ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) শিল্পনগরী (কর্মকর্তা / প্রকাশনা কর্মকর্তা) - ২০.১০.২০২৩ (100 টি প্রশ্ন )
♦ প্রাণী জগতের শ্রেণীবিন্যাস:

- সম্পূর্ণ প্রাণী জগতকে ৯টি প্রধান পর্বে ভাগ করা হয়েছে।
- প্রথম ৮টি পর্ব অমেরুদন্ডী প্রাণীদের নিয়ে গঠিত।
- শুধুমাত্র কর্ডাটা পর্ব মেরুদন্ডী প্রাণীদের নিয়ে গঠিত।

• অ্যানেলিডা পর্বের প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য:
- দেহ নলাকার ও খণ্ডায়িত।
- প্রতিটি খণ্ডে সিটা থাকে (জোঁক ব্যতীত)।
- নেফ্রিডিয়া নামক রেচন অঙ্গ থাকে।
- উদাহরণ - কেঁচো, জোঁক ইত্যাদি।

• আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য:
- দেহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিভক্ত ও সন্ধিযুক্ত উপাঙ্গ বিদ্যমান।
- মাথায় একজোড়া পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা থাকে।
- নরম দেহ কাইটিন সমৃদ্ধ শক্ত আবরণী দ্বারা আবৃত।
- দেহের রক্তপূর্ণ গহ্বর হিমোসিল নামে পরিচিত। 
- উদাহরণ: প্রজাপতি, চিংড়ি, আরশোলা, কাঁকড়া ইত্যাদি।

উৎস: ৮ম শ্রেণী বিজ্ঞান বই।  
বৃহস্পতি গ্রহ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- বৃহস্পতি সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ।
- এটিকে গ্রহরাজ বলা হয়।
- বৃহস্পতির বায়ুমণ্ডল মূলত হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস দিয়ে তৈরি।
-  বৃহস্পতি গ্রহের উপগ্রহের সংখ্যা ৯৫টি

অন্যান্য গ্রহ সম্পর্কে কিছু তথ্য:
- সবচেয়ে বেশি উপগ্রহ রয়েছে শনি গ্রহের, যার সংখ্যা ১৪৫টি।
- সৌরজগতের ক্ষুদ্রতম এবং সূর্যের নিকটতম গ্রহ হল বুধ।
- মঙ্গল গ্রহকে লাল গ্রহ বলা হয়।
CaO + H2O = Ca(OH)2
ক্যালসিয়াম অক্সাইড (চুন) + পানি → ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড

এই বিক্রিয়া সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- Ca(OH)2 স্ল্যাক লাইম নামে বেশি পরিচিত।
- বিক্রিয়ায় প্রচুর তাপশক্তি উৎপন্ন হয়, যার ফলে পানি ফুটতে থাকে।
- স্ল্যাক লাইম বা Ca(OH)2 পানিতে খুব অল্প পরিমাণে দ্রবীভূত হয়।

লাইম ওয়াটার:
- পানিতে Ca(OH)2 এর সম্পৃক্ত দ্রবণকেই চুনের পানি বা লাইম ওয়াটার বলা হয়
- এটি একটি স্বচ্ছ, ক্ষারীয় দ্রবণ যা বিভিন্ন রাসায়নিক পরীক্ষা ও শিল্পে ব্যবহৃত হয়।
- পরমাণুর নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ইলেকট্রনগুলি যে নির্দিষ্ট পথে আবর্তিত হয় সেগুলোকে ঐ পরমাণুর কক্ষপথ বলে।
- পরমাণুর দ্বিতীয় কক্ষপথে সর্বোচ্চ ৮টি ও তৃতীয় কক্ষপথে সর্বোচ্চ ১৮টি ইলেকট্রন থাকতে পারে।
- মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা, যা রাসায়নিক বিক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে, তাকে পরমাণু বলা হয়।

