া গ্রামে (মাতুলালয়) জন্মগ্রহণ করেন।

- পৈতৃক নিবাস চেলোপাড়া, বগুড়া। ডাকনাম- মঞ্জু।

- তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮২), একুশে পদক (মরণোত্তর)- ১৯৯৯ পান।

- তিনি ১৯৬৫ সালে জগন্নাথ কলেজে বাংলা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং ঢাকা কলেজে আমৃত্যু অধ্যাপনা করেন।

- তিনি ৪ জানুয়ারি, ১৯৯৭ সালে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।


উপন্যাস:
- চিলেকোঠার সেপাই (১৯৮৭),
- খােয়াবনামা (১৯৯৬)।
(এই দুটি হলো তার মহাকাব্যোচিত উপন্যাস)

ছােটগল্প:
- অন্য ঘরে অন্য স্বর (১৯৭৬),
- খোয়ারি (১৯৮২),
- দুধভাতে উৎপাত (১৯৮৫),
- দোজখের ওম (১৯৮৯)।

উৎসঃ বাংলাপিডিয়া এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।


- ১৯ শতকের শেষ ও ২০ শতকের শুরুর দিকে বাংলা ভাষা প্রমিতকরণের সময় বাংলার সাংস্কৃতিক রাজধানী ছিল কলকাতা শহর।
- বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উভয় ক্ষেত্রে যেটি প্রমিত রূপ হিসেবে গৃহীত হয়েছে, তা মূলত নদীয়া জেলার পশ্চিম-মধ্য উপভাষার উপর ভিত্তি করে।
- ভাষাবিদ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় পূর্ব মাগধী ভাষার উপভাষাগুলোকে ৪টি গ্রুপে বিভক্ত করেছেন।
- রাঢ়ি, বঙ্গিয়া, কামরূপী ও বরেন্দ্রী।
- দক্ষিণ-পশ্চিমের রাঢ়ি বা নদীয়া অঞ্চলের উপভাষা আধুনিক প্রমিত কথ্য বাংলার ভিত্তি তৈরি করে, যা পরবর্তীতে বাংলা সাহিত্য সৃষ্টির মাধ্যম হিসেবে প্রসার লাভ করে।
- কোনো বাক্যে now, right now, at present, at this moment, today, still ইত্যাদি উল্লেখ থাকলে এবং বর্তমানে কোনো কাজ চলছে বুঝালে বাক্যটি present continuous tense এর নিয়মে হয়।
- Usually I go to office by car but today I am going by bus- সাধারণত আমি গাড়িতে অফিসে যাই কিন্তু আজ বাসে যাচ্ছি।
Take to heart ( মর্মাহত হওয়া) idiom- টির অর্থ- be affected deeply.
- যে ব্যক্তি এক দেশ থেকে অন্য দেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য যায় তাকে immigrant (অভিবাসী) বলে।

- Emigrant- প্রবাসী;
- native- দেশীয়;
- foreigner- বিদেশী।
- যে প্রাণী ঘাস খেয়ে জীবন ধারণ করে তাকে hervivorous (তৃণভোজী) বলে।

- Carnivorous- মাংসাশী;
- glaminivorous- কলাইভোজী;
- omnivorous- সর্বভুক।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- Seamus Heaney (1939-2013) বিংশ শতাব্দীর একজন ইংরেজ কবি।
- তিনি ১৯৯৫ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

তার উল্লেখযোগ্য কবিতাসমূহ হচ্ছে-
- Death of a Naturalist;
- Electric Light;
- Field work;
- Human Chain;
- The Spirit Level ইত্যাদি।

- John Donne, Philip Sidney এবং William Blake হচ্ছে যথাক্রমে Jacobean Age, Elizabethan Age এবং Romantic Age এর অন্তর্গত।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0