পরমাণুর বৈশিষ্ট্যসমূহ:
১. পরমাণু হলো মৌলিক পদার্থের সবথেকে ক্ষুদ্রতম কণা বা একক।
২. সাধারণত পরমাণু স্বাধীন অবস্থায় থাকতে পারে না, তবে কিছু বিশেষ মৌলিক পদার্থের পরমাণু স্বাধীনভাবে থাকতে সক্ষম। যেমন: হিলিয়াম, নিয়ন, আর্গন ইত্যাদি।
৩. পরমাণু সরাসরি রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে।
৪. একটি পরমাণু বিভাজিত হলে, সেই মৌলের আর কোনো অস্তিত্ব থাকে না।
রিকেটস (Rickets)
- ভিটামিন 'ডি' এর অভাবে এ রােগ হয়। অন্ত্রে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শােষণ, দাঁত ও হাড় গঠন প্রভৃতি শারীরবৃত্তীয় কাজে এই ভিটামিন প্রয়ােজন। সুতরাং, রিকেটস্‌ রোগের ফলে হাড়ের গঠন ব্যাহত হয়।
- দুধ, মাখন, ডিম, সুর্যের আলো, কডলিভার তল ও হাঙ্গরের তেলে প্রচুর ভিটামিন "ডি' পাওয়া যায়।
- সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির প্রভাবে মানুষের ত্বকে জমা থাকা কোলেস্টেরল থেকেও এটি তৈরি হয়, তবে সেক্ষেত্রে ভিটামিন ডি তৈরির শেষ ধাপটি সংঘটিত হয় কিডনিতে।
- হিমোগ্লোবিন হলো রক্তের লোহিত কণিকায় বিদ্যমান এক প্রকার রঞ্জক পদার্থ।
- এটি এক প্রকার সংযুক্ত প্রোটিন (আমিষ)।
- এর প্রধান দুটি উপাদান হলো হিম বা আয়রন (৪%) এবং গ্লোবিন বা হিস্টন জাতীয় প্রোটিন (৯৬%)।
- একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ১০০ মিলি রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ১৩-১৬ গ্রাম।
- রক্তে হিমোগ্লোবিনের প্রধান কাজ হলো ধমনি থেকে দেহের সবস্থানে অক্সিজেন সরবরাহ করা।
- যে যন্ত্র তাপশক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করে, তাকে তাপীয় ইঞ্জিন বলা হয়।
- উদাহরণস্বরূপ, বাষ্পীয় ইঞ্জিন, পেট্রোল ইঞ্জিন, ডিজেল ইঞ্জিন ইত্যাদি।

- তাপীয় ইঞ্জিনের মধ্যে তাপ উৎস এবং তাপগ্রাহক থাকে।
- ইঞ্জিনটি একটি উৎস থেকে তাপ গ্রহণ করে এবং সেই তাপের একটি অংশকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে।
- যে তাপ শক্তি কাজে রূপান্তরিত হয় না, তা পরিবেশে ছড়িয়ে দেয়া হয় এবং ইঞ্জিনটি পুনরায় তাপ উৎস থেকে তাপ গ্রহণ করে।
- তাপ উৎসের তাপমাত্রা সেই পরিবেশ বা সিস্টেমের তাপমাত্রার চেয়ে বেশি হয় যেখানে তাপ গ্রহণ করা হয়।
- ইঞ্জিনটি উচ্চতর তাপমাত্রার উৎস থেকে তাপ গ্রহণ করে, তার কিছু অংশ কাজে পরিণত করে এবং বাকি অংশ নিম্নতর তাপমাত্রার তাপগ্রাহক বা শীতল বস্তুর কাছে ছেড়ে দিয়ে পুনরায় তার আদি অবস্থায় ফিরে আসে। এবং এভাবে ইঞ্জিনটি একটি চক্র সম্পন্ন করে।
- বাসাবাড়ির রেফ্রিজারেটর একটি তাপীয় পাম্পের উদাহরণ, যা কার্যত একটি তাপীয় ইঞ্জিনের বিপরীতমুখী কাজ করে।
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের প্রধান দুইটি উপাদান হলো - অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন। 

বায়ুমণ্ডলে বিদ্যমান গ্যাস সমূহ:

নাইট্রোজেন (N2): 78.02%
অক্সিজেন (O2): 20.71%
আর্গন (Ar): 0.80%
কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2): 0.03%
জলীয় বাষ্প: 0.41%
ধূলিকণা: 0.01%
ওজোন, মিথেন, হিলিয়াম প্রভৃতি: 0.02%
মোট: 100%

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- প্রকৃতিতে এমন কিছু পদার্থ আছে যারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিভিন্ন রশ্মি বিকিরণ করতে পারে।
- স্বতঃস্ফূর্তভাবে রশ্মি বিকিরণের এ ধর্মকে তেজস্ক্রিয়তা এবং উক্ত ধর্মবিশিষ্ট পদার্থগুলোকে তেজস্ক্রিয় পদার্থ বলে।
- ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম, পোলোনিয়াম, রেডিয়াম, অ্যাকটিনিয়াম প্রভৃতি তেজস্ক্রিয় পদার্থ।
ইথিলিন থেকে পলিথিন প্রাপ্তি:
- ইথিলিন গ্যাসকে ১০০০-১২০০ বায়ুমণ্ডলীয় চাপে এবং ২০০° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করলে পলিথিন পাওয়া যায়।
- পলিমারকরণ প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য প্রভাবক হিসেবে অক্সিজেন গ্যাস ব্যবহৃত হয়।

- তবে উচ্চ চাপ পদ্ধতি সহজসাধ্য না হওয়ায় বর্তমানে এই পদ্ধতি জনপ্রিয় নয়।
- বর্তমানে, টাইটেনিয়াম ট্রাই ক্লোরাইড (TiCl₃) প্রভাবক ব্যবহার করে বায়ুমণ্ডলীয় চাপেই পলিথিন তৈরি করা হয়, যা সহজ এবং বেশি কার্যকর।
ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টির কারণ - ভূ-পৃষ্ঠের কোনো অংশে প্রবল পার্শ্ব চাপ সৃষ্টি

ভঙ্গিল পর্বতের সংজ্ঞা এবং গঠন:
- ভঙ্গিল পর্বত হলো এমন একটি পর্বত যা স্তরীভূত পাললিক শিলা পার্শ্ব চাপের কারণে ভাঁজ পড়ে গঠিত হয়।
- ভূ-পৃষ্ঠের কোনো অংশে প্রবল পার্শ্ব চাপের কারণে এই ভাঁজগুলি সৃষ্টি হয়, যা পর্বতের আকারে উঠে আসে।
- এশিয়ার হিমালয়, ইউরোপের আল্পস, উত্তর আমেরিকার রকি, এবং দক্ষিণ আমেরিকার আন্দিজ পর্বত ভঙ্গিল পর্বতের উদাহরণ।

ভঙ্গিল পর্বত গঠনের প্রক্রিয়া:
- সমুদ্র তলদেশের বিশাল অবনমিত স্থানে দীর্ঘ সময় ধরে বিপুল পরিমাণ পলি জমা হয়। এই পলির ভারে অবনমিত স্থান আরও নিচে ধসে যায়।
- উপরের পলির চাপে নিচের স্তরগুলি গভীরে চলে যায় এবং সংহত হয়।
- পরবর্তী পর্যায়ে পার্শ্ববর্তী সুদৃঢ় ভূমিখন্ডের কারণে প্রবল পার্শ্ব চাপ সৃষ্টি হয়, যা ভূমির অংশগুলিকে ভাঁজে পরিণত করে। এর ফলে, উর্ধ্বভাঁজ এবং নিম্নভাঁজের সৃষ্টি হয়।
- বিস্তৃত এলাকা জুড়ে এই উর্ধ্বভাঁজ ও নিম্নভাঁজের সমন্বয়েই ভঙ্গিল পর্বত গঠিত হয়, যা একটি প্রাকৃতিক ভূমিরূপের প্রতিনিধিত্ব করে।
- শুষ্ক বরফ হল কার্বন ডাই অক্সাইড।
- এটি -৭৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় জমাট বাঁধে এবং কঠিন অবস্থা থেকে তরল না হয়ে সরাসরি গ্যাসে পরিণত হয়। তাই এর নাম শুষ্ক বরফ।
- উদ্ভিদ কোষ এবং প্রাণী কোষের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো কোষ প্রাচীরের উপস্থিতি।

- উদ্ভিদ কোষের চারপাশে সেলুলোজ দ্বারা নির্মিত একটি শক্তিশালী কোষ প্রাচীর থাকে, যা কোষকে কাঠামোগত সহায়তা ও সুরক্ষা প্রদান করে।
- অন্যদিকে, প্রাণী কোষে কোনো কোষ প্রাচীর থাকে না; তাদের কেবলমাত্র একটি নমনীয় প্লাজমা ঝিল্লী দ্বারা ঘেরা থাকে, যা কোষের অভ্যন্তরীণ উপাদানগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং সুরক্ষিত রাখে।
- বেতার তরঙ্গ বা রেডিও তরঙ্গ এক প্রকারের তড়িৎ-চৌম্বকীয় বিকিরণ যার তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সীমা ১ মিলিমিটার থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
- এই তরঙ্গ খালি চোখে দেখা যায় না। বেতার তরঙ্গের কম্পাঙ্ক দৃশ্যমান আলোর থেকে কম - ৩ কিলোহার্টজ থেকে ৩০০ গিগাহার্টজ।

কিছু গুরুপুর্ণ তথ্যঃ 
- লাল আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি. 
- বেগুনি কোন আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ সবচেয়ে কম
- বেগুনি আলোর প্রতিসরণ সবচেয়ে বেশি
- লাল আলোর প্রতিসরণ সবচেয়ে কম
- বেগুনি আলোর বিক্ষেপণ সবচেয়ে বেশি
- লাল আলোর বিক্ষেপণ সবচেয়ে কম
- বেগুনি বর্ণের আলোর বিচ্যুতি সবচেয়ে বেশি
- লাল আলোর বিচ্যুতি সবচেয়ে কম

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস:

- তাহমিনা আনাম -- এ গোল্ডেন এজ 
- আনোয়ার পাশা -- 'রাইফেল রুটি আওরাত'(১৯৭৩)
- শওকত ওসমান লিখেছেন ৪টি উপন্যাস ---জাহান্নাম হইতে বিদায়(১৯৭১),নেকড়ে অরণ্য (১৯৭৩),দুই সৈনিক (১৯৭৩),জলাঙ্গী (১৯৭৬) 
- সৈয়দ শামসুল হক লিখেছেন --- নীল দংশন(১৯৮১),নিষিদ্ধ লোবান(১৯৮১).
- সেলিনা হোসেন লিখেছেন -- হাঙর নদীর গ্রেনেড (১৯৮৭).
- রশীদ হায়দারের লিখেছেন --- 'নষ্ট জোছনায় এ কেমন অরণ্য (১৯৮২)।
-  হুমায়ুন আহমেদ লিখেছেন -- শ্যামল ছায়া(১৯৭৩), সৌরভ (১৯৮৪)
- ইমদাদুল হক মিলন লিখেছেন -- 'ঘেরাও(১৯৮৪)।
- শামসুর রাহমান লিখেছেন -- ' অদ্ভুত আঁধার এক(১৯৮৫).
- আবু জাফর শামসুদ্দিন লিখেছেন -- 'দেয়াল (১৯৮৬)
- হারুন হাবিব লিখেছেন - 'প্রিয়যোদ্ধা প্রিয়তম(১৯৮২).
- স্টপ জেনােসাইড বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ।
- শহিদ বুদ্ধিজীবী ও বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালে ২০ মিনিট দৈর্ঘ্যের এই তথ্যচিত্রটি তৈরি করেন ।
- সহকারী আলমগীর কবিরকে সাথে নিয়ে মুজিবনগর সরকারের তথ্য ও চলচ্চিত্র বিভাগের আর্থিক সহায়তায় তিনি 'স্টপ জেনােসাইড ’ নির্মাণ করেন ।
বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম দেশ ভুটান (৬ ডিসেম্বর ১৯৭১)। ভুটানের কিছু সময় পর ভারতও ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। 
চীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ৩১ আগস্ট ১৯৭৫। 
নেপাল বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ১৬ জানুয়ারি ১৯৭২। 
সেনেগাল - ১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭২ (প্রথম মুসলিম ও আফ্রিকান)
ইরাক - ৮ জুলাই, ১৯৭২ (প্রথম আরব)
মিশর - ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৬
ইরান - ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৪
সৌদি আরব - ১৬ আগস্ট, ১৯৭৫
 
উল্লেখ্য, বাংলাদেশকে এ পর্যন্ত ১৫০ টি দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

- হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাসেমের নেতৃত্বে বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের একাংশের সম্মেলনের মাধ্যমে ২৩ জুন, ১৯৪৯ সালে ঢাকার কে.এম দাস লেনে অবস্থিত রোজ গার্ডেনে ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ' গঠিত হয়।
- দলটির প্রথম সভাপতি হিসেবে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও সহ-সভাপতি আতাউর রহমান খান এবং সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক ও যুগ্ম সম্পাদক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্বাচিত হন।
- ধর্মনিরপেক্ষতা চর্চা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৫৩ সালে মওলানা ভাসানীর সভাপতিত্বে ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ' এর কাউন্সিলে ‘মুসলিম' শব্দটি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং তারই প্রেক্ষিতে ১৯৫৫ সালে 'মুসলিম' শব্দটি বাদ দেওয়া হয়।
- ১৯৬৬ সালের ১ মার্চে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন
- তবে ১৮- ২০ মার্চ ১৯৬৬ সালে অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং তাজউদ্দিন আহমেদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। 

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- আগরতলা হচ্ছে ত্রিপুরার রাজধানী।
- এখানে বঙ্গবন্ধু ও সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য পূর্ব পাকিস্তানকে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন-এ মর্মে অভিযোগ এনে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করা হয় ১৯৬৮ সালের ৩ জানুয়ারিতে।
- এ মামলার মোট আসামী ছিলেন বঙ্গবন্ধুসহ ৩৫ জন
- বঙ্গবন্ধু ছিলেন ১ নম্বর আসামী এবং লেফটেন্যান্ট আব্দুর রউফ ছিলেন ৩৫ নং আসামী। উল্লেখ্য, এ মামলা প্রত্যাহার করা হয় ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ সালে।
• পাকিস্তানের উর্দুর প্রতি অনড় অবস্থার প্রেক্ষিতে ১৯৪৮ সালের ২ মার্চ কামরুদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ' গঠিত হয়।
• এ পরিষদের আহ্বানে ১১ মার্চ ভাষার দাবীতে সাধারণ ধর্মঘট পালনের সময় বহু ছাত্র আহত এবং বঙ্গবন্ধুসহ অনেক ছাত্র গ্রেফতার হন
• পরে ছাত্রদের লাগাতার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বন্দীদের ১৫ মার্চ মুক্তি দিতে বাধ্য হয় সরকার।
• ১৯৪৮-৫২ সাল পর্যন্ত এ ১১ মার্চে ‘ভাষা আন্দোলন দিবস' পালিত হতো।
• ১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ ও ২৩ মার্চ যথাক্রমে রেসকোর্স ময়দান ও কার্জন হলে পাকিস্তানের তৎকালীন গভর্নর জেনালের মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বলে ঘোষণা দিলে উপস্থিত ছাত্ররা না না বলে প্রতিবাদ জানায়।


- উল্লেখ্য " সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্টভাষা সংগ্রাম পরিষদ " গঠিত হয়েছিল ৩১ জানুয়ারী , ১৯৫২ সালে ।
- ইউনেস্কো উপদেষ্টা কমিটি ৩০ অক্টোবর ,২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে Worlds Documetary Herritage এর অংশ হিসেবে Memory of the world Register -এ অন্তর্ভুক্ত করে ।
- ১৯৯৭ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মোট ৪২৭টি দলিল ও সংগ্রহ Memory of the world Register -এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
- ৪২৭টি প্রামাণ্য ঐতিহ্যের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণই একমাত্র ও প্রথম অলিখিত ভাষণ।
- উল্লেখ্য ,১৯৯২ সালে ইউনেস্কো Memory of the world Register প্রোগ্রামটি চালু করে ।
মুজিবনগর সরকারের সর্বদলীয় উপদেষ্টা পরিষদ:

- ১৯৭১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মুক্তিযুদ্ধকে আরও কার্যকর করার জন্য আওয়ামী লীগসহ পাঁচটি দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে ৮ সদস্যের একটি 'সর্বদলীয় উপদেষ্টা পরিষদ' গঠন করা হয়।
- এই পরিষদের নেতারা মূলত মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি করে গঠিত মুজিবনগর সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছিলেন।
- সর্বদলীয় উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী একটি স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছিল যে, মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবি বাঙালির সার্বজনীন দাবি; এটি কোনো নির্দিষ্ট দল বা গোষ্ঠীর একক দাবি নয়।
- ভারতের কলকাতায় 'জাতীয় উপদেষ্টা কমিটি' নামে একটি কমিটি গঠন করা হয়, যা পরে 'সর্বদলীয় উপদেষ্টা পরিষদ' নামে পরিচিতি লাভ করে।

এই ৮ সদস্যের কমিটিতে ছিলেন:
- আহ্বায়ক: তাজউদ্দীন আহমেদ
- চেয়ারম্যান: মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী

অন্যান্য সদস্যরা:
- অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ (মস্কোপন্থী ন্যাপ এর প্রতিনিধি)
- মনিসিংহ (কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি)
- মনোরঞ্জন ধর (কংগ্রেস দলের নেতা)
- ক্যাপ্টেন মনসুর আলী (আওয়ামী লীগ দলের প্রতিনিধি)
- এ. এইচ. এম. কামারুজ্জামান (আওয়ামী লীগ দলের প্রতিনিধি)
- খন্দকার মোশতাক আহমদ (মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি)
- ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বিশেষ বিমানে করে প্রথমে লন্ডন গমন করেন।
- সেখান থেকে ১০ জানুয়ারি ব্রিটিশ রাজকীয় বিমানে করে দিল্লি আসেন এবং সেখানে কিছু সময় অবস্থান করে বিকেলে ঢাকায় আসেন। 
- এদিনটিকে বঙ্গবন্ধুর ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।
- আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান আসামি হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয় ১৮ জানুয়ারি ,১৯৬৮ সালে।
- ২২ ফেব্রুয়ারি ,১৯৬৯ সালে আগরতলা মামলা প্রত্যাহার করা হলে তাকে মুক্তি দেওয়া হয় ।
- ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ সালে রেসকোর্স ময়দানে এক বিশাল জনসভায় শেখ মুজিবুর রহমানসহ মামলায় অভিযুক্তদেড় এক গণসংবর্ধনা দেওয়া হয় এবং একই দিনে তোফায়েল আহমেদ শেখ মুজিবকে 'বঙ্গবন্ধু' উপাধিতে ভূষিত করেন ।
- এশিয়ান অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক AIIB (Asian Infrastructure Investment Bank)।
- এটি গঠনে চুক্তি স্বাক্ষর হয় ২৪ অক্টোবর, ২০১৪ সালে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ১৬ জানুয়ারি ২০১৬ সালে।
- এর সদরদপ্তর অবস্থিত চীনের বেইজিংয়ে।
- এর বর্তমান সদস্য দেশ ১০৯টি। 
- একে বিশ্বব্যাংক ও এডিবির বিকল্প হিসেবে ধরা হয়।
- ১৯৭৩ সালের ৬ ডিসেম্বর জাপানের টোকিওতে জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়।
- এটি কার্যক্রম শুরু করে ১৯৭৬ সালে।
- কোস্টারিকায় জাতিসংঘ শান্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৮০) অবস্থিত।
- আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে LOI এর পূর্ণরূপ হল Letter of Intent।

- Letter of Intent (LOI) একটি অফিসিয়াল নথি যা একটি পার্টি বা প্রতিষ্ঠান অন্য একটি পার্টি বা প্রতিষ্ঠানের প্রতি তাদের ইচ্ছা বা প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করতে ব্যবহার করে।
- এটি একটি আনুষ্ঠানিক ডকুমেন্ট যা সাধারণত কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য, প্রস্তাবিত চুক্তি, বা ভবিষ্যতে সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয়ে সম্মতি বা আগ্রহ প্রকাশ করে।
- যুক্তরাষ্ট্র কিউবা থেকে বিখ্যাত ‘গুয়ানতানামো বে’ কারাগারটি Platt Amendment চুক্তির মাধ্যমে অর্জন করে।

- ১১ জানুয়ারি ২০০২ তারিখে কিউবার দক্ষিণ-পূর্বে ক্যারিবীয় সাগরের গুয়ানতানামো উপসাগরে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে এই কারাগারটি স্থাপন করা হয়।
- ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিউবার ৪৫ বর্গকিলোমিটার ভূমি নৌঘাঁটি স্থাপনের উদ্দেশ্যে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মাধ্যমে অধিগ্রহণ করে।
- ১৯৯১ সাল থেকে এই নৌঘাঁটিতে বন্দী আটক রাখা শুরু হয়।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় (১৯৮০-৮৮) ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৮০ সালে ইরানের বিমান বাহিনী চারটি ইরানি ম্যাকডোনেল ডগলাস-4 ফ্যান্টম দিয়ে ইরাকের ওসিরাক পারমাণবিক চুল্লি ও নিউক্লিয়ার রিসার্চ সেন্টারে যে হামলা করে তা অপারেশন সার্চ সোর্ড নামে পরিচিত।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0